আ'লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮৭ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভার সদ্য অপসারিত সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ কামরুন্নাহার হাই ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিমসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৮৭ নেতার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। 

বাগেরহাটের জেলা দ্রুত বিচার আদালতে গত ৯ সেপ্টেম্বর মোংলার স্থানীয় বিএনপি নেতা কামাল হাওলাদার, বাবু মোল্লা ও ফাতেমা বেগম এই তিন মামলার আবেদন করেন। মামলা তিনটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। 

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আব্দুস সালাম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ, সহ-সভাপতি নুর আলম জিকু, যুবলীগ নেতা মাখন মিজান, সেলিম শেখ, লিটন ফরাজি, মো. শাহাদাৎ, মো. ওয়াসিম, মইনুল হাসান মিন্টু, শহিদুল মোল্লা, আব্দুল জব্বার শিকদার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন রানা, সাধারণ সম্পাদক শাহরুখ বাপ্পি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম হাসান অন্তর, সাবেক পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমানের জামাতা গোলাম কিবরিয়া ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হাওলাদারসহ ৮৭ জন।

মামলার আবেদনে বাদীরা উল্লেখ করেন, আসামিরা দোর্দণ্ড প্রতাপশালী, চাঁদাবাজ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা গত ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি রাত ১০টায় মাদ্রাসা রোড ও আরাজী মাকোরঢোন সাইক্লোন শেল্টারের সামনে রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরে রামদা ও লাঠিসোটা নিয়ে বাদীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করেন। আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকায় উল্লিখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেননি বলে ভুক্তভোগী মামলার বাদী কামাল হাওলাদার, ফাতেমা বেগম ও বাবু মোল্লা জানান।

এদিকে আসামিরা পলাতক ও ফোন বন্ধ থাকায় চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।