পরিদর্শন ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন আজও কার্যকর হয়নি জনমনে ক্ষোভ
বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাকার মিরপুর হযরত শাহ আলী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন । বিতর্কিত এই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত-পূর্বক নিয়োগ ও এমপিও বাতিল করা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আবেদন করা হয়েছে মর্মে জানা গেছে । আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, আবারো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালকের কার্যালয় হতে গত ৭-৪-২০২৫ ইং তারিখে স্মারক নম্বর ৩৪৩১-এ চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায় ।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের ইনডেক্স -৪৮৮২৭৩, প্রধান শিক্ষিকা পদে নিয়োগের জন্য গত ২১-০২-২০০২ তারিখে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, তার নিয়োগ কালে ২৪/১০/ ১৯৯৫ তারিখের জনবল কাঠামো বলবৎ ছিল । মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকসহ বিএড এবং সকল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ বা শ্রেণী থাকতে হবে । কাম্য অভিজ্ঞতায় উল্লেখ আছে যে,সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে তিন বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা সহ শিক্ষকতায় পেশায় নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যালয়ে ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা । জনবল কাঠামো
নীতিমালা লংঘন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে । ১৬/০৩/২০০২ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় । নার্গিস আক্তারের শিক্ষকতায় পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা ছিল না । জনবল কাঠামো মোতাবেক তার কাম্য অভিজ্ঞতা না থাকায় তার আবেদন পত্রটি বাতিল যোগ্য ছিল কিন্তু তার আবেদনপত্র বাতিল না করে তাকে নিয়োগ করায় তার নিয়োগ বিধি সম্মত হয়নি ।
গত ২৭/০৪/২০০২ তারিখে যোগদান করার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । অথচ তিনি প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে এমপি ও ভুক্ত হন ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ।এর আগে তিনি ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে সহকারি শিক্ষিকা হিসাবে এমপিও ভুক্ত হন । সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে তিনি এমপি ভুক্ত হয়েও দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ক্ষমতা বলে তিনি প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
একজন সচেতন অভিভাবক বলেন, ২৪/১০/১৯৯৫ তারিখের নীতিমালা অনুযায়ী প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর যদি উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় তাহলে পরপর আরো দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হয় । যদি দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পরও কোন উপযুক্ত প্রার্থী না পাওয়া যায় ,তাহলে সে ক্ষেত্রে যে আছে তাকে দিয়ে কাজ চালানো হয় । অথচ বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ একবারই করা হয়েছিল । যেটা সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ঢাকা অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে, মিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (বেঙ্গলি স্কুল) এর প্রধান শিক্ষককে আহবায়ক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ঢাকা অঞ্চল ,ঢাকার সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক কে সদস্য এবং শাহ আলী থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন ।
এ বিষয়ে জানতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকা অঞ্চল, ঢাকার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি করা হয়েছে এবং যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারা অতীতে স্ব- স্ব ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন । তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে । চিঠিতে নির্ধারিত কর্ম দিবস উল্লেখ নাই কেন এমন প্রশ্নে বলেন, দুই এক দিনের ভিতরে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে, সেখানে সবাই দায়িত্বে থাকবে । যার কারণে নির্ধারিত কর্ম দিবস উল্লেখ করা হয় নাই ।
এমএসএম / এমএসএম

প্রধান প্রকৌশলীর পিএস মুজিবরের মাসিক অবৈধ আয় লাখ টাকা!

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সামাদ ভূঁইয়া দম্পতি বিরুদ্ধে

যাদের কথা হয়না বলা

অভাবির পেটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা

ফ্যাসিস্ট সরকারে প্রতাপশালী জেলার মাহবুবের লাপাত্তা

অবৈধ সম্পদের পাহাড় নিয়ে ওসমান গণির রাম রাজত্ব কায়েম

মিরপুরের ত্রাস তানজিব গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ বছর পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা আমিনুল

বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন

প্রিমিয়ার গ্রুপের ইকবাল গেছে পালিয়ে, দুর্নীতির দুর্গ আছে দাঁড়িয়ে

অর্থ শাখায় চাকরি করেই শত কোটি টাকার মালিক মাহবুবুর রহমান

ঈদ সামনে রেখে জাল নোট তৈরির কারিগর ব্যস্ত
