ঢাকা সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫

ভারতীয় নাগরিকত্বকে গোপন করে কলেজ অধ্যক্ষের কার্যক্রম


ইমাম হো‌সেন, ঢাকা photo ইমাম হো‌সেন, ঢাকা
প্রকাশিত: ১১-১২-২০২৪ দুপুর ১২:৬

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের মধ্য দিয়ে মানুষকে প্রকৃত মনুষ্যত্ব  সম্পন্ন মানুষ গড়ার ভূমিকা রাখে। তবে সেটি পাওয়ার জন্য শিক্ষাদানের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকদের ভূমিকা সর্বাগ্রে। তেমনি একটি ধনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে,  শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, দায়িত্বশীলতা,সততা  এবং বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে।

সকালের সময়ের তথ্যে আসে মোবাশ্বের হোসেন একজন ভারতীয় নাগরিক। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনাও করেছেন সেখানেই। সব সার্টিফিকেটই ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। কিন্তু এসব তথ্য গোপন করে তিনি রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আইডিয়াল কলেজে চাকরি নেন। সেই কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক থাকাকালীন অ্যাডহক  কমিটির এক সভায় আলোচনা সাপেক্ষে  গত ১/০৪/২৪ইং তারিখ থেকে অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এইক্ষেত্রে কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিগত এডহক কমিটির ২৫/০৩/২৪ইং তারিখে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্তে ৭ নং আলোচ্যসূচীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি অঙ্গীকারপত্র দাখিল করার সাপেক্ষে মোবাশ্বের হোসেনকে ১/০৪/২৪ইং তারিখ থেকে পরবর্তী ৬ মাসের জন্য অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। 

কিন্তু অনুসন্ধান করে জানা যায় দায়িত্ব গ্রহণ করেই মোবাশ্বের হোসেন অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে 'ম্যানেজ' করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে 'পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত' লিখে নতুন একটি নিয়োগপত্র তৈরি করেন। আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ নতুন তৈরি এই নিয়োগপত্র গোপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে উপাচার্য বরাবর একই তারিখে ও স্মারকে দুটি নিয়োগপত্রের বৈধতা বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক প্রতিনিধি। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় পত্রটিকে 'বিধি মোতাবেক না হওয়ায়' তা বাতিল ঘোষণা করে পত্র জারি করে।

সকালের  সময়ের হাতে আসা শিক্ষা সনদ ও অন্যান্য দলিল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোবাশ্বের হোসেন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে ১৯৮১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুবার পান্ডুক দিননাথপুর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ১৯৮৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের বোলপুর কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে বিএসসি এবং ১৯৮৯ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএড পাস করেন। ১৯৯০ সালে তিনি ঢাকায় এসে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে ঢাকার বংশাল এলাকায় মিল্লাত উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর ১৯৯১ সালে তিনি তৎকালীন জগন্নাথ সরকারি কলেজে নৈশকালীন কোর্সে (জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হয়ে রসায়ন বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এমএসসি নৈশকালীন কোর্সে ভর্তির সময় তিনি ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিএসসির সনদপত্র জমা দেননি। অপর একটি তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, তিনার এসএসসি এর নামের বানান Mobashwer কিন্ত পাসফুটে উল্লেখ করে Mobaswer যাতে অমিল। 

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হোসেনের  কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, ভারতে লেখাপড়া করার উদ্দেশ্যে অবস্হান করার কারনে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করেন। পরবর্তীতে একদেশের নাগরিকত্ব লাভের পর কিভাবে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব নিয়ে একটি প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাই। এ বিষয়ে কোন সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায় নি। রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত আইডিয়াল কলেজে গত এপ্রিলে নিয়োগপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হোসেনকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ভারতীয় নাগরিক হয়েও নিজেকে বাংলাদেশি দাবি করে দীর্ঘদিন ধরে আইডিয়াল কলেজ ও অন্য একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে তিনি প্রাথমিক স্কুল থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গে লেখাপড়া করেছেন। এ ছাড়া তথ্য গোপন করে এমপিওভুক্তও হন মোবাশ্বের হোসেন।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ কলেজের পরিচালনা অ্যাডহক কমিটির সভায় তাঁর স্কুল থেকে স্নাতক পর্যায় পর্যন্ত ভারতীয় একাডেমিক সনদ এবং লেখাপড়ার সময় নাগরিকত্বের পরিচয়ের বিষয়ে জোরালোভাবে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। পরবর্তী সভায় তাঁকে কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলে অ্যাডহক কমিটি। পরে ২৫ মার্চের সভায় তাঁর যাবতীয় ব্যাখ্যা ও প্রশ্নোত্তর পর্যালোচনা শেষে ১ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করা বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে সভায় উপস্থিত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য এই সিদ্ধান্তে 'নোট অব ডিসেন্ট' প্রদান করেন।

দায়িত্ব গ্রহণ করেই মোবাশ্বের হোসেন অ্যাডহক কমিটির সভাপতিকে 'ম্যানেজ' করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে 'পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত' লিখে নতুন একটি নিয়োগপত্র তৈরি করেন। আনুষঙ্গিক কাগজপত্রসহ নতুন তৈরি এই নিয়োগপত্র গোপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে উপাচার্য বরাবর একই তারিখে ও স্মারকে দুটি নিয়োগপত্রের বৈধতা বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষক প্রতিনিধি। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় পত্রটিকে 'বিধি মোতাবেক না হওয়ায়' তা বাতিল ঘোষণা করে পত্র জারি করে।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়,নতুন গঠিত এডহোক কমিটির কলেজ পরিচালনা পর্ষদের নিয়মিত মিটিং এর প্রথম দিন অর্থাৎ গত ২২/০৯/২৪ এই কমিটির সভাপতি প্রফেসর এস,এম মোস্তফা আল মামুন সভাপতিত্বে পরিচিত সভায় রহস্যজনকভাবে কালক্ষেপন না করে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের মেয়াদ পুনঃবৃদ্ধি করেন। 

অধ্যক্ষ মোবাশ্বের হোসেনের নাগরিকত্ব ও সনদ বিষয়ে  কমিটির সভাপতি প্রফেসর এস,এম মোস্তফা আল মামুন কে জানতে চাইলে  নাগরিকত্ব ও সনদ যাচাইয়ের বিষয় তিনার না বলে জানান এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকারকে উক্ত বিষয়ে তদন্ত প্রতিবদনের প্রসংগে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেখবে।

T.A.S / T.A.S

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার আয়োজিত

ব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছয় দফা দাবি

জাইকার সহায়তায় রাজউক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন TOD প্রকল্পের ৪র্থ সেমিনার অনুষ্ঠিত

কামরাঙ্গীরচর থানার মোঃ আমিরুল ডিএমপি লালবাগ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে নির্বাচিত

পেশাদারিত্ব ও মানবিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন ডিসি মহিদুল ইসলাম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক