ঢাকা শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশা


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ৮-১২-২০২৪ দুপুর ৪:৩৩

খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল দশায় রোগী ভোগান্তি চরমে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জনবল সংকট নিয়ে ধুকে ধুকে চলছে হাসপাতালটি। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নোংরা পরিবেশের কারনে রোগীদের সেফটিও নিশ্চিত নয়। দ্রুত সমস্যা  সমাধানের দাবী সাধারন মানুষের।

হাসপাতালটিতে মোট ১৭৪টি পদের মধ্যে প্রথম শ্রেণির ১৮টি পদসহ দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির মোট ৮০টি পদ শূন্য রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের জন্য আউটর্সোসিং কর্মচারী থাকলেও স্বাস্থ্য কর্মকর্তার যথাযথ তদারকির অভাবে সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মহিলা ওয়ার্ডের শৌচাগারের দরজা খুলে আছে। শৌচাগারে গেলে দম বন্ধ হওয়ার মত অবস্থা হয়। পুরুষ ওয়ার্ডের অবস্থা আরও নাজুক। রোগীর কেবিন, টয়লেট, বারান্দা, প্রতিটি কক্ষ নোংরা পরিবেশ। হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজের নাজুক পরিস্থিতির কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

অভিযোগে এক ভুক্তভোগি বলেন, সাধারন নাগরিকের ট্যাক্সের টাকার একটি অংশ হলো সরকারি চিকিৎসা সেবা প্রদান। কিন্তু নামে মাত্র চিকিৎসা সেবা চলছে তেরখাদা স্বা¯্য’ কমপ্লেক্সে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি। সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এসে বেতন নেয়ার জন্য দায় সাড়া ভাবে হাসপাতাল পরিচালনা করেন।

জানা যায়, বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ ও অন্যান্য বিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ জন মানুষ চিকিৎসা নিতে আসেন। মূল ফটক পেরিয়ে হাসপাতালটিতে ঢুকলেই দেখা যায় প্রতিটি সিঁড়ি ও মেঝেতে ধুলার স্তর পড়ে আছে ব্যবহৃত টিস্যু, কাগজের টুকরা বা অন্যান্য ময়লা। অনেকটা একই অবস্থা ওয়ার্ডের ভিতরেও। ময়লা ঠিকমত পরিস্কার না করায় চারপাশে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেখান থেকে উড়ছে মশা মাছি। শৌচাগারের ভেতর স্যাঁতসেতে শৌচাগারগুলো ব্যবহার করতে গিয়ে রুগিরা পড়েন বিড়ম্বনায়। রুগি ও স্বজনদের দাবি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন।

চিকিৎসা নিতে আসা তসলিমা আক্তার বলেন, হাসপাতালে মানুষ আসে সুস্থ হতে। কিন্তু এখাকার পরিবেশে উল্টো অসুস্থ হওয়ার দশা হয়েছে। কোন কিছুই ঠিকমত পরিস্কার করা হয় না। বাথরুমে গেলে দম বন্ধ হয়ে আসে।

চিকিৎসা নিতে আসা হামিদ মিয়া বলেন, আমাদের কোন রোগ-বালাই হলে বাড়ির কাছে এ হাসপাতালে আসি। কিন্তু সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটির কোন যত্ন নাই। যারা আছেন, সবাই উদাসিন। আমাদের এখানে আসার ইচ্ছা না থাকলেও বাধ্য হয়ে আসতে হয়। কর্তৃপক্ষের উচিত সরাসরি এসে দেখা। তারপর তারা ব্যবস্থা নিক। 

তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন ডা: তানিয়া রহমান। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসকদের ২৯টি পদ থাকলেও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি আমরা মাত্র ৯ জন। ১১ জন থাকলেও ২ জন চিকিৎসক ডেপুটেশনে আছেন। তিনি আরো বলেন, হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখতে পরিচ্ছন্ন কর্মি প্রয়োজন। কিন্তু সে জনবল নেই। এর ভিতর থেকেই আমরা চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।

খুলনার সিভিল সার্জন শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি গতকাল (শনিবার) তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে গিয়েছিলাম । জনবল সংকটের কারনে এমন সমস্যা হচ্ছে। পরিচ্ছন্নতার জন্য আলাদাভাবে জনবল নেই বলেই সমস্যা হচ্ছে। খুব শিঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং জনবলের চাহিদাপত্র উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান। 

এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা: মো: মনজুরুল মুরশিদ বলেন, তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

T.A.S / T.A.S

বেনাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক ফাঁকি চক্রের অন্যতম হোতা আজিম

পাইকগাছায় জিয়া প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টারের দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

শান্তিগঞ্জে সুজন'র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিএনপির র‌্যালি

শালিখায় জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শিবগঞ্জে সাহিত্য মঞ্চের প্রথম বর্ষপূর্তি পালন

ব্যবসায়ীদের জন্য চসিক মেয়রের দরজা সবসময় খোলা থাকবে: ডা. শাহাদাত

পটুয়াখালীতে দরিদ্র কৃষকের রোপন করা ধান কেটে নিলেন বিএনপি নেতারা

সিংড়ায় চ্যারিটেবল সোসাইটি অব বাংলাদেশের শীতবস্ত্র বিতরণ

শাহজাদপুরে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

একমাত্র ছেলে ছিলেন ঢাকায় নিহত ফায়ার ফাইটার রংপুরের নয়ন

সাভার (টিএমআর) কারখানা চালুর নির্দেশ দেন- উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

গোজু রিউ ই কাতা প্রতিযোগিতায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড রানার আপ