ঢাকা মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে আস্থার সংকটে ইসলামী ফ্রন্টের মতিন-সামাদ


চট্টগ্রাম অফিস photo চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশিত: ২৩-৯-২০২৪ দুপুর ১:৯

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এমএ মতিন ও মহাসচিব স উ ম আব্দুস সামাদ তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে আস্থার সংকটে ভুগছেন। গত সাড়ে ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে সখ্যতা রেখে রাজনীতি এবং মাঠপর্যায়ে জোরালো কোনো কর্মসূচি না থাকায় সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ঝিমিয়ে পড়েছে।

২০১৪ সালে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ইসলামী ফ্রন্ট নেতা মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকী হত্যাকাণ্রডে ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়ে নতুনভাবে আলোচনায় এলেও সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে কিছু নেতার সখ্যাতা থাকায় পরবর্তীতে আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি বলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিমত।

গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ইসলামী ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা জামানত হারান। উক্ত নির্বাচনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও পরিষ্কার করা হয়নি। বর্তমান সময়ে এসে বিএনপি-জামায়াতবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে বিভিন্ন ইস্যু কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হলে এতে তৃলমূল নেতাকর্মীরা সাড়া দিচ্ছেন না এবং গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ইসলামী ফ্রন্টের কেন্দ্রীয়ভাবে কোনো দিকনির্দেশনা ছিল না। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দলীয় সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ গন্তব্যহীন। 

গত ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের জাতীয় কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মাওলানা এমএ মতিন চেয়ারম্যান ও স উ ম আবদুস সামাদ মহাসচিব নির্বাচিত হন। রাজধানী ঢাকার রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ইসলামী ফ্রন্টের তৎকালীন কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আল্লামা এমএ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এমএ মতিন, পীর সৈয়দ শহীদ উদ্দীন আল হাসানী আল মাইজভান্ডারী, সৈয়দ মসিহুদ্দৌলা, ড. আল্লামা আফজাল হোসাইন, আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী হারুন, অধ্যক্ষ আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, শাইখ আবু সুফিয়ান খান আবেদী আলকাদেরী, অধ্যক্ষ আবু জাফর মুঈনুদ্দীন, সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, শাইখুল হাদীস হাফেজ আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবায়ের রেজভী, কাজী সোলাইমান চৌধুরী, কাজী জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী,  কাজী মুহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন দুলাল, মুফতি মাহমুদুল হাসান আলকাদেরী, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অধ্যাপক জালাল উদ্দীন আল আজহারী, সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ্, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তৈয়ব আলী, মাওলানা রেজাউল করীম তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, অধ্যাপক মনসুর দৌলতী, গোলাম মাহমুদ ভূঁইয়া মানিক, মাসুম বিল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা এমএ মান্নান।

এছাড়াও মাওলানা মন্জুর আলম, অধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন মোহাম্মদ খালেদ, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কদম রসুলি, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল নবী, মোহাম্মদ আশরাফ শাহ্, অধ্যাপক নুরুল আলম, জাহিদুল ইসলাম, এম এ মুস্তফা হেজাজী, মাওলানা মুহিত হাসানী, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ আঁখঞ্জী, মাওলানা সোলাইমান খান রাব্বানী, সাইফুদ্দিন আহমদ, অধ্যক্ষ গোলাম সরওয়ার, অধ্যক্ষ জালাল উদ্দীন আলকাদেরী, অধ্যাপক রিদওয়ান আশরাফী, মুফতি হাফেজ গোলাম কিবরীয়া, সৈয়দ হাসান আল আজহারী, আবদুল মোস্তফা রাহীম আল আজহারীসহ কেন্দ্রীয় এবং জেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন।

গত বছর এমএ মতিনের নিজ এলাকা আনোয়ারা উপজেলায় ইসলামী ফ্রন্টের পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি সিনিয়র নেতাদরে হস্তক্ষেপে সমাধান করার কথা থাকলেও পরবর্তী বিষয়টি মিডিয়ায় প্রকাশ হয়নি। গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ইসলামী ফ্রন্ট দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে। এরপর থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে দিন দিন দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। সুন্নী মতাদর্শের তিনটি সংগঠনকে একীভূতকরণের জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের গণদাবি উঠেছে।

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী দপ্তর সচিব অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম বলেন, সুন্নীভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিতকরণের জন্য একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠপর্যায়ে কর্মসূচি দেয়ার পরিকল্পনা আছে। দেশে বর্তমান চলমান অরাজকতা, ধমীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, এখন আমাদের ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচি দিয়ে মাঠপর্যায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রেসিডিয়াম মেম্বার এসএম সোলায়মান ফরিদ বলেন, সমমনা ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে একটি জোট করার পরিকল্পনা হাতে রয়েছে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ও  ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশসহ কয়েকটি দল নিয়ে মাঠ গোছানোর চেষ্ঠায় আছি। জোটের চেয়ারম্যান-মহাসচিব কারা হবেন, সেটা জোটগতভাবে সিদ্ধান্ত হবে। তবে আমাদের নেতাকর্মীদের সাথে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কোনো ধরনের দূরত্ব নেই। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা এমএ মতিন বলেন, আমরা ইসলামী রাজনীতি করি। কেউ পদ-পদবির জন্য রাজনীতি করেন না। তৃণমূল নেতাকর্মীরা হচ্ছে আমাদের প্রাণশক্তি। সব সময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করি। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নেতৃত্বে দেশে বৃহত্তর একটি ইসলামী রাজনৈতিক জোট হবে। জোট গঠন করার পর মাঠপর্যায়ে কর্মসূচি শুরু করব। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট কখনো আওয়ামী লীগের জোটে ছিল না। গত ১৫ বছরে আমরাও বিভিন্ন মামলা-হামলার শিকার হয়েছি।

এমএসএম / জামান

সেতু নির্মাণে আশার আলো দেখছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ

মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে ধ্বংস

পূর্বধলায় বাসচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, কয়েক ঘণ্টা পর হৃদরোগে চালকের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌরসভার আয়োজনে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিছন্নতা অভিযান

রাণীশংকৈলে সোনার পুতুল প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রেফতার-৫

ত্রিশালের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন আকন্দ গ্রেপ্তার

নড়াইলে ডাকাতিকালে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা, রায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের দাবিতে মানবিক কুমিল্লা'র মানববন্ধন

শ্রেষ্ঠ পদক পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

শ্রীপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবসায়ীদের হামলা, সার্ভেয়ার আহত

মোহনগঞ্জে দুই চিকিৎসকের অবৈধ বসবাস করায় সিভিল সার্জনের তদন্ত নির্দেশ

রাণীনগরে ঝড়ে নৌকা ডুবে মৎস্যজীবি নিহত