শীতও হার মেনেছে কৃষকের স্বপ্নের কাছে
অগ্রহায়ণে আমন ধান ঘরে তোলার পর পৌষের মাঝামাঝি সময়ে কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশাকে উপক্ষো করেই জমি তৈরি করে তাতে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করেছেন বারহাট্টার চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখাগেছে, কৃষকরা বীজতলা থেকে বোরো ধানের চারা উত্তোলন করে বস্তায় ভরে ফসলের মাঠে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ জমিতে চারা রোপণের জন্য হাল চাষ করে জমি প্রস্তুত করছেন। অনেকে মই দিয়ে জমি সমান করছেন। ফসলি এসব জমিতে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে পানি। কোথাও একা আবার কোথাও দলবদ্ধ হয়ে কৃষকরা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজে করে যাচ্ছেন তাঁরা।
উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের খইকোনা গ্রামের কৃষক হারাধন দাসের সাথে কথা বললে তিনি সকালের সময়কে বলেন, আমন ফসল কাটার পরপরই পৌষের শুরুতেই আমাদের এখানে পুরাদমে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। তবে সব ধরনের কৃষি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত বছরের তুলনায় এবার চাষাবাদ ব্যয় অনেকটা বাড়ছে।
নুরুল্লারচর গ্রামের কৃষক শহীদুল ইসলাম, নৈহাটি গ্রমের সিদ্দিক মিয়া, গুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ডিসেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে বোরো আবাদ চলবে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। প্রতি বছর ফসল উৎপাদনের সময় ধানের দাম কমে যায়। এতে উৎপাদন খরচ উঠাতেই হিমশিত খেতে হয়। ফলে আমাদের ঋণের বোঝা বাড়ে। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়ায় প্রতি একর জমিতে সেচের খরচও বেড়েছে।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান আজাদ বলেন, ‘চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় বরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ১০০ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে জমি তৈরি করে চারা রোপণ শুরু হয়েছে। এ বছর বোরো আবাদে কৃষকদের তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না।‘
এমএসএম / এমএসএম