গুরুদাসপুরে শিক্ষককে কুপিয়ে জখম
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাটোরের গুরুদাসপুরে রফিকুল ইসলাম (৪২) নামে এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিবাদী শহিদুল ইসলাম, আব্দুল ওহাবসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পোয়ালশুড়া দড়ি পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রফিকুল ইসলাম গুরুদাসপুর উপজেলার পোয়ালশুড়া দড়িপারা গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি জ্ঞ্যানগৃহ কোচিং সেন্টারের পরিচালক। এ ঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী নুসরত সুলতানা বাদী হয়ে শহিদুল, আব্দুল ওহাবসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে রবিবার রাতেই গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকেলে খেলার সময় বিবাদী মজনু প্রামাণিকের ছেলে জিহাদের সাথে রফিকুল ইসলামের ছেলে রাফিউলের ঝগড়া-বিবাদ হয়। খেলার মাঠেই তা সমাধান করে দেন স্থানীয়রা। ওই বিষয়ের জের ধরে রবিবার সকালে অভিভাবকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির সামনে জনৈক আয়নালের চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন রফিকুল। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে শহিদুল, আব্দুল ওহাব তাদের বাহিনীসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল ওহাব ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপালে মাথায় জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রফিকুল।
রফিকুলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া এগিয়ে গেলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে রফিকুলকে খুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয়রা গুরুত্বর জখম অবস্থায় রফিকুল ও আহত জিয়াকে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় ঘরে ঢুকে আলমারির ড্রয়ার ভেঙে বিবাদী শহিদুল ইসলাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং আব্দুল ওহাব ও মুনকার ১ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার লুট করে পালিয়ে যায়।
আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, খেলার সময় আমার ছেলের সাথে মজনুর ছেলের ঝগড়া-বিবাদ হয়। বিষয়টি খেলার মাঠেই মীমাংসা করে দেয়া হয়। রবিবার দুপুরে চায়ের দাকানে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ শহিদুল, মজনুসহ তাদের লোকজন আমার ওপর হামলা চালায়। আমি হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
আহত জিয়াউর রহমান বলেন, তিনি বাড়ির পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। রফিকুল চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। হঠাৎ ওহাব তার লোকজন নিয়ে রফিকুলের ওপর হামলা চালায়। আমি ধরতে গেলে তারা আমাকেও মারপিট করে। আমি এর সঠিক বিচার দাবি করছি।
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন জাহান লুনা বলেন, রবিবার দুপুরে রক্তাক্ত অবস্থায় রফিকুল ইসলাম নামে এক রোগী হাসপাতালে আসেন। তার মাথায় দুটি আঘাত রয়েছে। সেলাই দেয়া হয়েছে।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / জামান
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা
ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম
যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০
নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা
কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি
কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি
নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল
গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ