সকালের নাশতায় গাজরের জুস কেন রাখবেন?
গাজর সারা বছর পাওয়া যায়। এ সবজি মোটামুটি সব ধরনের পদ, সালাদ ও নিরামিষের সঙ্গে মানিয়ে যায়। এটি পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজে ভরপুর।
প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে আছে ৫৭ কিলোক্যালোরি খাদ্যশক্তি, প্রোটিন ১২ গ্রাম, স্নেহ ০.২ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১২৭ গ্রাম, খনিজ ০.৯ গ্রাম, ক্যারোটিন ১০৫২০ মাইক্রো গ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.০৫ মি. গ্রাম, ভিটামিন সি ২.২ মি.গ্রাম, লৌহ ২.২ মি.গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মি.গ্রাম। আর তাই গাজর কিংবা গাজরের জুস খেলে চোখ ভালো রাখা থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ—ছোট বড় অনেক রোগ থেকে মুক্তি মিলে।
ভিটামিন সি-এর উৎপাদন বাড়ায়ঃ যাঁরা সহজেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হন, তাঁরা প্রতিদিন গাজরের জুস পান করতে পারেন। গাজরে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি থাকে। এই ভিটামিনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। গাজরে থাকে ভিটামিন বি৬, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। তাই নিয়মিত গাজরের জুস খেলে সংক্রমণজনিত রোগে ভোগান্তির আশঙ্কা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমে সহায়তাঃ গাজরে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই গাজরের রস পান করলে পেট সংক্রান্ত অনেক সমস্যাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরে মে থাকা দূষিত পদার্থ দূর করতেও সাহায্য করে গাজরের রস।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ গাজরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় গাজর খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। বার বার খাওয়ার প্রবণতাও কমে। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাঁরা খাদ্যতালিকায় গাজরের জুস রাখুন।
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ গাজরে ভরপুর বিটা ক্যারোটিন থাকে, যা চোখের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক ক্যারোটিনয়েড জাতীয় উপাদান থাকে যা ক্ষতিকর আলোকরশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। বার্ধক্যজনিত দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের ঝুঁকি কমাতেও কাজ করে গাজর। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গাজর কিংবা গাজরের জুস রাখতে পারেন।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ গাজর ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। কোলাজেন বাড়লে ত্বক সুন্দর থাকে। গাজরে থাকা ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বকের কোষকে রক্ষা করে।
T.A.S / T.A.S