নোয়াখালী পৌর বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নোয়াখালী পৌরসভা বিএনপি'র সভাপতি আবু নাছেরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে পৌর বিএনপির ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবু নাছের বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বিগত সরকারের আমলে অনেকগুলো মিথ্যা ও গায়েবী মামলার শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর যখন একটু স্বস্তিতে থাকার কথা, ঠিক ওই সময়ে কোন এক ব্যক্তি বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তার নির্দেশে নাকি ওই ব্যক্তির কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আবু নাছের আরও বলেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। পারিবারিকভাবে অর্থ ও সম্পদের মালিক। দলের প্রয়োজনেও কখনো কারো কাছ থেকে চাঁদা কিংবা অনুদান দাবি করেননি। অথচ তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে দেওয়া প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল, যারা বিগত দিনে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না, তারা উঠেপড়ে লেগেছে। ওই মহলটির ইশারা ইঙ্গিতে তার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনীত চাঁদাবাজির অভিযোগ সাংবাদিকদের কেউও যদি তথ্য প্রমাণ দিয়ে উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না। তাই তিনি সুদাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটির সুস্থ তদন্ত করে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সলিমুল্লাহ বাহার, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খানসহ সদর উপজেলা ও নোয়াখালী পৌর বিএনপি'র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জেলা শহর মাইজদীর কাজী কলোনী এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের একটি হাউজিং প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির সমর্থক দুটি পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনার ধরে গত শনিবার সুধারাম থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় আবু নাছেরকে এক নম্বর আসামি করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম