বারহাট্টায় জমে উঠেছে ইফতার বাজার

বছর ঘুরে আবার এসেছে সিয়াম সাধনার মাস রমজান। ইফতারের জন্য ঘরে ঘরে খাবার তৈরি হলেও বাইরের খাবারের প্রতি আকর্ষণ থাকে রোজাদারদের। অন্যান্য বছরের মতো এবারও রমজানের প্রথম দিন থেকেই বারহাট্টার বিভিন্ন এলাকার হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে ইফতার তৈরির ব্যস্ততা। হরেক রকম ইফতার সামগ্রী বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা।
সরেজমিনে উপজেলা সদরের গোপালপুর বাজার, আসমা বাজার, বাউসী বাজার, ফকিরের বাজার, সাহতা বাজার, নৈহাটি বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখাগেছে, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকান গুলোতে। ইউনিয়ন পর্যায়ের দোকান গুলোর ইফতার সামগ্রী থেকে উপজেলা সদরের দোকান গুলোতে ইফতার সামগ্রীর দামের পার্থক্য পিস প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা। আর যেসব সামগ্রী কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে সেখানে দামের পার্থক্য ১০ থেকে ২০ টাকা।
উপজেলা সদরের গোপালপুর বাজারের আয়োজন রেঁস্তোরার মালিক রাসেলের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, বেগুনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু প্রতি পিস ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের চপ প্রতি পিস ২০ টাকা, মোটা জিলাপি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা আর চিকন জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। বুরিন্দা ২৪০ টাকা কেজি, সিদ্ধ বুট ও নিমকি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতা আরও বলেন, গত বছর যে দামে ইফতার সামগ্রী বিক্রি করেছি এবারও সে দামেই বিক্রি করছি। তবে ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাইজ একটু ছোট করেছি। কাঁচামালের দাম কিছুটা বাড়লেও ইফতার সামগ্রীর দাম আমরা বাড়াইনি।
বাউসী বাজারের ইফতার সামগ্রী বিক্রেতা মো. ইব্রাহিম বলেন, আলুর চপ ও পিঁয়াজু প্রতি পিস ৫ টাকা করে বিক্রি করছি তবে বেগুনের দাম বেশি থাকায় বেগুনির দাম প্রতি পিস ১০ টাকা। রোজার প্রথম দিন থেকেই জমজমাট বেচাকেনা চলছে। ইফতার তৈরির জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ক্রেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ইফতার তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে কারিগর হারুন ও মহিউদ্দিন জানান, সকাল থেকেই আমরা নানা উপকরণ রেডি করে জিলাপি, ছোলা, আলুর চপ, বেগুনী, বুরিন্দাসহ নানা ধরনের মুখরোচক পদ তৈরি করছেন তারা। রোজা রেখেই এসব কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
গোপালপুর বাজারের ভ্যান চালক করিম, বাউসী বাজারের মানিক ও দিনমজুর কালা চান মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিশ্রম করে ৪০০-৫০০ টাকা রোজগার করি। এখন আগের মতো আয় নেই। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ তাই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোজাতেও বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমেনি। উল্টো কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ইফতার কিনতে গেলেই নূন্যতম ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই অবস্থায় কম আয় দিয়ে কীভাবে প্রতিদিন ইফতার করব?
ইফতার কিনতে আসা সাংবাদিক ও বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ব্যস্ততা ও নানা ঝামেলার কারণে প্রতিবারই রোজায় ইফতারের কিছু আইটেম বাইরে থেকে কিনতে হয়। ইফতারের আয়োজনকে ঘিরেই মূলত উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে প্রতি রোজায় দুপুরের পর থেকে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। রোজায় ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্যের বাজার তদারকির জন্য প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
