শীতের আগমনী বার্তায় খেজুর রস সংগ্রহে ব্যস্ত বারহাট্টার গাছিরা

শীত আর খেজুর রস যেন একে অপরের সমার্থক। রাতে ও ভোরে শীত অনুভূত হচ্ছে, সেই সঙ্গে বারহাট্টার প্রকৃতিতে ঘন কুয়াশার আধিপত্য। প্রকৃতির এমন বৈচিত্র্যে খেঁজুরের রস আরেক অনুষঙ্গ। পুরোদমে শীত না পড়লেও হেমন্তের মাঝামাঝি সময়েই বারহাট্টা উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকা জুড়ে চলছে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। ফলে খেজুর গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামীণ জনপদের গাছিরা।
খেজুরের রস আহরণের মধ্য দিয়েই গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। সে হিসেবে এ অঞ্চলের গাছিরা দড়ি, দা, ঠুঙ্গিসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রস সংগ্রহের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে গাছে আড়াআড়িভাবে বাঁশের দন্ড বেঁধে তার উপর দাঁড়িয়ে কোমরে ও গাছে রশি পেঁচিয়ে ধারালো দা দিয়ে গাছিরা খেজুর গাছের উপরিভাগের বাকলসহ অপ্রয়োজনীয় অংশ পরিষ্কার করে গাছ চাঁছার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
সরেজমিনে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও গাছিদের সাথে কথা বললে তারা সকালের সময়কে জানান, গাছ চাঁছার কাজ শেষ করে তারা এখন হাঁড়ি বেঁধে রস সংগ্রহ করছে। পুরোদমে এখনও শীত না পড়ায় হাঁড়িতে অল্প পরিমাণ রস পড়ছে। শীত যত বেশি হবে ততই বাড়বে রসের পরিমাণ। এ এলাকায় গাছির সংখ্যা কম হওয়ায় অধিকাংশ গাছ থেকে রস আহরণ করা সম্ভব হয় না। বর্তমান প্রজন্ম কৃষি কাজের প্রতি আগ্রহী হওয়ায় কমছে গাছির সংখ্যা। তারপরও আগামী চার-পাঁচ মাস খেজুরের রস বিক্রির অর্থে চলবে তাদের সংসার।
ধর্মপাশা থেকে উপজেলা সদরের কলেজ রোড এলাকার গাছি হোসেন আলী বলেন, 'সাধারণত শীতকালের শুরু অগ্রহায়ণ মাসে প্রথম দিকে রস সংগ্রহের জন্য গাছগুলো প্রস্তুত করি। একটা গাছের ডাল-পালা কেটে প্রস্তুত করতে কয়েকদিন সময় লাগে। প্রতি বছরেই এই এলাকার ৪০-৫০টা গাছ চুকে ভাড়া হিসাবে নেই। গাছ থেকে রস নামানোর প্রাথমিক কাজ শেষ করে এখন রস আহরণের কাজ করছি।'
তিনি আরও বলেন, রাতে বাদুর ও পোকামাকড় যেন হাঁড়ির ভেতর প্রবেশ করতে না পারে এজন্য সতর্কতার সঙ্গে হাঁড়িতে জাল পেঁচিয়ে রাখি। সকালে লোকজন আসার পর হাঁড়ি গাছ থেকে নামিয়ে আনি। প্রতিদিন প্রায় গড়ে প্রায় ২০-৩০ লিটার রস বিক্রি করতে পারি। শীত মৌসুম জুড়ে ব্যস্ত সময় কাটাবো। এ বছর রস সংগ্রহের জন্য এখনো পর্যন্ত অনেক গাছ প্রস্তুত করেছি। আশা করছি আগামী ৪-৫ মাস ভালই উপার্জন হবে।
সুবল দাস নামে রায়পুর এলাকার অপর একজন গাছি জানান, বর্তমান প্রজন্ম খেজুরের রস আহরণ করার বিষয়টি আয়ত্ত করতে চায় না। তারা সবাই শহরমুখী, পড়াশুনা চাকরি-বাকরি নিয়ে ব্যস্ত। ফলে শীত মৌসুমে নিজেদের খাওয়ার জন্য রস পাওয়া যায় না। অথচ এক সময় আমাদের গ্রামের গাছগুলো থেকে বাজারে রস বিক্রি করে কয়েকটি পরিবারের খরচ চলতো।
উপজেলা সদরের চৌরাস্তা মোড় এলাকায় হাঁটতে আসা কয়েজন খেজুর রস ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন, কাক ডাকা ভোরে খেজুরের রস তার মনমাতানো ঘ্রাণ শহরে বিরল-ছন্দটির মতো শীতের সকালে শহরে টাটকা এক গ্লাস খেজুরের রসের স্বাদের তুলনা হয় না। তাই, নিজেরা এক গ্লাস করে খেয়ে বোতলে করে বাসার অন্যান্য সদস্যদের জন্য নিয়ে যাচ্ছি।
এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত

চুয়াডাঙ্গায় কেরুজ পুকুরে বিদ্যুতায়িত জিআই তারে কৃষকের মৃত্যু

পঙ্কিল রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আনবেন না: শিক্ষা উপদেষ্টা

কুতুবদিয়ায় তিন দিনে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত
