ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০২৫

মৃত্যুর আগে সন্তানের কবরটা দেখে যাওয়ার ইচ্ছে এক মায়ের


নিজাম উদ্দিন photo নিজাম উদ্দিন
প্রকাশিত: ১৫-১-২০২৫ দুপুর ১২:৫৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হন সোহেল রানা নামে একজন। এই নিহতের বাসা ছিলো রায়েরবাগ মোহাম্মদ বাগ এলাকায়। মাকে না জানিয়ে ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ হন সোহেল। পরবর্তীতে তার একটি ছবি পায় পরিবার, সেই ছবি দেখেই সনাক্ত করা হয় এই সোহেল রানা। ছবি দেখে মনে হয়েছে তার বুকে এবং শরিরে একাধিক গুলির চিহ্ন এবং তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছে। রায়েরবাজার কবরস্থানে এক লাইনেই রয়েছে বেওয়ারিশ কবর। এখানে প্রতিনিয়ত কেউ না কেউ এসে কাঁদছেন। কারণ এখানে অনেক শহীদদের লাশ দাপন করা হয়েছে। কার করব কোনটি তা বুঝার উপায় নাই। এখানে এক সঙ্গে রয়েছে ১১৪ টি বেওয়ারিশ কবর। কয়েকদিন পর পরই নিহতের কেউ না কেউ এখানে এসে কাঁদছেন আর বলছেন আমার বাবার কবর কোনটি?

মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী মোহাম্মদপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায় একজন বৃদ্ধ নারী কাঁদছেন আর বলছেন আমার সোহেল রে, তুমি কোথায় বাবা, বাবা তোমার মতো আমাকে কেউ ভালোবাসে না। একবার বাবা তুমি আমার সাথে দেখা করো। এই বৃদ্ধ মায়ের একটাই দাবী তার ছেলের কবর কোনটি তা সনাক্ত করা হোক। 

নিহতের ছোট ভাই নাবিল বলেন, আমার ভাই গত বছরের ১৮ জুলাই দেশে আন্দোলন চলা সময়
বাসা থেকে বের হলে আর ফিরে আসেনি। বাসা থেকে বের হওয়ার  কয়েকঘন্টা পর তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায় এরপর থেকে নিখোঁজ এখন পর্যন্ত। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির কয়েকমাস পর তার একটি ছবি পাওয়া যায় ঢাকা মেডিকেল মর্গে টাঙানো সেই ছবি
আজ্ঞুমানেও ছিলো। সেখান থেকে সনাক্ত করি যে, এটাই আমার ভাইয়ের লাশের ছবি। পরবর্তীতে জানতে পারলাম মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে অজ্ঞাতমা লাশের দাপন করা হয়েছে।  

আমার ভাই ছাত্র আন্দোলনে শহীদ হয়েছে তার বিনিময় আমরা কি পেয়েছি? আমাদের দাবি শুধু এতটুকু বেওয়ারিশ কবর থেকে ভাইয়ের কবরটি সনাক্ত করা হোক। সরকারের কাছে আমাদের এটাই দাবি। আমার মা প্রতিনিয়ত কাঁদছেন ভাইয়ের কবরটা দেখার জন্য। নিহতের ভাই আরো বলেন, আমরা জুলাই ফাউন্ডেশনের কাছে বার বার বলে এসেছি আমার ভাইয়ের কবরটি সনাক্ত করে দেন কিন্তু তারা বলেন এতোগুলা করব নতুন করে খুড়ে একটি কবর সনাক্ত করা সম্ভব না। তাহলে একজন শহীদ পরিবার আর কি আশা করবে।

ঢাকায় জুলাই আগস্টে যখন অসহযোগ আন্দোলন চলে তখন সবচেয়ে বেশি হতাহতের ও নিহতের ঘটনা ঘটে, রাজধানীর রায়েরবাগ, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী, উত্তারা সহ বিভিন্ন স্থানে। অনেক নিরীহ মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে তখনকার স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সরকার সিদ্ধান্ত নেয় লাশ গুম করার।
এরপর রায়েরবাজার কবরস্থানে সারি সারি লাশ এনে রাতের আঁধারে গণকবর দেওয়া হয়।

সূত্রে জানা যায়  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই কবরস্থানে গত ২২শে জুলাই থেকে ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত অন্তত ১১৪টি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি লাশ দাফন করা হয় জুলাই মাসে। আন্দোলন চলাকালে জুলাই মাসের ২২ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত ৬দিনে সেখানে ৪২টিরও বেশি বেওয়ারিশ লাশ দাফন করা হয়।  গোরস্থানের ৪ নম্বর ব্লকে ওয়াকওয়ে ঘেঁষে সারিবদ্ধভাবে  বেওয়ারিশ  লাশগুলো দাফন করা হয়েছে। কবরস্থান কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিদিনই নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে কবরস্থানে মানুষ আসছে। অনেকে আন্দোলনে তাদের স্বজন মারা গেছে- এমন প্রমাণপত্র নিয়ে আসছেন। কেউ কেউ লাশের ছবি, ভিডিও নিয়ে আসছেন। অনেকে আঞ্জুমান থেকে লাশের ছবি দেখে শনাক্ত করে সোজা কবরস্থানে চলে আসছেন। 
অনেকেই এই গণকবর থেকে তাদের কবরটি সনাক্ত করার দাবী জানিয়েছেন বর্তমান সরকারের কাছে।

এমএসএম / এমএসএম

আগামীকাল যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম. ইমাম উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী

ঢাকা বিমানবন্দরে ৩১ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালক এর যোগদান

'মানিকনগর ও রামপুরায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায়'

১৯তম কায়রো আন্তর্জাতিক লেদার ও সুজস প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

পোশাক পরিবর্তন করে পুলিশের চরিত্র বদলানো যাবে না: আল্লামা ইমাম হায়াত

বৃহত্তর উত্তরা সর্বোচ্চ উলামা আইম্মা পরিষদ গঠন

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ডেমরা থানার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

ঢাকা মহানগর উত্তর মিরপুর থানা যুবদলের ১২ নং ওয়ার্ডের কর্মী সন্মেলন অনুষ্ঠিত

সাবেক এমপি সালাউদ্দিনকে বিএনপি থেকে বহিস্কারের দাবিতে ডেমরায় বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল

শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে এসো সুতোর কাব্য গাথি ধ্রুপদী ফোঁড়ে’ শীর্ষক অনুষ্ঠান

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ডেমরা থানা ৭০ নং ওয়ার্ড যুবদল কর্মীসভা ২০২৫