ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে নোনা ইলিশ শুঁটকি তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকরা


চট্টগ্রাম অফিস photo চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশিত: ২৬-৯-২০২৪ বিকাল ৫:৫২

ইলিশের সরগরম মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই ব্যস্ত সময় কাটছে মৎস্যজীবীদের। কেউ ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সাগরে,কেউ ব্যস্ত বাজারে ইলিশ বিক্রিতে। আবার কারো সময় কাটছে ইলিশ নিয়ে নানান পদ তৈরিতে।ইলিশ খেতে কে না পছন্দ করে। তাজা ইলিশের একরকম স্বাদ আবার নোনা ইলিশের স্বাদ আরেক রকম। নোনা ইলিশের কদর রয়েছে চট্টগ্রামবাসীর কাছে। 

এখন ইলিশের মৌসুমে ব্যস্ততা বেড়েছে নোনা ইলিশ শুঁটকি তৈরিতে। নগরীর আছদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জ শুঁটকি পল্লী, দক্ষিণ কাট্টলী ও ফিশারিঘাট এলাকায় গড়ে উঠেছে নোনা ইলিশের অন্তত অর্ধশত গুদাম। নোনা ইলিশ তৈরিতে এসব এলাকায় শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। জানা যায়, সাগর থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে ফেরার পথে বরফ ও মাছের চাপে কিছু সংখ্যক মাছ নরম হয়ে যায়। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী অল্পমূল্যে এই মাছ কিনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে কাটা বা নোনা ইলিশ তৈরি করে। ইলিশের মৌসুমে তিন মাসে প্রায় কোটি টাকার নোনা ইলিশ বিক্রি হয়। 

চাক্তাই শুঁটকি পট্টি এলাকার এম কে ট্রেডার্সে কর্মরত শ্রমিক কাশেম বলেন,ইলিশ মাছকে নোনা ইলিশে পরিণত করার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। নিয়মানুযায়ী ১ কেজি ইলিশ মাছে ২৫০ গ্রাম লবণ এবং ২ টেবিল চামচ হলুদের গুড়া দরকার হয়। ইলিশ মাছ পেট কেটে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে ১ ঘণ্টার জন্য পানি ঝরাতে হবে। পানি ঝরানো হয়ে গেলে মাছের গায়ে খুব ভালোভাবে হলুদ-লবণের মিশ্রণটি মিশিয়ে লাই বা হারাংয়ের (বাঁশের তৈরি ঝুড়ি) মধ্যে বা পরিস্কার কোন জায়গায় সারি সারি করে রেখে দিতে হবে। তারপর লবণ পানি ঝরে গেলে রোদে শুকাতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এখন মৌসুম শুরু, সাগর থেকে তাই দিনে দু’বার করে ইলিশ ঢুকছে এসব গুদামে।ফিশারিঘাটের গুদামে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্রমিকরা। প্রথমে ইলিশ মাছ ধুয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। তারপর নাড়িভুঁড়ি কেটে বের করে নারী শ্রমিকেরা। এরপর ছোট আকৃতির মাছ হলে পিঠ বরাবর দুই ফালি করে কাটা হয়, মাঝখানের অংশে লবণ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। আর বড় আকৃতির হলে দুই পাশে ফালি করে কাটা হয়, তারপর পুরো মাছে লবণ দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়।নারী শ্রমিক আমেনা বেগম বলেন,এখানে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করছি। আমাদের এ সময় বেশ ভালো আয় হয়।

ব্যবসায়ী ও গুদাম মালিক মো. রফিক  বলেন, নোনা ইলিশ কেনার পর আমরা বিশেষ ধরনের কুয়ায় সাজিয়ে রাখি। ইলিশের ওপর বাঁশের মাচা দেওয়া হয়। মাচার ওপর প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে ওপরে পানি দিয়ে রাখা হয়। এভাবে রাখলে এক বছর পর্যন্ত ইলিশ সংরক্ষণ করা যায়। 

আড়তদার জানে আলম  জানান,চট্টগ্রামের এক একটি আড়ত থেকে প্রতি মৌসুমে কয়েক লাখ টাকার নোনা ইলিশ বিক্রি হয়। এখান থেকে বছরে অন্তত তিন-চার কোটি টাকার ইলিশ সরবরাহ হয়। চাহিদা থাকায় চট্টগ্রামে নোনা ইলিশকে ঘিরে একধরনের শিল্প গড়ে উঠেছে ফিশারিঘাট এলাকায়। 

এমএসএম / জামান

ধামইরহাটে ওয়ার্ড কমিটির ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে বিএনপির কর্মসূচিতে সাংবাদিক  হেনস্তার শিকার

পটুয়াখালীতে আলোচি লামিয়া ধর্ষণ ও আত্মহত্যা মামলা: তিন আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড

দোহারে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫ উদযাপন

হাটহাজারী মডেল থানা চত্বরে পুলিশের উপর আক্রমণ করে গ্রেফতার হল শিবির নেতা

তজুমদ্দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দুইজন আটক

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ব্রিজের ব্লক নির্মাণে এলজিইডির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে যুবককে কুপিয়ে যখম

জয়পুরহাটে ফুটবল ও সাঁতার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

সিরাজদিখানে ১২৮জন গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও সরঞ্জাম বিতরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স স্থগিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বগুড়ায় বিষপানে স্ত্রীর আত্মহত্যা: স্বামীসহ পরিবারের সবাই পলাতক

৮ দফা দাবীতে খুলনা বিভাগের সিএইচসিপিদের মানববন্ধন