মানিকগঞ্জে বাড়ছে ভুট্রার চাষ:লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা
কম খরচে ফলন বেশি পাওয়ায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে ভুট্রার আবাদ। এ উপজেলার প্রান্তিক চাষিরা কয়েক বছর ধরে ভুট্টা চাষে মনোযোগী হয়েছেন। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় বেড়েছে ভুট্টার চাষ।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়,গত মৌসুমে এ উপজেলায় ৪৬৪৫ হেক্টর জমিতে ভুট্রার আবাদ হয়েছিল। এবছর আবাদ বেড়েছে। চলতি মৌমুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৮৪২ হেক্টর তবে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে এবছর উপজেলায় ভুট্রার আবাদ ৫ হাজার হেক্টর অতিক্রম করবে এমনটি আশা করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।উপজেলার কৃষকরা জানান, ভুট্টা চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়, এছাড়া ভুট্টা চাষে তেমন কীটনাশক ও সেচের প্রয়োজন হয় না। বর্তমানে আটার বিকল্প ও গোখাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিঘাপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করে চাষিরা ৩৫-৪০ হাজার টাকার ভুট্টা বিক্রি করতে পারেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে ভুট্টার বীজ বপন করছেন কৃষকরা। উপজেলার অনেক এলাকায় ইতিমধ্যে ভুট্রার বীজ বপন করা হয়েছে, চারাও বড় হয়েছে। খেত-খামারে শোভা পাচ্ছে বেড়ে ওঠা ভুট্টার চারা। বাতাসে দোল খাচ্ছে ভুট্টা গাছের সবুজ পাতা। আশানুরূপ ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন নিয়ে কৃষকেরা কাজ করছেন ভুট্টা ক্ষেতে।
উপজেলার গোপালপুর রাজৈর গ্রামের ভুট্টা চাষি নয়া মিয়া, জানান, ভুট্টা চাষ খুবই লাভজনক। সেচ ও কীটনাশক কম লাগে। আবার ভুট্টা ঘরে তোলার পর জমিতে পাট ও ধানের আবাদ করা যায়। প্রতি বিঘা জমিতে ৩০-৩৫ মণের বেশি ভুট্টা হয়। ধানের তুলনায় এর ফলন অনেক বেশি।উপজেলার নওগা গ্রামের ভুট্রা চাষি ইয়াকুব জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে ভুট্রার আবাদ করেছেন। ভুট্রার চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হয়। ধানের চেয়ে ভুট্টা মাড়াই করা অনেক সহজ। ভুট্টাসহ তিনটি ফসল আবাদ করা যায়। তবে কৃষি বিভাগের সহযোগিতাসহ পর্যাপ্ত পরামর্শ পেলে চাষিরা আরও বেশি লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলায় ভুট্টা আবাদ বাড়াতে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। কৃষকরা এতে উপকৃত হচ্ছেন এবং দিন দিন ভুট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। কৃষকরা ভুট্রার ফলন ও দাম ভাল পেলে আগামীতে ভুট্রার চাষাবাদ আরো বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম