ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে রোহিঙ্গা ভোটার ঠেকাতে ইসির বিশেষ উদ্যোগ


চট্টগ্রাম অফিস photo চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশিত: ২৪-৯-২০২৪ দুপুর ৪:২৬

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের কারণে নতুন ভোটার হতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল চট্টগ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের। এবার সেই ভোগান্তি থেকে রেহাই মিলেছে। তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে চারটি কাগজ হলেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের ‘শিথিলবার্তা’ জানাতে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী।

সভায় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী জানান, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বিশেষ এলাকায় বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ও ভিনদেশি কোনো নাগরিক যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে। এর জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি সহজ করতে এ সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে।   

তিনি জানান, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫টি জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি,খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এলাকাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।এসব বিশেষ এলাকার নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির ভোটার হতে এসএসসি/সমমান বা তদুর্ধ্ব অনলাইন সনদ, ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ,ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ এবং বাবা-মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হবে। তবে সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান হলে সরকারি চাকরির প্রমাণ স্বরূপ অফিস প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত সার্ভিস বইয়ের কপি, নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র প্রদান করতে হবে। 

যদি এসএসসি/সমমান বা তদূর্ধ্ব সনদ না থাকে তাহলে তাদের ‘বি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এক্ষেত্রে ভোটার হতে ভেরিফাইয়েবল কিইআর কোডযুক্ত অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ও অনলাইন নাগরিকত্ব সনদ ছাড়াও বাবা-মায়ের এএফআইএস (অটোমেটিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) যাচাই, স্থায়ী বাসিন্দা সনদ (জেলা প্রশাসন অথবা পার্বত্য অঞ্চলের ক্ষেত্রে রাজা কর্তৃক প্রদত্ত) অথবা ভূমিহীন সনদ, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের রশিদ বা পর্চা, পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে তবে তার কপিও সংযুক্ত করতে হবে। যদি বাবা-মায়ের মধ্যে একজন বেঁচে থাকে এবং তিনি ভোটার হয়ে থাকলে তার এএফআইএস যাচাই এবং অন্যজনের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে। আর বাবা-মা কেউ বেঁচে না থাকলে উভয়ের অনলাইন মৃত্যু সনদ দাখিল করতে হবে।অন্যদিকে,বিশেষ এলাকার যে সকল বাসিন্দা ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ক্যাটাগরি ‘এ’ এবং ক্যাটাগরি ‘বি’ এর আওতায় পড়বে না তাদের ‘সি’ ক্যাটাগরি হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সেক্ষেত্রে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম বিশেষ কমিটির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। 

সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুছ আলী ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক।  

জানা গেছে, রোহিঙ্গারা সমতলে ছড়িয়ে পড়ায় ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সব উপজেলাকে বিশেষ এলাকা ঘোষণা করে ইসি। ৩২টি উপজেলা/থানার ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের নিবন্ধনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ‘বিশেষ কমিটি’ গঠন করা হয়। ওই কমিটির যাচাই-বাছাই এবং সুপারিশ প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়।

এমএসএম / জামান

ধামইরহাটে ওয়ার্ড কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে সাংবাদিক  হেনস্তার শিকার

পটুয়াখালীতে আলোচি লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যা মামলা: তিন আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

দোহারে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদযাপন

হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশের উপর আক্রমণ করে গ্রেফতার হল শিবির নেতা

তজুমদ্দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুইজন আটক

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ব্রিজের ব্লক নির্মাণে এলজিইডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে যুবককে কুপিয়ে যখম

জয়পুরহাটে ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

সিরাজদিখানে ১২৮জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও সরঞ্জাম বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বগুড়ায় বিষপানে স্ত্রীর আত্মহত্যা: স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক

৮ দফা দাবীতে খুলনা বিভাগের সিএইচসিপিদের মানববন্ধন