লোহাগাড়ায় বন কর্মকর্তাদের ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন কর্মকর্তা এবং চুনতি রেঞ্জ ও সাতগড় বন বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় এক হাজার ফলদ গাছ ও ৯টির অধিক মৎস্য ঘের কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ দাবি ও ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চুনতি জাঙ্গালীয়া বড় ডেপাঘোনা এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই তিন কর্মকর্তাকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন বিভাগের জায়গায় একটি খুপরি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করতেও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে করতে হয়। অন্যথায় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মামলা দিয়ে দেয়। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, চুনতি রেঞ্জের কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সাতগড় বন বিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পর অপসারণ দাবি করছি। তারা ঘুষ বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ হয়রানি করে প্রতারণা করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান বক্তারা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- মো. জাকারিয়া, হাবিবুর রহমান, মো. ইসমাঈল, মো. আইয়ুব, মো. মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মো. আলম মেম্বার, আবু সাঈদ, মো. সোহেল প্রমুৃখ।
ভুুক্তভোগী মো. ইসমাঈল বলেন, আমার বড় ভাই সাজেদা এগ্রো ফিশের মালিক। আমাদের নিজস্ব জমিতে সাজেদা এগ্রো ফিশের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাছের প্রজেক্ট করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছর বন বিভাগের লোকজনদের বিভিন্ন হারে চাঁদা দিতে হতো। স্বৈরচারী সরকার পতনের পর আগের ন্যায় ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করা হয় । চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বহিরাগত লোকজন নিয়ে বন কর্মকর্তা (এসিএফ) দেলোয়ারের নেতৃত্বে ৯টি মৎস্য ঘেরের পাড় ও এক হাজার ফলদ গাছের চারা কেটে ফেলা হয়। ওই দিন মৎস্য ঘেরে থাকা কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ভয় দেখানো হয়। ফলে আমার ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চুনতি বন রেঞ্জর সাতগড় বন বিটের আওতাধীন জাঙ্গালীয় বড় ডেপাঘোনা এলাকায় সরকারি সমাজিক বনায়ন ঘেঁষে ৯টি মৎস্য ঘের। সবকটি ঘেরের পাড় কেটে দেয়া হয়েছে এবং এখন সেগুলে পানিশূন্য। খামারবাড়ি সংলগ্ন লেবু বাগানের গাছ কেটে ফেললেও আশপাশের গাছগুলো অক্ষত আছে।
আরেক ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, বিটিশ আমল থেকে আমার পূর্বপুরুষরাও বড় ডেপাঘোনায় চাষাবাদ করে আসছেন। এখন আমরা চাষাবাদের পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করছি জীবনধারনের জন্য। পরিবেশ নষ্ট হওয়ার মতো কোনো কাজ করছি বলে মনে হয়নি। হঠাৎ দলবল নিয়ে বন বিভাগের লোকজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কেটে দেয় মৎস্য ঘের ও ফলদ গাছ। ঘুষ দিলে সবই সম্ভব বন বিভাগে। ঘুষ না দেয়ায় আজ এই পরিণতি।
এদিকে, অভিযুক্ত বন কর্মকর্তাদের মুঠোফোনে কল দেয়ার পর রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এমএসএম / জামান

সেতু নির্মাণে আশার আলো দেখছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ

মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে ধ্বংস

পূর্বধলায় বাসচাপায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু, কয়েক ঘণ্টা পর হৃদরোগে চালকের মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পৌরসভার আয়োজনে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিছন্নতা অভিযান

রাণীশংকৈলে সোনার পুতুল প্রতারণার শিকার হয়ে গ্রেফতার-৫

ত্রিশালের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হুমায়ুন আকন্দ গ্রেপ্তার

নড়াইলে ডাকাতিকালে গৃহকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা, রায়ে পাঁচ ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

রাণীশংকৈলে বিনামূল্যে সার-বীজ বিতরণ

কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণের দাবিতে মানবিক কুমিল্লা'র মানববন্ধন

শ্রেষ্ঠ পদক পাওয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

শ্রীপুরে উচ্ছেদ অভিযানে ব্যবসায়ীদের হামলা, সার্ভেয়ার আহত

মোহনগঞ্জে দুই চিকিৎসকের অবৈধ বসবাস করায় সিভিল সার্জনের তদন্ত নির্দেশ
