শীতে ব্যস্ততা বেড়েছে বারহাট্টার লেপ-তোষক কারিগরদের
পৌষের শুরুতে বারহাট্টায় জেঁকে বসেছে শীত। গত কয়েক দিন যাবত রাতে কিছুটা শীত অনুভব হচ্ছে। পুরোপুরি শীতে শুরু না হলেও অনুভূতি হচ্ছে শীতের আমেজ। শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখাগেছে, শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। দোকানিরা ক্রেতাদের বিভিন্ন মানের কাপড় ও তুলা দেখাচ্ছেন, নিচ্ছেন অর্ডার। কারিগররা তাদের নিপুণ হাতে সুই সুতো নিয়ে করছেন কাজ, তৈরি করছেন বিভিন্ন সাইজের লেপ-তোষক-জাজিম। কেউ নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছেন আগের তৈরি (রেডিমেড) লেপ-তোষক কেউ আবার নতুন করে বানানোর জন্য অর্ডার দিচ্ছেন কারিগরদের। অনেকে আবার পুরোনোগুলোই মেরামত করাচ্ছেন। তবে তুলা, কাপড়, ফোমের দাম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা সদরের গোপালপুর বাজারের কারিগর আনোয়ার হোসেন সকালের সময়কে জানান, শীতের শুরুতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি কেজি তুলা ৮-১০ টাকা এবং কাপড়ের দাম গজপ্রতি প্রায় ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এ বছর আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। একটি লেপ তৈরি করতে মজুরি ২০০ টাকা, তোষক ২৫০ টাকা, বালিশ প্রতিটি ১০০ টাকা এবং জাজিম তৈরিতে ১০০ টাকা হারে মজুরি নেওয়া হচ্ছে। এই মজুরির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
লেপ বানানোর অর্ডার দিতে আসা গড়মা গ্রামের ক্রেতা কৃষ্ণ নন্দী ও কাশবন গ্রামের বাসিন্দা সাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এবার লেপ-তোষক বানানোর খরচও বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছেন তারা। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।
সাহতা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, এবার শীতের তীব্রতা বেশি হতে পারে। তাই আগে থেকেই লেপ তৈরির জন্য দোকানে এসে অর্ডার দিচ্ছি। আমি গরিব মানুষ। কম্বলের যে দাম সেটা কেনার সামর্থ্য নাই। এ কারণে কম দামী তুলা ও কাপড় দিয়ে অল্প টাকা মধ্যে লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।
T.A.S / T.A.S