সাতক্ষীরায় দুটি হত্যা মামলায় সাবেক এসপি মঞ্জুরুল কবির ও সাংবাদিকসহ আসামি ৭৮
সাতক্ষীরায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরা আমলী আদালত-১-এ মামলা দুটি দায়ের করা হয়। পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে। এছাড়া এএসপি কাজী মনিরুজ্জামান, সদর থানার ওসি এনামুল হক, পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শেখ নাসিরউদ্দিন, ডিবির পরিদর্শক এনামুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক নজরুল ইসলাম।
অন্য আসামিরা হলেন- কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য ফিরোজ আহমেদ স্বপন, সদর থানার এসআই কামাল হোসেন, মানবজমিনের সাবেক সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ইয়ারব হোসেনসহ ৭৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দুটির শুনানি শেষে আদালত সদর থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।
একটি মামলার বাদী সলেমান সরদার। তিনি সদর থানার গোবিন্দকাটি গ্রামের বরকতুল্লাহ সরদারের ছেলে। আদালতে তার দায়েরকৃত এজাহার থেকে নেয়া সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এমন যে, বিগত আওয়ামী সরকারের গণবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের ২২, ২৩ ও ২৪ তারিখ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি। সাতক্ষীরায় এই কর্মসূচি পালনে তার (বাদী) শ্যালক গোবিন্দকাটি গ্রামের লোকমান দফাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান (২২) যোগ দেয়।
তিন দিনের কর্মসূচির শেষ দিন ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৭টার দিকে ঝাউডাঙা বাজার মহাসড়কে অবরোধ চলাকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্য আসামিরা দলবদ্ধভাবে তাদের ধাওয়া করে এবং হাফিজুরকে ধরে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের নির্দেশে পুলিশের এসআই কামাল হোসেন হাফিজুরকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেযোর পর অপর এক পুলিশ সদস্য তার বুকের ওপর পা তুলে দিয়ে নাকের মধ্যে রাইফেলের গুলি করে। গুলি নাকের মধ্যে দিয়ে মাথার তালু ভেদ করে ঘিলুসহ বের হয়ে যায়। ওই মামলায় ৪৩ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
অপর হত্যা মামলার বাদীর নাম মো. ইসরাইল মোড়ল। তিনি সদর থানার পাথরঘাটা গ্রামের একব্বার মোড়লের ছেলে। মামলার বর্ণনা থেকে জানা যায়, তার (বাদী) বড় ভাই ইসমাইল মোড়ল একজন মাছের ঘের ব্যবসায়ী। তিনি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অন্যতম। এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধান ও বিচার-সালিশ করে থাকেন। আর এজন্যই ঈর্ষান্বিত ও হিংসায় ২০১৪ সালের ১০ জুন বিকেলে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা (সাবেক সংসদ সদস্য) ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বাড়িতে বৈঠক করে মামলায় বর্ণিত ৭ থেকে ১৩ নম্বর আসামিরা। ওই বৈঠকে তার ভাইকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। সে মোতাবেক ১৩ জুন রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা ভাই ইসমাইলকে আসামিরা ডেকে তুলে তাকে ধরে বাড়ির উঠানে নিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরবর্তীতে ১ নম্বর আসামি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরের নির্দেশে তাকে রাত ২টার দিকে ছয়ঘরিয়া তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায় এবং চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাদী ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫-২০ জনকে আসামি করেছেন।
T.A.S / জামান
নোয়াখালীতে সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উদয় বৃত্তি পরীক্ষা–২০২৫
গাইবান্ধা সাঘাটায় ৭ নভেম্বর: বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
সাটুরিয়ায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
বালিয়াকান্দিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে লাক্ষপতি বেকার যুবক রিপন
ভূরুঙ্গামারীতে মায়ের অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলে গ্রেফতার
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাটে র্যালী ও আলোচনা সভা
অভয়নগরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসা পেলেন এক হাজার মানুষ
মনপুরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি'র ঐক্যের প্রত্যয়।বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত
মোরেলগঞ্জে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে র্যালী ও আলোচনা
রায়পুরে জামায়াত প্রার্থীর মটরসাইকেল শোভাযাত্রা
চন্দনাইশে এলডিপিতে যোগ দিলেন চেম্বার অব কর্মাসের ভাইচ প্রেসিডেন্ট এম মাহাবুব চৌধুরী
হাতের ইশারায় বাবলাকে চিহ্নিত করে দেয়া ব্যক্তিটা কে ?