ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ঈদকে সামনে রেখে বারহাট্টায় বাড়ছে কেনাকাটার ব্যস্ততা


বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি photo বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২২-৩-২০২৫ দুপুর ২:৩০

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি....আর মাত্র কিছু দিন পরেই চাঁদের পালকি চড়ে ঈদ আসছে সবার ঘরে। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বারহাট্টায় জমে উঠেছে ঈদের জমজমাট বাজার। এরই মধ্যে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন বিভিন্ন ছোট-বড় শপিংমল, বিপণী বিতানসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

সরেজমিনে উপজেলা সদরের গোপালপুর বাজারের কাপড়পট্টির বিভিন্ন বিপণী বিতান, শপিংমল, তৈরি পোশাকের (গার্মের্ন্টস পণ্য) দোকান, আসমা বাজারের বিভিন্ন বিপণী বিতান এবং উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ভিত্তিক বাজারের ছোট-বড় দোকান ঘুরে দেখা গেছে, নতুন পোশাকে ঈদ উদযাপনে কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। অপর দিকে বিক্রেতারা ক্রেতাদের বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্য পছন্দ করাতে বেঁছে নিচ্ছেন বিভিন্ন কৌশল।  সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখর হয়ে ওঠে উপজেলা সদরের বিপনী বিতানগুলো। পছন্দের পোশাক কিনতে ক্রেতারা ঘুরছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকানে। দিন অথবা রাতে সুবিধামতো সময়ে মানুষ যাচ্ছেন মার্কেটে। ঈদকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইন আর মডেলের পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। ফুটপাত থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের সব শ্রেণির দোকানেই নেমেছে ক্রেতাদের ঢল। ক্রেতারা ভিড় করছেন শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, পাঞ্জাবি, পায়জামা এবং টিশার্টসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে পুরুষ ক্রেতার তুলনায় নারী ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিগত বছরের তুলনায় পণ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। পোশাক ছাড়াও জুতা ও প্রসাধনীর দোকানে ভিড় বাড়ছে। অনেকে পোশাকের সঙ্গে ম্যাচিং জুয়েলারিও কিনে নিচ্ছেন। এদিকে নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দোকানগুলোতে কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। অপর দিকে দর্জিপাড়ায় কাপড় তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগরেরা। দিন-রাত নিরলস ভাবে কাজ করছেন তারা।

উপজেলা সদরের গোপালপুর ও আসমা বাজাররর কয়েকজন বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের মফস্বল এলাকায় ১৫ রমজানের পর থেকেই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে।  আগামী কয়েকদিনে কেনাকাটার ভিড় আরও বাড়বে। এবারে দেশি পোশাকের পাশাপাশি বিদেশি পোশাকও মিলছে। ঈদের পোশাক এক হাজার থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। ছোটদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। মেয়ে শিশুদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে লং ফ্রক ও পারর্টি ফ্রক। এ ছাড়া দোকানগুলোতে উঠেছে লেহেঙ্গা ও লং কামিজ। গরমকে সামনে রেখে ছেলে শিশুদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে সুতি টি-শার্ট ও স্যুট। এ ছাড়াও বিভিন্ন ডিজাইনের প্যান্ট। ঈদে তরুণদের পোশাকেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে প্রতিবারের মতো এবারও তোলা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি।

তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই তাদের বাড়তি বিক্রির আশা থাকে। এবারও তেমনটিই আশা করছেন তারা। তবে রমজানে দিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় বেশি থাকে। এখনও পুরোদমে বিক্রি শুরু না হলেও, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবাবেচাকেনা ভালো হওয়ার আশা করা যায়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর বাজারের বর্ষা বস্ত্র বিতানের মালিক লিটন দত্ত জানান, এবার ঈদ উপলক্ষে নতুন নতুন কালেকশন এনেছি। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। বিভিন্ন কোয়ালিটির শাড়ি, থ্রিপিসের চাহিদা রয়েছে। মেয়েদের থ্রিপিস বেশি বিক্রি হচ্ছে। সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রভাব কাপড়ের ওপরও পড়েছে।

বাজারের তৈরি পোশাক বিক্রেতা পলাশ মোল্লা, টিটু খান, রুবেল জানান, ক্রেতাদের রোজার শেষের দিকে সব সময় মার্কেট করতে দেখা যায়। কিন্তু এবার বাজার পরিস্থিতির ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। রমজানের শুরু থেকেই কেনাকাটায় মনোযোগ দিয়েছেন ক্রেতারা। এবার ছেলেদের পাঞ্জাবি-পাজামা, শার্ট-প্যান্ট, মেয়েদের থ্রিপিস, ফ্রক, স্কার্ট ও শিশুদের শার্ট-প্যান্ট, পাঞ্জাবি-পাজামাসহ নানা নজরকাড়া পোশাকের চাহিদা বেশি।

আসমা বাজারের আরেক ব্যবসায়ী বিংকু পাল জানান, এবার সুতি শাড়ির প্রাধান্য বেশি। শাড়ির জমিনে হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে ফুলপাতা আর জ্যামিতিক নকশা। এ ছাড়াও দেশি টাংগাইলে তাঁতে বোনা শাড়ি, জামদানি প্রিন্টের হাফ সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ির প্রাধান্য পেয়েছে। ১৫’শ টাকা থেকে শাড়ির মান ভেদে তিন হাজার টাকার মধ্যে ক্রেতারা পেয়ে যাবেন হাফ সিল্ক, তাঁতের শাড়ী। এছাড়াও সিল্ক, মসলিন বা জর্জেটের শাড়িতে এমব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ করা শাড়িগুলো সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা সদরের কাশবন গ্রাম থেকে কেনাকাটা করতে আসা সখিনা, শেফালী, হাসিনা পারভীন বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি পোশাকে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা বেড়েছে। বাচ্চাদের জন্য কাপড় কিনেছি, প্রতিটি পণ্য আগে হাজারের নিচে হলেও এবার হাজার টাকার ওপরে।কিনতে হচ্ছে। এবার মার্কেটে এসে শান্তি পাচ্ছি না। গত বছর পোশাকের দামের চেয়ে এ বছর পোশাকের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে।

কাপড়, জুতার পাশাপাশি ঈদের অন্যতম আকর্ষণ গহনা। কসমেটিকসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রুপার ওপরে মিনাকারির কাজ, কৃত্রিম মুক্তা, পুঁতিরস মালা, কানের দুল, চুড়ি, আয়না, কাপড় ও সুতার তৈরি বিভিন্ন ধরনের গহনা দিয়ে সাজানো হয়েছে। বেচাকেনাও হচ্ছে ভাল বলে জানান বিক্রেতারা।

বড় বড় মার্কেট, বিপণী বিতানের মতোই ফুটপাতেও চলছে জমজমাট বেচাকেনা চলছে জানিয়ে এক বিক্রেতা বলেন, মার্কেটের জিনিস আর আমাদের জিনিসের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। আমাদের দোকান ভাড়া লাগে না। তাই আমাদের এখানে মালামালের দাম অনেক কম। রোজা শুরু থেকেই ভালো বিক্রি হচ্ছে। ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে এবং বিক্রিও ভালো হচ্ছে। একই চিত্র রয়েছে শহরতলীর বাজারগুলোতে, শহরতলীসহ গ্রামের হাট বাজারগুলোতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত লোকজন ভিড় করছে, শহড়তলীসহ গ্রামের হাট বাজারগুলোতে স্বল্পদামে ঈদের কেনাকাটা করতে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান বলেন, উপজেলা সদরের দোকানগুলোতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। কেনাকেটা নির্বিঘ্ন ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এমএসএম / এমএসএম

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির সেকাল-একাল বই এর মোড়ক উন্মোচন

বড়লেখায় ইজ্জত বাঁচাতে চলন্ত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে কলেজছাত্রী আহত, চালক আটক

মানবিক সাহায্যের আবেদন-‘বাঁচতে চায় শিশু ফরহাদ আলী’

পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রাজশাহীতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

কমলগঞ্জে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়াসহ মারধরের অভিযোগ

বাঘা থানার অভিযানে ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার ৬ আসামি গ্রেফতার

নবীনগরে কাঁঠালের ছড়াছড়ি: বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক ও ভোক্তা

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় স্টপেজের দাবিতে ট্রেন থামিয়ে অবরোধ

সন্দ্বীপ থানার অভিযানে ১২ মামলার আসামী গাঁজা ব্যবসায়ী আটক

নোয়াখালীতে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ যুবদল সভাপতি গ্রেফতার

কাউনিয়ার মেহরাব নৌপ্রধান স্বর্ণপদক পাওয়ায় এলাকায় অভিনন্দনের ঝড়