গণমাধ্যম কর্মীদের সহায়তায় ঘরের ব্যবস্থা হলো বৃদ্ধা রেনু বালা'র
নেত্রকোনার বারহাট্টায় শীতের রাতে খোলা আকাশের নিচে ৯০ বছর বয়সী আশ্রয়হীন অসহায় বৃদ্ধা রেণু বালা সুন্দরীকে কাঁদতে দেখে দৈনিক সকালের সময়, কালবেলা, আমাদের সময়, মানবজমিনসহ বেশ কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় গত এক মাস আগে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়।
নিউজটি প্রকাশর পর সদ্য বিদায়ী বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার ববি আশ্রয়হীন অসহায় বৃদ্ধা রেনু বালাকে একটি ঘরের জন্য ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। কিন্তু ঘর করার উপযুক্ত কোন জায়গা না পাওয়ায় অবশেষ উপজেলা সদরের শ্রী শ্রী অনুকূল ঠাকুর সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের মন্দিরের জায়গায় আশ্রয়হীন বৃদ্ধা ও তার মেয়ের জন্য ঘরের জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ঘরের কাজও শুরু হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্র সমন্নয়ক সায়মুন আরেফিন অঙ্গন, মনোরঞ্জন সরকার, আবুল খায়ের আকন্দ টিটুসহ আরও অনেকেই।
বর্তমানে রেনু বালা ও তার মেয়ে উপজেলা সদরের বৃ-কালিকা গ্রামের বিপ্লব সরকার অজয়ের বাসায় আশ্রয়ে আছেন। অজয় সরকারও অনুকূল ঠাকুর সৎসঙ্গ ফাউন্ডেশনের একজন সদস্য। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, রেনু বালা ও তার মেয়ে এখন অজয় সরকারের বাড়িতে আছেন। ঘরের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন।
আশ্রয় দাতা অজয় সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এই বৃদ্ধার স্বামী মন্দিরের পূজারী ছিলেন। তিনি এখন আমার বাড়িতে আছেন। তবে ঘরের কাজটি দ্রুত হওয়া প্রয়োজন।বারহাট্টা উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান বলেন, আমি উপজেলায় নতুন এসেছি। এ ব্যপারে খোঁজ খবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, রেনু বালা সুন্দরী বারহাট্টা উপজেলা সদরের খেলার মাঠের পাশে ডাঃ মানিক পন্ডিতের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস আসছিলেন। হঠাৎ একদিন ডাঃ মানিক পন্ডিত অসহায় এই বৃদ্ধাকে তার বাসা থেকে বের করে দেয়ার পর ছাত্র সমন্নয়ক সায়মুন আরেফিন অঙ্গন ও অন্যান্যদের নিয়ে খেলার মাঠের একপাশে একটি তাঁবু টাঙিয়ে দেন। পরবর্তীতে খবর পেয়ে তৎকালীন বারহাট্টার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার ববি সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে বৃদ্ধার খোঁজ খবর নেয়ার দায়িত্ব দেন।
এমএসএম / এমএসএম