দেশসেরা হায়দ্রাবাদী পেস্তা বিফ হালিম ও বিফ-চিকেন- চিংড়ি-টুনা-ডিম পুরি এখন বনশ্রীর আফগানি ফায়ারে

বহুকাল আগে থেকেই বাংলাদেশীদের সহজ নাস্তা হিসেবে ডাল পুরি ও আলু পুরি ভীষণ জনপ্রিয়। তবে ২০২৫ সালে এসে যদি সনাতন পুরির বিন্যাস ও স্বাদ বদলে দেওয়া যায়, তা কি মন্দ হবে? মোটেও না। বরং খাদ্য সম্ভারে নতুন কিছু যুক্ত হবে। রাজধানী ঢাকার রামপুরা বনশ্রীর এ ব্লকে এবং দক্ষিণ বনশ্রী ১০ তলা মার্কেটের সামনে অবস্থিত আফগানি ফায়ার রেস্তোরাঁ অদ্ভুত ঘরানার চিকেন, বিফ, চিংড়ি, টুনা মাছ ও ডিমের পুরি এবং মোহনীয় হায়দ্রাবাদী পেস্তা হালিমের আয়োজন করছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে শুভ সূচনা করে ব্যতিক্রমী আইটেমগুলো দিয়ে ভিন্ন স্বাদ অনুসন্ধানী খাবারপ্রেমীদের মাঝে রীতিমত হুলস্থুল সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে রাত ১০ টা অবধি একনাগাড়ে ২টি শাখাতেই উক্ত সব পুরি এবং হায়দ্রাবাদী পেস্তা বিফ হালিম পাওয়া যায়। তবে উন্নত মান ধরে রাখার জন্য সীমিত পরিসরে প্রস্তুতকৃত আইটেম দুটি অনেক সময় রাত ৯ টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়! ২ শাখায় বসে খেতে পারেন প্রায় ৪০ জন। দেওয়াল নকশায় শীতল পাটি ব্যবহৃত, তাই গ্রামীণ ঢং ফুটে উঠেছে। উভয় শাখাতে খাবারের দাম, মান একই রকম।
হালিমের বর্ণনায় আসা যাক। এটি গতানুগতিক তরল হালিম নয়, বরং অত্যধিক ঘন এবং গরুর ম্যাশ করা গোশতে ভরপুর। নাম দেওয়া হয়েছে হায়দ্রাবাদী পেস্তা বিফ হালিম। অনেকে রেসা গরুর গোশতের হালিম নামেও চেনে। এই হালিমের মান ও স্বাদ একদম ব্যতিক্রম। কাব্য করে বললে এমন বলা যায়- "হালিমের ডালে গোশত মেশানো হয় না, বরং গোশতের মধ্যে হালিমের কিচুটা ডাল মেশানো হয়।" চামচে চামচে ভরপুর রেশা গরুর গোশতের উপস্থিতি পাওয়া যায়। একদম ম্যাশ করা, বাটা গোশতের স্বাদ শামী কাবাবে যেমনটা হয়, এই হালিম খেতে তেমনই সুস্বাদু। হালিম কারিগর ও মালিকের ভাষ্য মতে, আফগানি ফায়ারের হায়দ্রাবাদী পেস্তা হালিম খুব উপাদেয়, শক্তিবর্ধক ও পুষ্টিকর। ৫ প্রকার ডাল, যব, পুদিনা পাতা, আদা সহ ইত্যাদি ৪৫ ধরণের সাস্থ্য-সম্মত হার্ব সংমিশ্রণে পেটের জন্য উপকারী পন্থায় তৈরি হয় বিশেষ এই হালিম। গরুর পেছনের রানের সুনির্দিষ্ট গোশত ব্যবহার করা হয় এতে। তাইতো কেজি প্রতি দাম ৮০০ টাকা রাখা হয়। প্রতি বাটিতে ১৮০ গ্রাম থাকে একজনের জন্য, দাম রাখা হয় ১৫০ টাকা। উষ্ণ হালিম পরিবেশন করা হয় পরিবেশ বান্ধব সুপারী বাকলে তৈরি বাটিতে! হালিমের উপরে পেঁয়াজ বেরেস্তা এবং কয়েক প্রকার বাদামের আস্তরণ থাকে, যা আমাদের দেশে খুব কমই দেখা মেলে। ফলত: স্বাদ হয়ে ওঠে দুর্দান্ত।
এবার, পুরির আলাপন। চিকেন, বিফ, চিংড়ি, ডিম এবং টুনা পুরির দেখা মেলে আফগানি ফায়ারের উভয় শাখায়। পুরির এসব পুর আসে হালকা ঝালের কিমায় ভরপুর হয়ে। চিরায়ত ডাল কিংবা আলু পুরির দেখা মেলে না এখানে। অন্যতম অংশীদার হাবিবুর রহমান জানান- "প্রতিদিন সতেজ এবং নতুন তেলে ভাজা হয় সব পুরি। কাঁচামরিচ এবং তাজা মশলার প্রয়োগ থাকে এসব পুরিতে। পোড়া তেল দেওয়া হয় না। তাই, পুরিতে পোড়া গন্ধ হয় না। পেটের পীড়া ও বুক জালাপোড়া হয় না সংগত কারণেই। আটা- ময়দার খামিরও তরতাজা। দাম খুব বেশী নয়; বিফ পুরি ২৫ টাকা, অন্যান্য সব ১৫ টাকা পিস।" উল্লেখ্য, এই পুরি খেতে নিজস্ব প্রস্তুতকৃত বিশেষ টক-ঝাল ঝোল দেওয়া হয়। আরেকজন অংশী মালিক মাওলানা শাহাদাত হোসেন জানান- "রমজানে ইফতারীর সময়ে আমাদের হালিম চাহিদার শীর্ষে থাকে। রমজানে প্রতিদিন বিকেল ৪ টা থেকে কেবল ইফতার সময় পর্যন্ত আমরা রেস্তোরাঁ খোলা রাখি। এর মধ্যেই সমস্ত আইটেম বিক্রি হয়। ও, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, হাফেজে কুরআন ও অভাবীদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও ছাড় দেওয়া হয়। মূলত, হালাল ব্যবসা ও সীমিত লাভের মধ্য দিয়ে খাদ্যসেবা দেওয়াই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।"
এই ব্যতিক্রম ও চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এক ঝাঁক দীনি ভাইয়েরা। প্রখ্যাত আলেম হাফেজ- মাওলানা- মুফতি মো: মোস্তফা, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, মাওলানা মো: মাসরুর, হাফেজ কেফায়েতউল্লাহ, মিনহাজুল ইসলাম, কাঁকন চৌধুরী এবং হাবিবুর রহমানের চমকপ্রদ এই উদ্যোগ "আফগানি ফায়ার" বেশ প্রশংসনীয়। মোট কথা, মহতী লক্ষ্য নিয়ে ব্যতিক্রম খাদ্যবহর সমেত এগিয়ে চলছে আফগানি ফায়ার।
এমএসএম / এমএসএম

ঘুম আসে না? এই খাবারগুলো খান

সফল মানুষেরা রাতে যে কাজগুলো করেন

প্রোটিনের অভাব হলে শরীরে যা ঘটে

সকালের নাস্তায় যে ৫ খাবার ক্ষতিকর

পিসিওস মোকাবিলায় যেসব মসলা উপকারী

খেজুর ও দুধ একসঙ্গে খেলে কী হয়?

যেসব মাছ খেলে ওজন কমবে

ডিমের থেকে বেশি প্রোটিন থাকে যে ৫ শাক-সবজিতে

পাঁচ তারকা হোটেল রেনেসন্স ঢাকায় দেশীয় পিঠা ফেস্টিভ্যাল কাম ব্যুফে ডিনার

দেশসেরা হায়দ্রাবাদী পেস্তা বিফ হালিম ও বিফ-চিকেন- চিংড়ি-টুনা-ডিম পুরি এখন বনশ্রীর আফগানি ফায়ারে

ফুড রেল রেস্টুরেন্ট: মিরপুর শেওড়াপাড়ায় নান্দনিক এক খাদ্য গন্তব্য

সুস্বাদু তেহারী, খিচুড়ী ও গরুর চাপ ভুনায় অনন্য খিলগাঁও তিলপাপাড়ার 'মা বিরিয়ানী ঘর'
