ঢাকা শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

খুলনায় দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি ছাড়া ঘূর্ণিঝড় দানার কোনো বিরূপ প্রভাব নেই


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ২৫-১০-২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

দমকা হাওয়া এবং বৃষ্টি ছাড়া ঘূর্ণিঝড় দানার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়েনি খুলনা জেলায়। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর ভাটার টানে নেমে গেছে নদ-নদীর পানি। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকালে খুলনার কয়রা উপজেলার মদিনাবাদ এলাকার কপোতাক্ষ নদের পাড়, খুলনা শহর এবং এর আশপাশের উপজেলায় সকাল থেকে আকাশ ছিল রৌদ্রোজ্জ্বল। মাঝেমধ্যে মেঘ দেখা গেলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব অনেকটা কাটলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করছে। খুলনা অঞ্চলে দানার প্রভাব অনেকটা কেটেছে। তবে দুপুরে দানার প্রভাবের শেষ ধাক্কা হিসেবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত খুলনায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।

খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। ভৈরব, রূপসা ও কাজী বাছার পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের নিম্নাঞ্চল বাদে অন্য অঞ্চলে তেমন একট পানি জমেনি। জনজীবন এবং যান চলাচল একেবারে স্বাভাবিক।

তবে দানার প্রভাব কাটলেও খুলনা উপকূলের উপজেলায় মানুষের বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্ক এখনো কাটেনি। দাকোপ উপজেলার সুতারখালী গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগমনী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিশিত কুমার মণ্ডল বলেন, আইলা আমাদের সর্বস্বান্ত করে দিয়েছিল। এরপর থেকে ঝড়ের কথা শুনলেই আমাদের পরান কাঁপে। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে সুতারখালী নদী। নদীর ভাঙনে আমাদের গ্রামের তেলিখালী এলাকায় ওয়াপদা রাস্তা প্রায় বিলীন হতে চলেছে। যে কোনো জলোচ্ছ্বাসে একেবারে ভেঙে যাবে এই রাস্তা। তাই ঝড়ের কথা শুনে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবু এখন যে উঁচু জোয়ার হচ্ছে, তাতে ভয় আমাদের কাটেনি। এলাকার একমাত্র আমন ফসল ঘরে তুলতে পারব কি-না, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য খুলনার ৬০৪টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত কখনো থেমে থেমে আবার কখনো মুষলধারে বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টি অনেকটা কমে এলেও বৃহস্পতিবার রাতে আবার কয়েক দফায় বৃষ্টি ঝরে। শুক্রবার সকাল থেকে রোদ ওঠায় মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে।

বড় কোনো ক্ষতি ছাড়াই ঘূর্ণিঝড় দানা উপকূল পাড়ি দেয়ায় কয়রা উপজেলার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। গত দুদিন আতঙ্কে ছিলেন এ অঞ্চলের লাখো মানুষ। বৃহস্পতিবার দুপুরের তুলনায় শুক্রবার ভোরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পায়নি। এতে স্বস্তিতে আছেন কয়রার কপোতাক্ষ ও শাকবাড়িয়া নদ-নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার জোয়ারের তোড়ে ধসে যাওয়া কয়রার দশালিয়া এলাকার কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। দানার প্রভাব কেটে যাওয়ায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।

শুক্রবার সকালে কয়রার কপোতাক্ষ নদের পারের মদিনাবাদ এলাকায় বহু মানুষের ভিড় দেখা যায়। ভোরের জোয়ারে নদের পানি কতটুকু বেড়েছিল সেটি দেখতে এসেছেন তারা। সেখানে বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সারারাত একফোঁটাও ঘুম হয়নি। কখন না জানি বাঁধ ভেঙে যায়, এই চিন্তা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁধ ভেঙে যায়নি। সকালে আকাশ পরিষ্কার, বৃষ্টি নেই, ঝড় নেই। স্বস্তি পাচ্ছি।

T.A.S / জামান

বড়লেখায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক রাজেন রায় গ্রেফতার

লাখো রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারে জাতিসংঘ মহাসচিব

সিদ্ধিরগঞ্জে সাংবাদিকতার আড়ালে দেহব্যবসা ব্ল্যাকমেইলিং কথিত ৩ সাংবাদিককে গণপিটুনী

ধামইরহাটে বিএনপির ইফতার মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বাকেরগঞ্জে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভোক্তা অধিকারের জরিমানা

ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে সাতকানিয়ার তরুণের ট্রেনে ঝাপ দিয়ে মৃত্যু

কোনাবাড়ীতে মহানবীকে নিয়ে কটুক্তি,যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিলো জনতা

তামাক ক্ষেত থেকে মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে নাগরপুর থানা পুলিশ

শেখ হাসিনা সেনানিবাসের নাম 'পটুয়াখালী সেনানিবাস‘ করার দাবীতে মানববন্ধন

ভাটা মালিকরা সরকারী কাজে ইট বিক্রি করবেন না

কুমিল্লায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় আতশবাজি জব্দ

হরিপুরে ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা ও ৭ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ

টিসিবি পন্য পরিমাপে ডিলারের চুরি