ঢাকা সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫

কুড়িগ্রামের মনোয়ারা বেগমের সংগ্রামী জীবন


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি photo কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭-৩-২০২৫ দুপুর ২:২৭

মনোয়ারা বেগম পঞ্চম শ্রেনীতে পড়াশুনার সময়ে তার বিয়ে দেয় বাবা-মা। তার জীবন জগৎ সম্পর্কে তার কোন ধারণাই ছিল না। শশুড় বাড়িতে যেয়ে গ্রামের শিশুদের সাথে খেলতে যেতো। গ্রামবাসীরা এ নিয়ে নানা কথা বললেও শিশু মনোয়ারা নীরবে সয্য  করেছিল সব কিছু। সংসার কি জিনিষ কিছুই বুঝতেই পারেনি। স্বামীর অভাবের সংসারে নানা কষ্টে তার দিন কাটছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই এক বছরের মধ্যেই এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কন্যা সন্তানের কারণে প্রতিনিয়ত শশুড় বাড়ির মানুষদের কাছে অবহেলার স্বীকার হতেন মনোয়ারা। নীরবে সব অপমান সয্য করতো।  এরকম পরিস্থিতিতে তাকে এবং তার স্বামীকে শশুর- শাশুড়ি এবং  আলাদা করে দেন। চরম কষ্টে পড়ে তাদের সন্তানকে নিয়ে।  এরপর স্বামী-সস্তান নিয়ে শুরু হয় মনোয়ারা বেগমের সংগ্রামী জীবন।

মনোয়ারা বেগম জানান, বিয়ের পর স্বামীর আয় রোজগার ছিল না। এমন অবস্থায় শ্বশুরবাড়ীর লোকজন সংসার আলাদা করে দিলে চরম কষ্টে পড়েছিলাম। এমন কি সন্তানের দুধ খাওয়ানোর টাকা ও ছিল না। স্বামী প্রতিদিন দিনমজুরীর কাজও পেতো না। মাঝে মধ্যে কাজ পেলেও ও প্রতিবেশীদের কাছে ধারদেনা করে চলতে হতো। এর পর স্বামীর দিনমজুরীর সামান্য টাকা আর আমার কাঁথা সেলাই করে যে আয় হতো তা দিয়েই কোনরকমে চলতো সংসার। একসময় কাঁথা সেলাই এর কিছু টাকা সঞ্চয় করে হস্তশিল্পের সেলাই মেশিন কিনে কাজ শুরু করি। একবছর পর সেলাই মেশিনের কাজের টাকা থেকে সংসার খরচ বাঁচিয়ে ১২ হাজার টাকা সঞ্চয় করি। সে বছরেই বাসার থাকার ঘরের একাংশে মুদি দোকান খুলে বসি। এসময় এলাকাবাসী সবাই আমার দোকান থেকে কেনাকাটা করে আমাকে সহযোগিতা করতো। এখন আমার মুদি দোকানে দৈনিক প্রায় ১ হাজার টাকা বিক্রি হয়। একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে এলাকার লোকজন আমাকে সম্মান করে। আর আমার স্বামী এখন ঢাকায় একটি বিস্কিট কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। মেয়েটাকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছি। দুইজনের টাকায় সংসার বেশ ভালই চলছে।
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের নতুন গোবর ধানের কুঠি গ্রামের গৃহবধূ মনোয়ার। 

জীবন যুদ্ধে হার না মানা মনোয়ারা বেগম বলেন, তার মতে, দেশের সব নারীকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত। লোকে  কী বললো তার দিকে না তাকিয়ে পরিশ্রম  করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তার কর্মজীবনেও  প্রথম কাজ করতে তিনি অস্বস্তি বোধ করতেন। ভাবতেন লোকজন কে কী বলবে। এখন তার কাছে মানুষের কথা কিছু যায় আসে না। জীবন যুদ্ধে হার না মানা এ নারীর মতে, দেশের সব নারীকে কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে আসা উচিত।
মনোয়ারা বেগম আরও বলেন, গ্রামে মুদি দোকান খুলে বসায় কেউ কেউ আমাকে ভিন্ন চোখে দেখতো। বলতো নানা কথা। প্রথম প্রথম খুব কষ্ট পেলেও হাল ছাড়িনি। উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন এবং সংসারের অভাব আমাকে আজ সফলতার কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। তারমতে কোন পেশায় খারাপ নয়, কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকলে সফলতা আসবে। প্রতিবেশী অনেকে জানান মনোয়ারা বেগম আমাদের গ্রামের একজন সফল মানুষ। 
এখন মনোয়ারা  বেগম এলাকায়  যে কোন বিপদে সবার আগে এগিয়ে আসে। 

এমএসএম / এমএসএম

ঝিনাইদহে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

চিকিৎসক সংকট ও অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালই যেন রোগী

পটুয়াখালীতে টিউবওয়েল বসাতে গিয়ে মেলে গ্যাস, ছয় মাস ধরে জ্বলছে আগুন

পিরোজপুরে আফতাবউদ্দিন কলেজে নবীনবরণ ও বই বিতরণ অনুষ্ঠিত

ভূরুঙ্গামারীতে বন্যায় আগাম সতর্কবার্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সচেতনা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে পরিত্যক্ত দোকান গৃহ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার

সন্দ্বীপে রেডিও স্টেশন স্থাপনে বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তাদের আগমন, মতবিনিময় সভা ও স্টেশনের জন্য স্থান পরিদর্শন

কুড়িগ্রামের রাজারহাট-আনন্দবাজার পাকা সড়ক দ্রুত সংষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে নারীদের উন্নয়নে কাজ করবে সরকারঃ মিঠু

কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ

আত্রাইয়ে মোটরসাইকেল চোরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ

পাবনায় মাদকের টাকা না পেয়ে নামাজরত পিতাকে কুপিয়ে হত্যাঃ ছেলে আটক

বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচিত সরকার চায়,নেত্রকোনায় এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী