বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার

থেমে নেই বিষ দিয়ে সুন্দরবনে মাছ শিকারের ঘটনা। অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছত্রছায়ায় অর্থের বিনিময়ে এমন ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে মৎস্যকুল। এছাড়াও বিষাক্ত মাছ মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষ দিয়ে ধরা মাছ প্রকাশ্যে মৎস্য আড়ত এবং হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সুন্দরবনঘেঁষা বিভিন্ন মৎস্য আড়ত থেকে এসব মাছ ছড়িয়ে পড়ছে পুরো খুলনা অঞ্চলে। খুলনার বিভিন্ন আড়ত হয়ে খুচরা বাজারেও যাচ্ছে এসব মাছ।
পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা তো মোকামের মাছ নিচ্ছি। কোনটা বিষ দিয়ে ধরা আর কোনটা বিষ ছাড়া ধরা, তা বোঝার উপায় নেই। তবে বিষ দিয়ে মাছ ধরা উচিত নয় বলে তারা মন্তব্য করেন।
সুন্দরবনসংলগ্ন স্থানীয়রা জানান, সুন্দরবনের ঢাংমারী, মরাপশুর, জোংড়া, ঝাপসি, ভদ্রা, নীল কমল, হরিণটানা, কোকিলমুনী, হারবাড়িয়াসহ আশপাশ এলাকায় বনসংলগ্ন স্থানীয় অসাধু কিছু জেলে নামধারী মৎস্যদস্যু বিষ দিয়ে মাছ ধরছে। বেশি মুনাফার আশায় সুন্দরবনের বিভিন্ন নিষিদ্ধ খালেও বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হয়। বিষাক্ত পানি সুন্দরবনের বিভিন্ন খাল থেকে ভাটার সময় নদীতে নেমে আসে। এ কারণে মাছ মরে যাওয়ায় এখন নদীতে আর ছোট-বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। বিষ প্রয়োগের ফলে জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার পরও সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের ধ্বংসযজ্ঞ থামছে না। বেশি মুনাফার আশায় সুন্দরবনের বিভিন্ন নিষিদ্ধ খালেও বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এর সাথে বন কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, একদিকে ঢাংমারী, মরাপশুর, জোংড়া, ঝাপসি, ভদ্রা, নীল কমল, হরিণটানা, কোকিলমুনী, হারবাড়িয়া এবং অন্যদিকে কালিরচর, সিসখালী, ছদনখালী, কাগাব্দী, মরা বগা ও কেওড়াতলী খাল, ভোমরখালী, কুকুমারী, বড় কুকুমারী, ভোমরখালী, খলিশাবুনিয়া খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরছে মৎস্যদস্যুরা। আর অর্থের বিনিময়ে বন কর্মকর্তারাই এতে সহায়তা করছেন। প্রত্যেক জেলে বাবদ নেয়া হয় মোটা অংকের টাকা। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বিষাক্ত পানির মাছ খেলে মানুষের পেটের পীড়াসহ কিডনি ও লিভারে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ বিষয়টি স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিষমিশ্রিত মাছ না খাওয়ার জন্য জনসাধারণকে সজাগ থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের বড় অংশ জুড়ে রয়েছে জলাভূমি। জালের মতো ছড়িয়ে রয়েছে ৪৫০টি নদ-নদী। আর এই নদ-নদীতে রয়েছে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ। প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার মাছ বিষ প্রয়োগে মারা হচ্ছে। এতে মাছের প্রজাতি ধ্বংসের পাশাপাশি মৎস্য প্রজনন চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া বিষাক্ত পানি পান করে বাঘ, হরিণসহ বনের বিভিন্ন প্রাণীও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সুন্দরবনে সরাসরি অভিযানের অনুমতি না থাকায় মৎস্য বিভাগ অভিযানে যেতে পারছে না।
তিনি বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ স্থানীয় জনগণকে আরো সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
বন বিভাগের অধস্তন কর্মচারীরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
T.A.S / জামান

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক রাজেন রায় গ্রেফতার

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব

সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকতার আড়ালে দেহব্যবসা ব্ল্যাকমেইলিং কথিত ৩ সাংবাদিককে গণপিটুনী

ধামইরহাটে বিএনপির ইফতার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সাতকানিয়ার তরুণের ট্রেনে ঝাপ দিয়ে মৃত্যু

কোনাবাড়ীতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি,যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

তামাক ক্ষেত থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ

শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম 'পটুয়াখালী সেনানিবাস‘ করার দাবীতে মানববন্ধন

ভাটা মালিকরা সরকারী কাজে ইট বিক্রি করবেন না

কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

হরিপুরে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও ৭ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ
