আওয়ামী শাসনামল ছিল বিভীষিকাময়: লিটন মাহমুদ বাবু

আওয়ামী দু:শাসনের সময় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা আর পুলিশি হয়রানির কারনে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভীষিকাময় দিন পার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি লিটন মাহমুদ বাবু। নির্যাতিত রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে দৈনিক সকালের সময়ের বিশেষ আয়োজন 'নির্যাতনের সেই দিনগুলি' নিয়ে এক বিশেষ সাক্ষাতকারে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটন মাহমুদ বাবু বলেন, বিগত সরকারের অন্যতম হাতিয়ারই ছিল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা দিয়ে বিরোধী মতকে দমন করা।
২০০৯ সালে আওয়ামী সরকারের বিপক্ষে ছাত্রদল কর্মীদের নিয়ে মিছিল করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি। এরপর কিছুদিন জেল খাটতে হয় তাকে। শহীদ জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে স্বেরাচারী আওয়ামী সরকারের শাসনামলে প্রতিনিয়ত বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলে জানান তিনি। দীর্ঘ ১৬ বছর বছর ধরে একটানা মামলা, হামলা, নির্যাতন যেন প্রতিদিনের রুটিনের মতো হয়ে গিয়েছিল-বেশ আক্ষেপের সাথে জানান স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের এই নেতা।
রাজনীতি করার কারনে পরিবারের সদস্য কিংবা স্বজনরা হয়রানির শিকার হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসনামলের পুরোটা সময় গোটা পরিবারকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে। আমাকে না পেয়ে অামার ছেলেকে ধরে নেয়ার জন্য চেষ্টা করে আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী, আবার অামাদের বাবা-ছেলের সন্ধান দেয়ার জন্য শিক্ষকদেরও হয়রানি করা হয়েছিল বিগত সরকারের শাসনামলে। পারিবারিক সামাজিক এবং আর্থিকভাবে একটি পরিবার ধীরে ধীরে কিভাবে সব হারিয়ে ফেলে সেটা ভুক্তভোগী সেই পরিবার ছাড়া আর কারো পক্ষে অতটা বোঝা সম্ভব না। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে মনেপ্রাণে ধারন করার কারনেই রাজনীতির রাজপথে কখনো দমে যাননি শহীদ জিয়ার এই লড়াকু সৈনিক।
আওয়ামী সরকারের সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এবং আদাবর এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের নামে হওয়া অধিকাংশ মামলার আসামী ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের এই নেতা। আন্দোলনের সময়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে বাসায় পুলিশ তল্লাশী করতে এসে বেশ কয়েকবার আসবাবপত্র ভাংচুর করে এমনকি আত্বীয় স্বজনদের বাড়ীঘরও বাদ যায়নি পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলা থেকে-এমনটাই জানান তিনি।
স্বেরাচারী সরকারের শাসনামলে গুম, খুন, হত্যা, হামলা, মামলা আর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী। দেশব্যাপী বিরোধী মতাদর্শকে দমনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে মামলা ছিল বিগত সরকারের অন্যতম হাতিয়ার। রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে লেলিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। অসংখ্য মামলার আসামী হলেও রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা বাবু। হাসিনা সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন লিটন মাহমুদ বাবু।
বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন কেমন উপভোগ করছেন জানতে চাইলে মহানগরের এই নেতা জানান, এখন অনেকটা ভালো থাকলেও স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ায় দীর্ঘ ষোলটা বছর স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্নটা দু:স্বপ্নে পরিনত হয়েছিল। সরকার পতনের আন্দোলনে দীর্ঘ সময়জুড়ে বিএনপির রাজপথে থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ২০০৯ সাল থেকে হাসিনার পতন অবধি রাজপথে যেমন সোচ্চার ছিল তেমনি হাজার হাজার নেতা-কর্মী জীবন উতসর্গ করেছিল স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনের চেতনায়।
এমএসএম / এমএসএম

৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের নতুন কমিটি গঠিত

মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে র্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উত্তরার বিদ্যাপিট নওয়াব হাবিবুল্লাহ এর এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা

জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের আলোচনা সভা
