কচি ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন
বারহাট্টার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন কেবলই সবুজের সমারোহ। বসন্তের বাতাসে খোলা মাঠে দিগন্ত জুড়ে দোল খাচ্ছে বোরো ধানের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। আর এমন ঢেউয়ের তালে সবুজের সমারোহে ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের হৃদয় জুড়ে বুনা সোনালী স্বপ্ন।
সবুজঘেরা বরো ফসলের মাঠে বারবার ফিরে তাকায় আঁকাবাঁকা মেঠো পথ ধরে চলা কৃষক, থমকে দাঁড়ায় পথিক। বাতাসে দোল খাওয়া সবুজ ধানের ঢেউ ভরিয়ে দিচ্ছে কৃষকের মন। যেদিকেই চোখ যায়, শুধু সবুজের সমাহার। দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ যেন সবুজ চাদরে ঢাকা। দিগন্ত জোড়া সবুজ ফসলের মাঠ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বিকশিত করে তুলেছে। বসন্তের রোদ-বৃষ্টির খেলায় সবুজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে।
সরেজমিনে উপজেলা সদরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নজর কাড়ছে বরো ধানক্ষেতে সবুজের সমারোহ। চারদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের আগামীর সোনালি স্বপ্ন, কৃষকের রক্ত পানি করা ক্লান্তিমাখা জীবনের স্বপ্ন দোল খাচ্ছে সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে। বাতাসে ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে ধান গাছের সবুজ পাতা ও কাঁচা শীষ। অনুকূল আবহাওয়া, কৃষকের নিবিড় পরিচর্যা, যথাসময়ে জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগের কারণে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ।
উপজেলা সদরের কাশবন গ্রামের কৃষক অরুণ সরকারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ বছর আমি ৯০ শতাংশ জমিতে বরো ধান চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শে ও নিজস্ব পরিচর্যার মাধ্যমে চাষাবাদকৃত বোরো ধান গতবারের চেয়ে এবার ভালো হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই শীষে দুধ-দানা গঠন শুরু হবে। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ধান কাটা শুরু হবে। কোনো ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে বিগত বছরের তুলনায় এবার ভালো ফলন ঘরে তুলতে পারব। তখন পূরণ হবে স্বপ্ন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এবারে ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রপ বেশি ছিল। এতে কীটনাশক দিতে হয়েছে চার থেকে পাঁচবার। তারপরও এবার আশানুরূপ ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
উপজেলা সদরের গড়মা গ্রামের কৃষক তপন সরকার, আসমা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের জামাল মিয়া, বাউসী ইউনিয়নের মোয়াটি গ্রামের জজ মিয়া, চিরাম ইউনিয়নের খৈকোনা গ্রামের বুলবুল হাসান জানান, এবার যথাসময়ে বৃষ্টি না হওয়া, শ্রমিক সংকট, সার ও কীটনাশকের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে দেরিতে ধান রোপণ করতে হয়েছে। তবে এখন আবহাওয়া বেশ ভালো। শেষ পর্যন্ত এরূপ আবহাওয়া থাকলে আমনের ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, বারহাট্টার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বরো ধানের ভালো ফলনে সবুজের সমারোহে পরিণত হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সময়মতো পরামর্শ দেয়ায় ধানক্ষেতে এবার রোগবালাই কম। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবারে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে- ৫ হাজার ৫ শত ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কম জমিতে উন্নত জাতের বোরো ধান চাষ করে বেশি ফলন পেতে ব্যাপক সহায়তা করা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম
বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ভূরুঙ্গামারীতে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান
শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ও বেসকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত
রায়গঞ্জে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের হাইব্রিড বীজ বিতরণ
বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে এসেছেন অলি-আউলিয়ারা, রাজনৈতিক দল নয়—পীর সাহেব ছারছীনা
নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ: আইডিয়াল স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা
টঙ্গীতে রনি'র সমর্থনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৭ নেতার প্রস্তুতি সভা
কুমিল্লায় বেগম রোগমুক্তি কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে কুরআন খতম ও দোয়া
নাচোলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘নাচোল সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব’-এর কার্যালয় উদ্বোধন
সুবর্ণচরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমির ওপর অবৈধ ইটভাটা অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি