ঘটনাস্থলে না থেকেও মামলার প্রধান আসামী হলো সাংবাদিক

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মারামারির ঘটনায় উপস্থিত না থাকার পরও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কর্মরত এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৪ সালে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে হারুয়া বাসষ্ট্যান্ড নামক এলাকায় নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে একটি মার্কেট বেদখল করে নেয় মাইজবাগ ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কাজী আজীজুল হক । এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মামলা মোকাদ্দমা করেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে হারুয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক বসে। দরবারের বিষয়টি পুলিশ, সেনাবাহিনী সকলেই অবগত থাকায় দরবারে কোনপ্রকার হট্টগোল করতে পারেনি আজিজুল মেম্বার । এমনকি জোড় করে দখলে রাখা সম্পত্ত্বির বৈধ কোন কাগজ সালিশ বৈঠকে দেখাতে পারেনি।
দফায় দফায় সালিস হওয়ার পরেও কোন বৈধ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় উপস্থিত গণ্যমান্য লোকজন আজিজুল মেম্বারকে জায়গাটির বেদখল ছেড়ে দিতে বলে। নাছোড়বান্দা আজিজুল মেম্বার জায়গা না ছেড়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে প্রতিপক্ষকে। এ নিয়ে গত এ ঘটনার জেরে ১৪ ডিসেম্বর উভয় পক্ষে সংঘর্ষে আহত হয় কাজী আজিজুল মেম্বার। এঘটনায় তার ছেলে কাজী আমিনুল হক কাউসার বাদী হয়ে ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরগঞ্জ শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও দৈনিক ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ রুমিকে প্রধান আসামি করে ১২জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সাংবাদিক রুমিকে আমরা ঘটনার সময় দেখি নাই। তাকে কিভাবে আসামি করা হলো তাও জানিনা।
আহত কাজী আজিজুল মেম্বারের সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তার নামে হত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই, ভূমিআত্মসাৎসহ ১০টির উপরে মামলা রয়েছে। উপজেলা কৃষকলীগের সদস্য হওয়ার সুবাদে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন নিরিহ লোকদের নির্যাতন ও হয়রানি করে আসছিল এই আজিজুল মেম্বার। আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ার কারণে এতোদিন তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি এলাকাবাসী।
সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ রুমির সাথে এ ব্যপারে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনার সময় আমি নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে মারামারির সংবাদ পেয়ে বিষয়টি তাৎকনিক ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি তদন্তকে অবহিত করে ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই। পরদিন বাদীর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারি আমাকে মামলার হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অথচ এঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা এবং আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
এব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান, সাংবাদিক উবায়দুল্লাহ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বিষয়টি জানতে পেরেছি। কিন্তু বাদীর ঘোর আপত্তিতে তাকে আসামি করতে হয়েছে। সুষ্টু তদন্তে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা হবে। বাদী পক্ষের লোকজন সাংবাদিক রুমিসহ তার পরিবারের লোকজনের উপর যেকোন সময় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক। তিনি এখন বাদী পক্ষের প্রাণনাশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাংবাদিক রুমির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সুষ্টু তদন্ত পুর্বক তাকে মামলা থেকে অব্যহতি প্রদানের দাবী জানিয়েছেন।
T.A.S / T.A.S

যমুনায় বাড়ছে পানি, তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও ফসলি জমি

মধুখালীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর, মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মাগুরা মহম্মদপুর যুবককে ‘জ্যান্ত কবর’ দেওয়ার চেষ্টা: থানায় মামলা, আসামিরা পলাতক

জয়পুরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠিতে রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মেঘনায় স্পিডবোট ডুবি, অক্ষত উদ্ধার ২৮ যাত্রী

বিয়ানীবাজারে প্রবাসী জামায়াত কর্মীকে হত্যার হুমকি

ত্রিশালে ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু

মেহেরপুরে কাব কার্নিভাল ২০২৫ এর উদ্বোধন

বারইয়ারহাটে আন্ডারপাস অথবা ফ্লাইওভার নির্মাণের দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

বাঘায় বিশেষ অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ আটক ৫

সিংগাইরে শ্রেষ্ঠ ওসি তৌফিক আজম, ওয়ারেন্ট তামিলে এএসআই জলিল পুরস্কৃত
