গুরুদাসপুরে জোরপূর্বক জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

দরিদ্র দিনমজুর কৃষক মো. বাবলু মোল্লা। ১১ শতাংশ বসতবাড়ির এক কোণে জরাজীর্ণ ঝুঁপড়িঘরে পরিবার নিয়ে তার বসবাস। কৃষক বাবলু মোল্লা গুরুদাসপুর উপজেলার বিলসা গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহান মোল্লার ছেলে। ওই বসতবাড়ির প্রায় ৮ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে বিবাদী মো. রওশন আলী, কামরুল ইসলামসহ তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় কৃষক বাবলু গত বৃহস্পতিবার রওশন আলী, কামরুল ইসলাম, আজিজ মোল্লাসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। থানায় অভিযোগ দেয়ার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ প্রশাসন। বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে নিজের জায়গা ফেরত চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী বাবলুর পরিবার।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানাজায়- বিবাদী মো. রওশন আলী ও কৃষক বাবলু মোল্লার বাড়ি পাশাপাশি। নিজের জমির সাথে বাবলুর ৮শতাংশ জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করেন রওশন। এসময় সার্ভেয়ার দ্বারা মাপযোগ করে তাদের জায়গার উপর ঘর নির্মান করতে বলেন বাবলু। তার কোনো কথা না শুনে প্রভাবশালী হওয়ায় দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেন রওশন। এমনকি তাকে মারপিট ও খুন জখমের হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়রা আরো জানায় বাবলু দরিদ্র হওয়ায় আওয়ামীলীগের ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ ও হয়রানি করেন রওশন। এখন আবার তার বসতবাড়ির জমি জোরপূর্বক দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছেন।
অভিযুক্ত রওশন আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ তুলে ধরে বাবলু বলেন, বালসা মৌজার ১০৭০ খতিয়ানের ৮৭৯ দাগে আমাদের ১১ শতাংশ জমি (বসতভিটা) আছে। রওশন প্রভাবশালী হওয়ায় বিভিন্ন সময় আমাদের নানাভাবে হয়রানি করছে। আমার বসতবাড়ির ৮ শতাংশ জমি দখল করে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছে। সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে ঘর নির্মাণের কথা বললে সে আমাকে মারপিট, খুন-জখমের হুমকি দেয়। নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও জমি ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি প্রশাসন। ইতোমধ্যে ঘরের দেয়াল নির্মাণ করেছেন রওশন। আমি আমার জমি ফেরত চাই।
প্রতিবেশী রোজিনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রভাবশালী রওশন ও তার ভাই-ভাতিজারা মিলে তাদের ৩৬ শতাংশ জমি দখল করে নিয়েছে। তারা এখন অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন। এলাকার অনেকের জমি রওশন আলী দখল করে রেখেছে। রোজিনা বেগমও তাদের জমি ফেরত চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
রওশন আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বাবলু আমার ভাতিজা। প্রায় ৪০ বছর আগে বাবলুর বাবা ওই জমি আমার কাছে বিক্রি করেছিলেন। ভাই মারা যাওয়ায় সময় জমি রেজিস্ট্রি করা হয়নি। বর্তমানে ওই জমিতে আমি ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাবলু তার জমি বলে দাবি করে।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার রুহুল আমিন বলেন, বাবলু ও রওশনের বিষয়টি তাদের পারিবারিক। বিষয়টি তারা আমাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা আর আমার কাছে আসেননি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
T.A.S / জামান

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সেকাল-একাল বই এর মোড়ক উন্মোচন

বড়লেখায় ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে কলেজছাত্রী আহত, চালক আটক

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার
