কুতুবদিয়ায় ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ

কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পলাতক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোছাইন মিশনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির কারনে অতিষ্ট হয়ে পড়েছিল এলাকার মানুষ। সাবেক এমপি আশেক উল্লাহ রফিকের নাম বিক্রি এলাকার সাধারণ মানুষের জমিজমা দখলবাজি, টেন্ডারবাজি থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই সে করেনি। এতে নিজের আত্মীয় স্বজনকেও ছাড় দেয়নি এই ছাত্রলীগ নেতা। লবণ মাঠে কাজ বাধা দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছিল দলবল নিয়ে। সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমনসব অভিযোগ করেছেন উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের মনছুর আলী হাজির পাড়ার ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদের পরিবার।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, বিগত সরকারে আমলে ছাত্রলীগ নেতা মিশন কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তারা। চর ধুরুং মৌজার ৩২ নং বিএস খতিয়ানের ৫ একর ৪৮ শতক এবং উত্তর ধুরুং মৌজার ১৩১৭ বিএস খতিয়ানের ২১ একর ০৪ শতক জায়গার মধ্যে তাদের অংশসহ মিশন এবং তার পরিবার এতদিন দলীয় প্রভাব বিস্তার করে জবর দখল করে রেখেছে। ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদের পরিবার এতদিন নির্যাতনের বিষয়ে মুখ খুলতে পারেনি।
হাসিনা সরকার পালিয়ে যাওয়ার পর ভুক্তভোগী পরিবার তাদের অংশের জমিগুলো ফিরে পেতে স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচার দেন। থানায় অভিযোগ দেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গায়ের জোরে বিচার মানে না। এমনকি কয়েকবার সময় দেওয়ার পরও সমাধানে বসেনি প্রতিপক্ষ। বরং ছাত্রলীগ নেতা মিশনের পিতা নাজের হোছাইন গং সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। হামলায় ভুক্তভোগী নুর মোহাম্মদের ছেলে কুতুবদিয়া ফারিয়ার সভাপতি শাহ রমজান গুরুতর আহত হলে কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার আঘাত গুরুতর দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। বিষয়টি নিয়ে নুর মোহাম্মদ কুতুবদিয়া থানায় অভিযোগ দিলে সন্ত্রাসীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য মোঃ ইউনুস বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ভাইয়ের উপর হামলা করে উল্টো থানায় মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমনকি মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। সাখাওয়াত হোছাইন সরাসরি হামলার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি কিভাবে সেদিন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির দেখান? সেটা আমার প্রশ্ন। প্রশাসনে আওয়ামী দোসরেরা এখনো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের কথায় উঠবস করছে বলে মন্তব্য ভুক্তভোগী পরিবারের।
এ ব্যাপারে প্রতিপক্ষের কামরুল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মারধরের কিছু ছবি এবং পত্রিকার একটি নিউজ দেখান। তবে ঘটনার বিষয়ে কোন বক্তব্য দেননি।
ছাত্রলীগ নেতা সাখাওত হোছাইন জানান, তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নন। ঘটনার দিন (১১ নভেম্বর) তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই দপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী।
এ বিষয়ে জানতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বিমল সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
T.A.S / T.A.S

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
