ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

বারহাট্টায় খিরার বাম্পার ফলনেও চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ


বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি photo বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮-২-২০২৫ দুপুর ৩:৩৬

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বারহাট্টায় খিরার বাম্পার ফলনে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখেছিলেন কৃষকরা। তবে বাজারে দাম কম পাওয়ায় চাষিদের কপালে দুশ্চিন্তা ভাঁজ।

খিরা চাষে খরচ তুলনামূলক কম এবং লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খিরা চাষের আগ্রহ বেড়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় এবার উৎপাদন বেশি হওয়ায় লোকসানের মুখে চাষিরা।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও চাষিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর খিরার ফলন ভাল হয়েছে। তবে বর্তমান বাজারে কম দাম পাওয়ায় উৎপাদন খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে তাদের।কৃষকরা জানান, বর্তমান বাজারে প্রতি মন খিরার দাম পড়ছে ৬’শ থেকে ৭’শ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খিরা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। ফলন বেশি হয়েছে তবুও বাজার মূল্যের চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হবে স্থানীয় কৃষকদের।

উপজেলার ডেমুরা গ্রামের চাষি শামসুল হকের সাথে কথা বললে তিনি সকালের সময়কে জানান, কয়েক বছর আগে পরিবারের অভাব দেখা দিলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ১০ শতাংশ জমিতে খিরা চাষ করেন তিনি। এ বছর খিরা চাষ করেছেন ২০ শতাংশ জমিতে। চাষে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকার মতো। বরাবরের তুলনায় এবার খিরার ফলন ভাল হয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্ষেত থেকে খিরা তোলা শুরু হয়েছে চলবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। প্রথম দিকে বাজারে খিরার দাম বেশি থাকলেও এখন দাম পড়ে গেছে। তবে সব খরচ বাদ দিয়ে এ বছর খিরা বিক্রি করে আয় গত বছরের তুলনায় অনেক কম হবে।

উপজেলার রায়পুর এলাকার খিরা চাষি আমান উল্লাহ, সাহতা এলাকার জসিম উদ্দিন, চিরাম এলাকার জীবন দাস জানান, তারা অগ্রহায়ণ মাসে বীজবপন করেছিলেন। মাঘ মাস থেকে পরিচর্যা শুরু করেন। এখন পুরোদমে ক্ষেত থেকে খিরা তোলা হয়েছে। এই এলাকায় তৃপ্তি, সুফলা ইত্যাদি জাতের খিরার ফলন বেশি হয়। ফলে জমিতে বরাবরের তুলনায় এবার খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে।

খিরা ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন হাইব্রিড খিরা পাওয়া গেলেও বারহাট্টার চর এলাকায় দেশীয় খিরার ভালো ফলন হয়েছে। তাই বাজারে এর চাহিদা বেশি। তবে এবার ফলন বেশি হলেও বাজারে খিরার দর অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে ফলে কৃষকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

খুচরা খিরা ব্যবসায়ী ইলিয়াস বলেন, সপ্তাহ খানেক আগে আমি ৩০ কেজি খিরা কিনেছি। এসব খিরা উপজেলা সদরের গোপালপুর ও আসমা বাজারে নিয়ে খুচরা বিক্রি করবো কিন্তু বাজারে যেমন দর পাওয়ার আশা করেছিলাম তেমন পাইনি। চাহিদা কম থাকায় বাধ্য হয়ে খুচরা ৩-৫ টাকা পিস হিসাবে কেটে বিক্রি করছি তবুও বেচে শেষ করতে পারি নাই। পরে দশ টাকা কেজি দরে বেচে শেষ করছি।

বারহাট্টা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, খিরা একটি স্বল্পমেয়াদি ফসল। এর জীবনকাল মাত্র ৬৫-৯০ দিন। কম সময়ে ভালো আয় হওয়ায় রবি মৌসুমে চরাঞ্চলের কৃষকের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ফসল। নিজস্ব জমিতে প্রতি বিঘায় খিরা চাষের জন্য খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। এর বিপরীতে, এক বিঘা জমি থেকে ৫০-৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং বাজারে চাহিদা বজায় থাকলে কৃষক এ সফলতা আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।

এমএসএম / এমএসএম

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার

কাউনিয়ার মেহরাব নৌপ্রধান স্বর্ণপদক পাওয়ায় এলাকায় অভিনন্দনের ঝড়

টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদী ৩ উপজেলাবাসীর মরণ ফাঁদ

সাভারে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি