খানসামায় নদীর বালু হরিলুট করছে ইউপি সদস্য
দিনাজপুরের খানসামায় অবৈধভাবে নদীর বালু হরিলুট করছে এক ইউপি সদস্য। দিন দুপুরে সবার সামনে থেকে বালু বিক্রি হলেও প্রশাসন নীরব। আর এসব বালুর অবৈধ টাকা চলে যাচ্ছে ইউপি সদস্য দুলাল আহমেদের পকেটে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের বাসুলী কালামাটিয়া বাবুপাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভূল্লীর নদীর মাটি ও বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে।
ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দুলাল সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত নদী থেকে বালু প্রতি গাড়ী ছয়শ থেকে সাতশ টাকা করে বিক্রি করেন। তিনি আইনকে তোয়াক্কা না করে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে অহরহ বালু লুটপাট এর দৃশ্য দেখা গেলেও স্থানীয় প্রশাসন তা দেখছেন না। তাদের নীরবতার কারণে মহোউৎসবে বালু লুটপাটের এক রাজত্য কায়েম হয়েছে ইউপি সদস্য।শরীফ ইসলাম বলেন, এগুলো অস্বাভাবিক কোন ব্যাপার না, প্রশাসনের পকেটে টাকা ঢুকলে প্রশাসন সব সময় চুপ থাকে।
আলমগীর শাহ্ নামে এক যুবক বলেন, প্রশাসন বালু উত্তোলনের জন্য মোটা অংকের টাকা কমিশন পায় মনে হয়, এজন্য চুপচাপ আছে। পুরো বাংলাদেশ কমিশনের উপর চলতেছে। টাকা দিলেই সব মাফ। কিসের অবৈধ আর কিসের বৈধ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু উত্তোলনের গাড়ির এক গাড়ির ড্রাইভার বলেন, এটা মেম্বারের গাড়ি। আমরা গতকাল ৪ গাড়ি বালু তুলেছি আজ ৩ গাড়ি তুলেছি।এ বিষয়ে ইউপি সদস্য দুলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওরা আমাকে বলেও নাই যে তারা বালু তুলতেছে। সুযোগ পেয়ে ঐখান থেকে কয় গাড়ি যে উঠাইছে তাও জানি না। ওরা আমার পয়েন্ট থেকে বালু উত্তলন করে। চেয়ারম্যান আমাকে বলল, ঐখান থেকে কে যেন বালু তুলছে তা দেখার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুজ্জামান সরকার বলেন, বিষয়টি আমি দেখতেছি।
এমএসএম / এমএসএম