সিরিয়া'র অথেন্টিক শর্মা ও সুস্বাদু খাবারের পসরা বসেছে গুলশান-২ এর সাদিক এগ্রো রেস্টুরেন্টে
সাদিক এগ্রোর খামারের দুধ, কুরবানীর পশু ইত্যাদি সারা দেশে বেশ নাম কুড়িয়েছে সেই ২০০৮ সাল থেকে। খামার ব্যবসার সাথে করোনাকালে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় চলে আসে প্রতিষ্ঠানটি। একটু উন্নত ঘরানার খাবারের বিশ্বস্ত নাম বা ব্র্যান্ড হয়ে উঠছে সাদিক এগ্রো। বিশেষ করে সিরিয়া থেকে আগত কাবাব ও শর্মা বিশেষজ্ঞ শেফ আহম্মাদ আয়াশ এর নেতৃত্তে সিরিয়ান অথেন্টিক ঘরানার শর্মা দামাস্ক খুব নাম-ডাক ছড়িয়েছে। বিফ ও চিকেন মিশ্রিত এসব শর্মা আরব বিশ্বের স্বাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। অগ্নি ঝলসানো, নগদ প্রস্তুতকৃত মৃদু ঝাল ও মৃদু টক স্বাদীয় এই শর্মা দামে কিঞ্চিৎ বেশী মনে হলেও মানের দিক থেকে অনন্য। সাথে দেওয়া হয় মুচমুচে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, অনিয়ন, অলিভ, দুই প্রকার সস, সুইট কর্ণ, সালাদ ইত্যাদি। এই আইটেম ছাড়াও এরাবিয়ান কুজিনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে সাদিক এগ্রো, কিছু নাম আমাদের বলেন ম্যানেজার পারভেজ মোশাররফ। "২ প্রকার বার্গার, ওয়াজবাত শর্মা, খামুস, ক্রিসপি ফিস ফ্রাই আইটেমও খুব মনোলোভা, চিত্তাকর্ষক। সাদিকের খাটি দুধে তৈরি লাবাং, বাদাম শরবত মানে খুব উন্নত।" মূলত, মিষ্টান্ন, মিষ্টি, বেকারী খাদ্যপণ্য এবং ডেসার্ট ঘরানার খাবার তো আগে থেকেই সুনামের দাবীদার। বিফ কলিজায় ভরপুর কলিজা সিংগাড়া, বাটার বান, বাটার টোস্ট ইত্যাদি স্ন্যাকসের মধ্যে খুব চাহিদাপূর্ণ। নিজস্ব খামারের খাটি দুধ দিয়ে তৈরি মিষ্টি আইটেমগুলো ভোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে, যেমন: গুড়ের ছানা, শাহী চমচম, মালাই চপ এবং কাশ্মীরি লাড্ডু, মাওয়া লাড্ডু ইত্যাদি। গুলশান-২ আউটলেটটি গোলচত্ত্বরের সাথে ডিপ্লোম্যাটিক ডিভিশনের দেওয়াল ঘেঁষে অবস্থিত, যেটি বেশ নান্দনিক এবং প্রশস্ত ডুপ্লেক্স ভংগিমার৷ প্রায় ১০০ জন বসে খাবার উপভোগ করতে পারে, সাথে পার্সেল তো রয়েছেই। এই আউটলেট ছাড়াও, ধানমণ্ডি আবাহনী মাঠের পাশে, বিএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের বিপরীতে তিনটি আউটলেট রয়েছে। খাবারের মান ও মূল্য সব জায়গায় একই। উল্লেখ্য, সাদিক এগ্রো রেস্টুরেন্টের প্রথম শাখা শুরু হয় খামারের পাশেই মো:পুর (বেড়িবাঁধ সংলগ্ন)।
রেস্টুরেন্টের যাত্রা নিয়ে কথা হয় সাদিক এগ্রোর মালিক পশু-প্রাণী ব্যবসার জগতে সুপরিচিত ইমরান হোসেন এর সাথে। তিনি মজার এক অভিজ্ঞতা জানান। করোনাকালে ২০২০ সালে ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে খামারের দুধ হোম ডেলিভারী দিতে শুরু করে সাদিক এগ্রো, এরপর গরুর মাংস, মুরগীর মাংস, মাছ- এগুলোর অর্ডারও আসতে থাকে৷ দৈনিক ৪০০-৫০০ কেজিও বিক্রি হয়ে যেত। ডেলিভারীর পর অবশিষ্ট গরুর মাংস দিয়ে তেহারী প্রস্তুত করা শুরু হয়, আর কলিজা দিয়ে সিংগাড়া তৈরি হয়। সাদিক এগ্রো'র অফিসিয়াল পেজ থেকে অর্ডার আসতে থাকে। এভাবেই রেস্টুরেন্ট করার প্রয়োজনীয়তা গড়ে ওঠে। আবার, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সহায়তায় ২০২২ থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশে ৫০ এর অধিক বিক্রয় পয়েন্টে লাইভ ডিম, দুধ, মাছ, মাংস বিক্রয় করে সাড়া ফেলে সাদিক এগ্রো।" দৈনিক সকাল ৭ টা থেকে মধ্যরাত অবধি চলে গুলশান-২ রেস্টুরেন্টটি। ফিলিংস নামে কফি, জুস, মিল্কশেক, মকটেলের একটি জুস বার হয়েছে, সেটিও জনপ্রিয় বেশ। সুতরাং, জিভে জল আনা স্ন্যাকস ও সিরিয়া থেকে আগত দক্ষ শেফের হাতে অ্যারাবিয়ান ক্যুজিন উপভোগ করতে সাদিক এগ্রো রেস্টুরেন্টের জুড়ি নেই।
এমএসএম / এমএসএম