আইসিটির নজরে চট্টগ্রামের ২৭ আ.লীগের প্রভাবশালী নেতা

চট্টগ্রামে বিগত জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক সিটি মেয়রসহ প্রভাবশালী ২৭ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)।
বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ইতোমধ্যে এ ২৭ নেতার কার্যক্রম ও সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পদে থেকে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম ৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক সুমন, সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চসিক চান্দগাঁও ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরার, জামালখান ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুবলীগ ক্যাডার দিদারুল আলম মাসুম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারাজ করিম চৌধুরী।
এছাড়াও যাদের নাম আলোচনায় এসেছে তারা হলেন পাঁচলাইশ এলাকার যুবলীগ ক্যাডার ফিরোজ, চান্দগাঁও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি মহি উদ্দিন ফরহাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মোহাম্মদ দেলোয়ার, যুবলীগ কর্মী এইচ এম মিটু, যুবলীগ কর্মী মোহাম্মদ জাফর, বহদ্দারহাট শমসের পাড়ার তৌহিদুল ইসলাম ফরিদ, মোহাম্মদ জালাল ওরফে ড্রিল জালাল, মোহাম্মদ মিজান, মোহাম্মদ তাহসিন, মোহাম্মদ সোলেমান বাদশা প্রমুখ।
তদন্ত সংস্থা এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে। তারা মনে করছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এসব নেতার বিচার আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে হওয়া প্রয়োজন।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সরকার ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন পুনর্বিবেচনা করে এবং সংশোধনী আনে।
এই আইনের ৩(১) ধারায় বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, শান্তিবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যেকোনো অপরাধের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের হাতে ন্যস্ত।
২০১০ সালে সংশোধনী আনার পর ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা এবং আইনজীবী প্যানেল গঠন করে বিচারকাজ শুরু হয়। এ আইনের আওতায় ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে।
কোটা আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ঘটনায় এই ২৭ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে তাদের বিচার হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিচারিক প্রক্রিয়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে ন্যায়বিচারের মানদণ্ড রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এমএসএম / এমএসএম

নুরাল পাগলা’র দরবারে পুলিশের ওপর হামলা, ৩৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় ডেকোরেশন কর্মীর লাশ উদ্ধার

কুড়িগ্রারে রৌমারীতে সেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত

চৌগাছায় পনিতে ডুবে আড়াই বছরের শিশু আবু বক্করের মৃত্যু

কালীগঞ্জে দুই মাদক কারবারী আটক

হাতিয়ায় চেয়ারম্যান ঘাট-নলচিরা নৌরুটে নতুন সি-ট্রাক উদ্বোধন

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো- মোস্তাফিজুর রহমান

রাজশাহীর সেই বহিস্কৃত এসআই ২ দিনের রিমান্ডে

রাজশাহীতে আদিবাসীদের ভয় দেখিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

হাসিনার শাসন ইতিহাসের জঘণ্যতম অধ্যায়: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ছাত্রদলের উগ্র ও সন্ত্রাসী স্লোগানের প্রতিবাদে সাভারে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

পটুয়াখালীর জেলের জালে ৪৪ কেজির কোরাল, বিক্রি ৬৬ হাজার টাকায়
