ঢাকা শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা

ভবদহ অঞ্চলে চাহিদার তুলনায় অপর্যাপ্ত ত্রাণ, পানিবন্দিদের মানবেতর জীবনযাপন


মতিন গাজী, অভয়নগর photo মতিন গাজী, অভয়নগর
প্রকাশিত: ৩-১০-২০২৪ দুপুর ২:৫৫

যশোরের ভবদহ অঞ্চলের অভয়নগর উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও নদীর পানি ঢুকে পড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলেও জলাবদ্ধ গ্রামগুলোতে নতুন করে পানি বাড়তে শুরু করেছে। উপজেলার চলিশিয়া, পায়রা, সুন্দলী ও প্রেমবাগ ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম ছাড়াও নতুন করে আরো ৫ গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ। চাহিদার তুলনায় জলাবদ্ধ এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ কম হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এ কারণে শত শত পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মুশফিকুর রহমান জানান, চলিশিয়া, পায়রা, সুন্দলী ও প্রেমবাগ ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের ৩ হাজার ৩৫০ পরিবারের প্রায় ১৩ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে এখন হাঁটুপানি। ইতোমধ্যে ১৫ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ৩ ধাপে প্রায় ১৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে শুকনা খাবার ও ১০ টন চালসহ এক লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে জলাবদ্ধ এলাকার ৪ ইউনিয়ন পরিষদে জেলা প্রশাসক কর্তৃক জিআর (ত্রাণকার্য, চাল ও নগদ অর্থ) বরাদ্দের ১৫ টন চাল ও ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। তৃতীয় ধাপে পরিবারপ্রতি ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ঢাল, ১ লিটার তেল, আধাকেজি লবণ, এক প্যাকেট মশার কয়েল ও ২টি মোমবাতি বিতরণ চলমান রয়েছে। চাহিদার তুলনায় ত্রাণ সরবরাহ কম আসছে।

সরেজমিন পানিবন্দি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা পরিবারগুলো সপ্তাহ অন্তর ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় থাকা পরিবারগুলো গত ১৬ দিনেও কোনো ত্রাণ সহায়তা পায়নি। বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণে দেয়া হচ্ছে না। জলাবদ্ধ এলাকায় বাড়িঘরে যাতায়াত করতে নৌকা ও বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হচ্ছে।

পায়রা ইউনিয়নের দীঘলিয়া গ্রামের হুমায়ন কবীর বলেন, তাদের ইউনিয়নের ভবদহ ও দীঘলিয়া গ্রাম অবহেলিত। কারণ এই দুই গ্রামের পানিবন্দি ৩২২ পরিবারের মধ্যে মাত্র ১৩৫ পরিবার সরকারি ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে। অন্য পরিবারগুলো একই ঘরের মধ্যে গৃহপালিত পশুর সঙ্গে মানবেতর জীবনযাপন করছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানিবন্দি সকল পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণের আহ্বান জানান তিনি।

সুন্দলী ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের মুড়ি বিক্রেতা প্রভাত রায় বলেন, পরিবারের সাত সদস্য নিয়ে খেয়ে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। এখনো কোনো ত্রাণ সহায়তা মেলেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন পানিবন্দি বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫০ জন গৃহবধূ। এ সময় তারা বলেন, অনেক দিন পার হলেও তাদের কাছে কোনো ত্রাণ সহায়তা পৌঁছেনি। পরিবার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে।

কয়েকজন গৃহবধূ বলেন, বেশিরভাগ গ্রামে মুখ চেনা পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করতে হবে।

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে অবস্থান করা পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব নয়। তেমন লোকবলও নেই। তবে বরাদ্দ অনুযায়ী প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো হচ্ছে। দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে চাহিদা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জামান / জামান

নড়াইলে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

জুড়ীতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্মৃতি কোয়াব ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

হাদি’র হত্যার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল

শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: পাঁচ ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ, জরিমানা ১৭ লাখ টাকা

চাঁদপুরে মাদকবিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু

রাঙ্গামাটিতে বিএনপি প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোবিপ্রবি উপাচার্যের শোক

রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক

হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থককে কুপিয়ে জখম, মামলা দায়ের

সাতগাঁও হাইওয়ে থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন সিলেট রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভুয়া চিকিৎসক আটক

কুমিল্লায় তিন বাস টার্মিনালে কর্মবিরতি ৪০ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি