ঢাকা শুক্রবার, ১ আগস্ট, ২০২৫

খুবির অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালকের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ


অর্ক মন্ডল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় photo অর্ক মন্ডল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ৬-১১-২০২৪ দুপুর ১২:৩৩

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক সেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন একই বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার (অবসরপ্রাপ্ত) মোঃ রহমত আলী। কর্মদিবসে তার নিজ কক্ষে গিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন, যেখানে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।

অভিযোগপত্রে মোঃ রহমত আলী উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের ১০ মার্চ অফিসের কর্মদিবসে জোহরের নামাজের পর নিজ কক্ষে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় তৎকালীন উপ-পরিচালক (বর্তমানে পরিচালক) সেখ মুজিবুর রহমান তার উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে রুমে প্রবেশ করেন এবং তাকে মৃত্যুর হুমকি দেন। এরপর আচমকা তাকে আক্রমণ করেন এবং মাথায় চেয়ার দিয়ে আঘাত করেন। এ আঘাতে তার মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। সেখ মুজিবুর রহমান তাকে একাধিকবার আঘাত করেন এবং খাবারের প্লেট ছুড়ে মারেন। সহকর্মীরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাঃ শেখ সাঈদ আফতাব তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ফায়েকউজ্জামান এ ঘটনার পর তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সান্ত্বনা দেন এবং সঠিক বিচারের আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি জানান, তৎকালীন সময়ে অনেকেই তাকে মামলা করার পরামর্শ দিলেও প্রাণভয় এবং চাকরি হারানোর আশঙ্কায় তিনি তখন সাহস পাননি। পরবর্তীতে তার অফিসের তালা ভেঙে সকল আলামত নষ্ট করা হয়। আরও জানা যায়, সেখ মুজিবুর রহমান একজন খুনের মামলায় দণ্ডিত আসামী এবং চাকরিতে যোগদানের সময় তিনি ভুয়া পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেন।

এ বিষয়ে সেখ মুজিবুর রহমান বলেন, "এ ঘটনা ২০২০ সালের, যা তৎকালীন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক শেখ মুস্তাক আলী এবং বাজেট শাখার প্রধান মোঃ আনিসুর রহমানের মধ্যস্থতায় মীমাংসা হয়ে যায়। ঘটনার পর আমি রহমত আলীকে মেডিকেল সেন্টার এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং চিকিৎসার সব খরচ বহন করেছি। প্রায় ২৮ বছর একসঙ্গে কাজ করায় মাঝে মাঝে তর্ক-বিতর্ক হওয়া স্বাভাবিক ছিল। তার পেনশনের সময় প্রায় ৯ লাখ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সম্ভবত তিনি রাগের বশবর্তী হয়ে পুনরায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। রাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে, কারণ আমার একটি দলের প্রতি সমর্থন ছিল, আর তিনি বিএনপি সমর্থিত ছিলেন। তবে আমাদের মধ্যে বড় কোনো বিরোধ ছিল না। এত বছর পর কেন অভিযোগ দায়ের করা হলো, তা আমার বোধগম্য নয়, বিশেষ করে যখন এটি তখন মীমাংসা হয়েছিল।"

অভিযোগ দায়েরকারী মোঃ রহমত আলী বলেন, "শেখ মুজিবুর রহমানের চিকিৎসার খরচ বহন এবং মধ্যস্থতার কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে কোনো অডিট আপত্তি ছিল না; চাকরি থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটও পেয়েছিলাম। পেনশনে গিয়ে দেখি আমার বিরুদ্ধে অডিট আপত্তি দেখানো হয়েছে, যা কোনোভাবে যুক্তিযুক্ত ছিল না। মূলত তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের বিরোধী হওয়ায় আমাকে দাবিয়ে রাখতে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। চাকরির মেয়াদ কম থাকায় এবং তাদের ভয়ে সেই সময় কোনো মামলা বা অভিযোগ দাখিল করতে সাহস পাইনি।"

এ বিষয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, "এই অভিযোগের প্রক্রিয়া চলছে। উপাচার্য মহোদয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।"

T.A.S / T.A.S

জাবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন

ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

শেকৃবিতে শিক্ষার্থীদের জিরো পার্সেন্ট ইন্টারেস্টে দেয়া হবে ল্যাপটপ

ইউজিসি'র হিট প্রকল্পের গবেষণা ফান্ডে নাম নেই জবির

চবিতে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার,মৃত্যু ঘিরে রহস্য

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই ৩৬ কর্ণার উদ্বোধন

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো পবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত হচ্ছে লিখিত ও প্রেজেন্টেশন পরীক্ষা

জুলাইয়ের স্পিরিট নিয়ে কাল আসছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ইউটিএল

গবিতে বিতর্ক উৎসব: চার ধারার যুক্তিযুদ্ধ

দাবায় চবির ৯ অনুষদের লড়াই, শেষ হলো ‘চেস ফেস্ট

ইবিতে নিহত সাজিদের শেষ ফোনকল নিয়ে রহস্য

তরুয়াকে হারানোর এক বছর