সবুজ পাতার আঁড়ালে দোল খাচ্ছে আমের গুটি

বাংলা কেলেন্ডারে বসন্ত বিদায়ের দারপ্রান্তে চৈত্রের শেষ ভাগে বারহাট্টার গাছে গাছে বাতাসে দোল খাওয়া আমের মুকুল এখন প্রকৃতির হাওয়ায় নতুন সবুজ পাতার গানের তালে গুটি হয়ে দুলছে।
সরেজমিনে উপজেলা সদরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রাম ঘুরে দেখাগেছে, রাস্তার দু’পাশে, বাড়ির আঙিনায়, আমবাগানসহ সবখানেই গাছে গাছে আমের গুটিতে ছেয়ে গেছে পুরো গাছ। নতুন পাতার বিছানায় গুটি গুটি আম যেন হাওয়ায় দুলে মাথা নেড়ে জানান দিচ্ছে চৈত্রের অন্তর্ধানে, ঋতু পরিবর্তনে প্রকৃতির বুকে নতুনের বারতা।মুকুল ঝড়ে আমের গুটিতে ভরে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুল ঝড়ে এখন আমের গুটিতে ভরে গেছে ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছসহ বাগানের ছোট-বড় গাছগুলো। এ যেন গাছে গাছে সবুজের সাথে সবুজের সমারোহ।
উপজেলার সদরের কাশবন গ্রামের বাসিন্দা তিলক সেন, গড়মা গ্রামের সমীন্দ্র দও, বারঘর গ্রামের তপন চক্রবর্তী, সহতা ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম খান, বাবুল মিয়ার সাথে কথা বললে তারা বলেন, আমাদের এলাকার প্রতিটা আম গাছেই অনেক মুকুল আসা দেখে মনটা ভরে উঠেছিল। চৈত্রের মাঝামাঝি সময়ে এসে মুকুল ঝড়ে বোঁটায় ছোট ছোট গুটি ধরতে শুরু করে। এখন প্রায় সব গাছের বোঁটাতেই গুটি ঝুলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আমের উৎপাদন ভাল হবে বলে আশা করছি।
এলাকার কয়েকজন আম চাষির সাথে কথা বললে তারা বলেন, সব গাছেই মুকুল ঝড়ে এখন পুরোপুরিভাবে আমের গুটি ধরেছে। আমাদের এলাকায় এখনও বানিজ্যিকভাবে ব্যাপক আমের চাষ শুরু হয়নি। তবে আমের জাতের মধ্যে আম্রুপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি, ক্ষিরসাপাসহ অন্যান্য জাতের আম চাষের উপযুক্ত হওয়ায় এলাকার চাষিরা নিজ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চারা সংগ্রহ করে বাগান করেছেন। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ না হলে এবার কাঙ্ক্ষিত ফলনের আশা করছেন তারা। আর ধীরে ধীরে উপজেলা জুড়ে সম্প্রসারিত হচ্ছে আমের বাগান।
তারা আরও বলেন, গত মৌসুমে আমের বাজার ভালো থাকায় লাভবান হয়েছিলেন চাষিরা। গত বছরের চেয়ে এ বছর আম বাগান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
উপজেলার বাউসী ইউনিয়নের বাইশধার গ্রামের আম চাষি সাজ্জাদুল হাসান বলেন, আমি চার বছর আগে শুরু করি ফলের চাষ। এবার কমলা চাষে লাভবান হয়েছি। এখন আমের বাগান করেছি। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকে আমার বাগানে লাগানো আম গাছে মুকুল ঝড়ে গুটি আসা শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ গাছই গুটিতে ছেয়ে গেছে। আম চাষেও লাভবান হবার আশাকরছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, আমাদের উপসহকারীরা আমের গুটি ঝরা রোধ করতে বাগান মালিক ও চাষিদের আমের গাছে বেশি করে পানি দিতে পরামর্শ দিচ্ছেন এবং ছত্রাকনাশক ও বোরন স্প্রে করতে বলা হচ্ছে। গত বছরে তুলনায় আমের গুটিও ভালো রয়েছে। তবে কিছু কিছু জাতের নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত আম ঝরানোর জন্য এক ধরণের হরমোন নিঃসরণ করে থাকে ফলে গুটি ঝরে যায়। প্রাকৃতিক কোন বড় ধরণের দুর্যোগ না হলে আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
