ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা


কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও photo কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ২৮-৯-২০২৪ দুপুর ৪:১

ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. দবিরুল ইসলাম ও ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। গত বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁওয়ে মামলাটি দায়ের করেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়মাছখুড়িয়া গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল জব্বার (৫৫)।

সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত বালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁওয়ের বিচারক রহিমা খাতুন মামলাটি গ্রহণ করে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোনো অপমৃত্যু মামলা বা জিআর মামলা হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে রিপোর্ট দাখিলের জন্য বালিয়াডাঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেন। নালিশকারীকে অতিসত্বর প্রসেস দাখিলের নির্দেশ প্রদান করে আগামী ১৭ অক্টোবর তদন্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তিসাপেক্ষে আদেশের দিন ধার্য করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অত্র উপজেলার ১নং পাড়িয়া  ইউনিয়নের ইউপি সদস্য পদে মামলার ১নং আসামি শাহ আলম তৎকালীন আওয়ামীলীগ দলীয় প্রথী হিসেবে (টিউবওয়েল) প্রতীকে অংশ নেন। তার সাথে একই পদে স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন (তালা), সামশুল হক (মোরগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দিতা করেন।

২০১৬ সালের ৭ মে (ঘটনার দিন) স্থানীয় ৭নং ভোট কেন্দ্র কালডাংগা দাখিল মাদ্রাসায় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহন শুরু হয়ে চলতে থাকে। কিন্তু দুপুর ১টার দিকে মামলার ১নং আসামি শাহ আলম তার পরাজয়ের আশংকা থেকে ভোটকেন্দ্রে গন্ডগোল শুরু করেন। এ সময় আসামিরা প্রায় ১শ থেকে দেড়শো সন্ত্রাসী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্র থেকে মারপিট করে বের করে দেন। পরক্ষণেই আসামিগণ প্রার্থীদের পুলিং এজেন্টদের বাহিরে বের করে দিয়ে চুড়ান্ত ফলাফলের কাগজ অর্থাৎ রেজাল্ট শীটে পছন্দমত ভোট বসিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তাদেরও বের করে দেওয়া হয়।

এ সময় স্থানীয় মানুষজন ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য এগিয়ে গেলে পৌনে ২ টার দিকে ৪/৫ নং আসামির হুকুমে অন্যান্য আসামিগণ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দ্বারা মাদ্রাসা মাঠের সাধারণ ভোটারদের উপর আক্রমন করে। এ সময় অনেকেই গুরুতর আহত হন। একপর্যায়ে ৪/৫ নং আসামির হুকুমে (১,২,৬,৭,১৭) নং আসামিগণ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের রইফেল কেড়ে নিয়ে নিরীহ জনসাধারণের ওপর গুলি চালানো শুরু করে। এ সময় মামলার বাদীর ছেলে মো. মাহাবুব আলম পল্টু ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পুলিশ তার লাশ প্রথমে বালিয়াডাঙ্গী হাসপাতাল পরের দিন ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতাল মর্গে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও ময়নাতদন্ত করে তৎকালীণ বালিয়াডাঙ্গী থানা পুলিশ গ্রামের বাড়িতে উপস্থিত থেকে মরদেহ দাফন করায়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে কোনো মামলা নেয়নি পুলিশ।

এ ঘটনায় আসামিরা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. দবিরুল ইসলাম, ছেলে মাজহারুল ইসলাম সুজন, মোমিনুল ইসলাম ওরফে সুমন, ভাই আলহাজ্ব মো. শফিকুল ইসলাম, ভাতিজা আলী আসলাম জুয়েলসহ ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। 

এমএসএম / জামান

বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

পত্রিকা পরিবেশক শফির পিতার সুস্থ্যতা কামনা

জুয়া খেলায় হেরে পার্টনারকে হত্যা, আসামীর যাবজ্জীবন

কুমিল্লায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ

নবীনগরে ডাকাতি হওয়া সারের জাহাজ উদ্ধার

পূর্বধলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার

নড়াইলে অ্যারাইজ আইএনএইচ জাত ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

কেরানীগঞ্জে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো সাদ পন্থীদের তাবলীগের জোড়

সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিল করায় সম্মাননা পেলেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের আটপাড়া উপজেলা পরিদর্শন

অপরাধীদের কোন ছাড় নেই, মিলেমিশে রূপগঞ্জ গড়বো আমরাঃ মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু

ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পিরোজপুরে কৃষকদলের আলোচনা সভা

রাণীশংকৈলে একমাথা, দু'মুখ ও চার চোখ বিশিষ্ট অদ্ভুত বাছুর প্রসব, এলাকায় চাঞ্চল্য