নরসিংদীতে সড়কের পাশে ময়লার স্তুপ, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা
নামে-বেনামে দখল হচ্ছে নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কের দুই পাশের জমি। দখল করা এসব জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে ময়লার ভাগাড়। আবর্জনার দুর্গন্ধে এ পথে চলাচলকারী মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ময়লার কারণে নষ্ট হচ্ছে পিচঢালা সড়ক ও পরিবেশ। এতে থাকছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
জানা যায়, ৯০ দশকে নরসিংদী-মদনগঞ্জে চলাচলরত রেলপথ বিলুপ্ত করে যানবাহন চলাচলের জন্য এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়। সড়কের প্রায় ৪০ কিলোমিটার অংশের দুই পাশের রেলওয়ের পতিত জমি দখলে নিচ্ছে স্থানীয়রা। নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে নরসিংদী ও মাধবদী পৌরসভার এসব ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে রেলওয়ের জমিতে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা পদক্ষেপ না নেওয়ায় সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে ময়লার স্তূপ। এতে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দেওয়ার পাশাপাশি বিপর্যয় হচ্ছে পরিবেশের। নারায়ণগঞ্জ, আড়াইহাজার, গোপালদী এবং মাধবদী থেকে নরসিংদী শহরে প্রবেশ পথে দুর্গন্ধে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেখানে চলাচলকারী হাজারও মানুষকে।
জেলার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে মাধবদী-আড়াইহাজার যাতায়াত করেন অসংখ্য যাত্রী। তাদের অভিযোগ, এই পথে ময়লার ভাগাড়ের পাশে এলে দুর্গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যায়। নাক-মুখ চেপে ধরেও সেটা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না।
এই সড়ক দিয়ে নরসিংদী সদরে যাচ্ছেন অর্ণব, দূর্জয় গণেশ ও তাদের বোন তিথি, পায়েল। এ সময় তারা বলেন, দিনে কয়েকবার এ সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হয়। ময়লার গন্ধে প্রায় অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা জরুরি।
এ সড়কে অটোরিকশা চালান জমির ইসলাম, মনোয়ার, ইয়ার উদ্দিন, রফিকসহ শতাধিক চালক। তারা জানান, মাধবদীর খনমর্দ্দী থেকে বিলপার, শান্তিবাজার, মোল্লারচর এবং বিবিরকান্দী গ্রামে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার পথে ময়লার গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়। একই অবস্থা নরসিংদী শহরের প্রবেশপথেও।
এদিকে রেলওয়ের নরসিংদী জেলা পর্যায়ের ভূমিসংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা নেই। এ কারণে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরেও আসছে না।
এমএসএম / এমএসএম