বারহাট্টায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রাসেলের পরিবারকে জায়গাসহ ঘর উপহার
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট গাজীপুরে বিজিবির গুলিতে নিহত নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের শাসনউড়া গ্রামের শহীদ রাসেলের হতদরিদ্র ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগ মাথা গোঁজার মত ১০ শতাংশ খাস জমি ও গৃহ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
আজ (১১ ডিসেম্বর) বুধবার বিকালে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ রাসেলের কবর জিয়ারত করেন এবং পরবর্তীতে শহীদ রাসেলের পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গার দলিল প্রদান ও ঘরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে বারহাট্টা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় এবং জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মোখতার আহমেদ।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ, জেলা সিভিল সার্জন অনুপম ভট্টাচার্য, বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি, নেত্রকোনা জেলা সমন্বয় শেখ হাসনাত জনি, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী তালুকদার, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল বাসিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্দ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে শহীদ রাসেলের মা কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গাজীপুরে বিজিবির গুলিতে নিহত হয় আমার ছেলে রাসেল। আমার ছেলের লাশ দাফনের মত জমিটুকুও ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে আমার ভাসুরের জমিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে দাফন করে পেটের দায়ে আবার ঢাকা চলে যাই। পরে সাংবাদিকরা বিষয়টি জানতে পেরে নিহত হওয়ার প্রায় একমাস পর সেপ্টেম্বর মাসে সাংবাদিকদের সহায়তায় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আমার পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হয়। এখন মাথা গোঁজার মত জায়গা ও ঘর পেয়ে আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
T.A.S / T.A.S