গণমাধ্যমকর্মীদের দেয়া হচ্ছে হামলা-মামলার হুমকি
রাজউক মহাখালী জোনে ইমারত পরিদর্শকদের সিন্ডিকেট ভাঙবে কে ?

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক আটটি জোন নিয়ে গঠিত। এই আটটি জোনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি জোনের সকল কাজ পরিচালিত হয় মহাখালী জোনাল অফিস থেকে। রাজধানীর মিরপুর, গুলশান, বনানীর মত অভিজাত এলাকা এই জোনের আওতায় হওয়ার কারনে অবৈধ উপার্জনের সুযোগ কাজে লাগাতে এই জোনের কয়েকজন ইমারত পরিদর্শক মিলে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২০১৫ সালে রাজউক এ প্রধান ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে সহকারী অথরাইজড অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসএসসি পাশ করে ১৯৯৪ সালে নিম্নমান সহকারী হিসেবে রাজউকে যোগদান করে পর্যায়ক্রমে পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে প্রধান ইমারত পরিদর্শক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা মো: আব্দুর রহিম, ২০১৮ সালে প্রধান ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করা মো: জয়নাল আবেদীন পিন্টু, ২০১৫ সালে ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করা সোলাইমান হোসাইন, ২০১৮ সালে ইমারত পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করা আবুল কালাম আজাদ। জানাগেছে এই আবুল কালাম আজাদের চাকুরির লিখিত পরীক্ষার মোটা টাকার বিনিময়ে অন্য একজন দিলেও ভাইভা দিয়েছেন তিনি নিজেই। রাজউক যদি নিয়োগ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র অধিকতর তদন্ত করে তাহলে দিনের আলোর মতো সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
এই কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট টিকিয়ে রাখতে সহযোগিতা করছেন কয়েকজন দুর্নীতিবাজ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যাদের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান চলছে। সিন্ডিকেটে যুক্ত থাকা ছোট কর্মকর্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকেন এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
এই সিন্ডিকেটে যেসকল কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ সহ অভিযোগ ও সংবাদ প্রকাশ হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা বর্তমানে এই সকল কর্মকর্তা দ্বারা গণমাধ্যম কর্মীরা হামলা মামলার শিকার হচ্ছেন। দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর গত ৩০ জানুয়ারি সাপ্তাহিক রিপোর্টিং পত্রিকার ক্রাইম টিমের উপর মহাখালী অফিসের মধ্যেই হাতুড়ি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা করেছিল ইমার পরিদর্শক সোলাইমান হোসাইন ও আবুল কালাম আজাদ। যখন গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশের সহায়তা নেয়ার জন্য কল দিচ্ছিলেন তখন বিপদ বুঝতে পেরে গণমাধ্যম কর্মীদের নিরাপদে সরিয়ে নেন সিন্ডিকেটের মুরুব্বী নামে পরিচিত মো: আব্দুর রহিম (অবসরে যাবেন ২০২৭ সালে)। এই আব্দুর রহিম এর বিষয়েও গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি বিভিন্ন জনের কাছে বলে বেড়ান চাকরির মেয়াদ প্রায় শেষ এখন যা কামিয়ে নিতে পারি। মিরপুরে রাইসা বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান আবাসিক ভবন হিসেবে অনুমোদন নেয়া ভবনকে বাণিজ্যিক করেছে এই বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার প্রতিনিধির উপরে চড়াও হন এবং মামলার হুমকি দেন। আবুল কালাম আজাদ বনানী থানায়ও গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার অফিস থেকে তাদের সাথে কথা বলতে মুঠোফোনে কল দিলেও কেউ কল রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে একাধিক রাজউকের কর্মকর্তা কর্মচারী বলেন এই সিন্ডিকেট খুব শক্ত সিন্ডিকেট, তারা নাকি বলে বেড়ায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ম্যানেজ থাকলে কেউই তাদের কিছু করতে পারবেনা। সিন্ডিকেটের এসকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বলে বেড়ায় মাঠ থেকে যে টাকা কালেকশন হয় তার বড় একটা ভাগ সর্বোচ্চমহল পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে পৌঁছে দেই আমরা।
কিভাবে এই কর্মকর্তাগণ এই কথা এভাবে বলে বেড়াচ্ছেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) (যুগ্মসচিব) ড. মোঃ আলম মোস্তফা বলেন যদি প্রমাণ না থাকে তবে যে কেউ যে কারো বিষয়ে এরকম কথা বলতেই পারে। তবে তাদের বিরুদ্ধে যদি সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এখন প্রশ্ন ওঠে যদি দুর্নীতির টাকা সকলের প্রকেটে ভাগাভাগি হয়ে ঢুকে যায় তবে এই বিষয়ে দেখবে কে? এবং এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাই বা নেবে কে? তবে কি এরকম দুর্নীতির কবলে পড়ে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়তই প্রতারিত হতে থাকবে?
এমএসএম / এমএসএম

উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং আইডি বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত

পেট্রোবাংলায় ২৯১ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে আছে, প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা

আ’লীগের আমলে প্রভাব খাটিয়ে ব্যবসায়ী তোপাজ্জলের কারখানায় হামলা-লুট

ব্যর্থতায় রাকিব-নাছির নেতৃত্বাধীন ছাত্রদল কমিটি ভাঙছে, আসছে নতুন নেতৃত্ব

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. অরূপরতন চৌধুরী’র জন্মদিন

আলোচিত ফেলানীর ছোট ভাই বিজিবিতে চাকরি পেলেন

মেট্রোপলিটন হিন্দু কর্মজীবী সমবায় সমিতির অর্থ তছরুপ

উত্তরার গণসমাবেশে আনোয়ার হোসেনের হাতে হাতপাখা তুলে দিলেন চরমোনাই পীর

উত্তর সিটির টেন্ডারবাজিতে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দৌরাত্ম

চট্টগ্রাম দিয়ে পালাতে গিয়েও ব্যর্থ আলমগীর কবির ও রায়হান কবির

ধর্ষণের মামলায় এএসপি নাজমুস সাকিব গ্রেপ্তার হচ্ছে না, চাকরিতে থেকে তদন্ত প্রভাবিত করছেন

মানিকগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী: দায় এড়ানোর কৌশল খুঁজেছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে
