খুলনার সবজির বাজারে লাগামহীন দামে দিশেহারা সাধারন ক্রেতারা

খুলনার সবজির বাজার লাগামহীন দাম। দামের ভাঁড়ে ঝুকে পড়েছে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবার। অনেক পরিবারের প্রধান খাদ্যই সবজি আর ভাত-ডাল। এমন দামে মাছের বাজারে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে ক্রেতা সাধারনরা। নগরীর কাঁচা বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমনটাই জানা যায়।
সম্প্রতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ফসল, মাছ ও মুরগির খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে বাজারে কমে গেছে পণ্যের সরবরাহ। ফলে দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। নগরীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পটল ৭০-৮০ টাকা, লাল শাক ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচকলা ৩০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, বেগুন ৯০-১১০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, মানভেদে মরিচ ২২০-২৪০ টাকা, আলু ৫২-৫৪ টাকা, পেঁয়াজ ১০৫ টাকা, রসুন ২১০-২২০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, আকার ভেদে লাউ ৩০-৫০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ধেঁড়স ৬০ টাকা, আদা ১৪০ টাকা, শশা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নতুন বাজারের ব্যবসায়ী কামাল হোসেন বলেন, সবজির দাম একটু বেড়েছে। আমরা যেরকম দামে কিনি সেরকম দামে বিক্রি করতে হয়। কয়েকদিন আগে বন্যা ও বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে বলেই এমন দাম বলে তিনি জানান।
গল্লামারী বাজারের বিক্রেতা আকরাম উদ্দিন বলেন, এই দামে বিক্রি না করলে আমাদের চালান বাঁচানোই দায়। দোকান ভাড়া দেয়া লাগে। মাল আনা নেয়ার খরচ আছে। যেমন কিনি তেমন বেচি। নিজেরও তো বাঁচা লাগবে। লস করে বিক্রি করতে গেলে আমাদের সংসার তো আর চলবে না। মাছের বাজারে দেখা যায়, আকার অনুযায়ী প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৫০ টাকায়। এছাড়া চাষের পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৮০-২৫০ টাকা, আকার অনুযায়ী চাষের কৈ ৩০০-৪০০ টাকায় এবং দেশি কৈ বিক্রি শুরু হচ্ছে ৬০০ টাকা দরে, আকার অনুযায়ী চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-১২০০/১৫০০ টাকায়। অন্যদিকে, গত বুধবার ডিমের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। কিন্তু সরেজমিনে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়।
বিভিন্ন বাজারে সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকায় এবং লাল ডিমের দাম ১৩ টাকা থেকে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। এদিকে, ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা, কক ২৯০, সাদা লেয়ার ২৭০, সোনালি মুরগি ২৭০ এবং মোরগ ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রুপসা সান্ধ্যকালীন বাজারের ক্রেতা ফরহাদ হোসেন (২০ অক্টোবর) বলেন, সব কিছুর দাম বেড়েছে। ১০০ টাকায় দুই ধরনের সবজি কেনার উপায় নাই। ৫০০ টাকার সবজি কিনলে একটা ছোট পরিবারের বড় জোড় ৪ দিন যাবে। এমনভাবে জীবণ চালানো কষ্টকর বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নতুন বাজারের ক্রেতা শেখ শাহীন বলেন, পুষ্টির জন্য ডিমের উপর নজর থাকলেও, ডিমের দাম বৃদ্ধিতে নজর সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে। আর তরকারীর দাম তো কমার চেয়ে বাড়ে বেশী। কোন দিকে যাবো? বলার নাই কিছু বলে চলে যান তিনি। ব্যাংকার শাওন হোসেন বলেন, বাজার মনিটরিং করে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে। মনিটরিং শুরু হলে ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দেয়। এজন্য সব সময় নজরদারীর ওপর রাখতে হবে। সাধারন মানুষের অভিযোগ আমলে নিয়ে নিয়মিত তাৎক্ষনিক অভিযান চালানো যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
T.A.S / T.A.S

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক রাজেন রায় গ্রেফতার

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব

সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকতার আড়ালে দেহব্যবসা ব্ল্যাকমেইলিং কথিত ৩ সাংবাদিককে গণপিটুনী

ধামইরহাটে বিএনপির ইফতার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সাতকানিয়ার তরুণের ট্রেনে ঝাপ দিয়ে মৃত্যু

কোনাবাড়ীতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি,যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

তামাক ক্ষেত থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ

শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম 'পটুয়াখালী সেনানিবাস‘ করার দাবীতে মানববন্ধন

ভাটা মালিকরা সরকারী কাজে ইট বিক্রি করবেন না

কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

হরিপুরে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও ৭ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ
