ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


জাহাঙ্গীর আলম শাহীন photo জাহাঙ্গীর আলম শাহীন
প্রকাশিত: ২১-৭-২০২৫ রাত ৮:৬

বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাকে 'ফ্যাসিস্টদের দোসর' উল্লেখ করে দাবি করা হচ্ছে যে, স্বাচিপ নেতা ডা. মোস্তফা আলম নান্নুডা. সামির হোসেন মিশুর (উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, বগুড়া) ঘনিষ্ঠ সহযোগী হওয়ায় তিনি দীর্ঘ আট বছর বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসে বহাল ছিলেন। এই ক্ষমতার অপব্যবহার ও দীর্ঘ সময় একই স্থানে থাকার সুবাদে তিনি একটি 'ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেট' গড়ে তুলেছিলেন, যে কারণে ফ্যাসিবাদ সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাননি।

অভিযোগ রয়েছে, মইনুল ইসলাম ও তার সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ বাস্তবায়ন না করেই ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন। তিন দিনের প্রশিক্ষণ একদিনে শেষ করে অর্ধেকেরও বেশি অর্থ নিজে পকেটস্থ করেছেন। এমনকি প্রশিক্ষণার্থীদের স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমেও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এছাড়াও, সহকর্মী নারীদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের হেনস্তা করার অভিযোগও রয়েছে। বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট সেলিনা সুলতানার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যা তার স্ত্রী জানতে পেরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের দুজনকে একসাথে ধরে ফেলেন। পরে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়। এই ঘটনার পরেই ফ্যাসিবাদী সিন্ডিকেটের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট সেলিনা সুলতানাকে গাবতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়।

গ্রাম্য ডাক্তার প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভুয়া সনদ প্রদানের অভিযোগও আছে মইনুল ইসলাম সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। স্টোরের মাল বাইরে বিক্রি করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। জলেশ্বরীতলায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটসহ তিনি বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি কিনেছেন বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের একজন কম্পিউটার অপারেটর দাবি করেন, মইনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করলে তার বিভিন্ন ধরনের অনিয়মের সত্যতা প্রকাশ পাবে।

এ বিষয়ে মো. মoinুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি 'দৈনিক সকালের সময়' এর প্রতিনিধিকে জিজ্ঞাসা করেন তার মোবাইলের সিম কার্ডটি রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিনা। তিনি আরও বলেন, "আমি সিভিল সার্জন অফিসে চাকরি করি। আমার অনেক সাংবাদিক বন্ধু আছে। আপনি ঢাকা কোথায় থাকেন, ঠিকানা বলেন, আগামীকাল আপনার সাথে আমার এক সাংবাদিক বন্ধু দেখা করবে।"

অন্যদিকে, বগুড়ার সিভিল সার্জন মো. মোফাখ্খারুল এই বিষয়ে 'দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, "এ বিষয়ে আমার জানা নেই।"

এমএসএম / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আইন যেন শুধু খাতা কলমে