ঢাকা মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

বিশ্বম্ভরপুর নির্বাহী অফিসারকে কেন্দ্র করে চলছে দু'গ্রুপের উত্তেজনা যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি photo সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৬-৫-২০২৫ বিকাল ৫:১৮

বিশ্বম্ভরপুর নির্বাহী অফিসারকে কেন্দ্র করে চলছে দু'গ্রুপের উত্তেজনা যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ , দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাহী অফিসারকে অন্যত্র সরিয়ে নেবেন জেলা প্রশাসক এমনটি দাবী সুশীল সমাজের। গত ৪ মে সকাল থেকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় চলছে দু'গ্রুপের মধ্যে দাওয়া পাল্টা ধাওয়াসহ মারামারি হানাহানি । শুধু তাই নয় ঐ নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগে ও চলছে পাল্টা পাল্টি নিউজ । সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের মধ্যে ও চলছে ডিগবাজি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফলো করে দেখা যাচ্ছে আগেরদিন নিউজ হচ্ছে নির্বাহী কর্মকর্তার বিপক্ষে আবার পরের দিন লক্ষ করে দেখা যায় অভিযুক্ত ঐ নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষে। এতে করে সাংবাদিকদের মধ্যে কার প্রতিবেদন সত্য এবং কার প্রতিবেদন মিথ্যে বুঝা বড় মুশকিল। সরেজমিনে গিয়ে দুইদিন ঘুরে দেখা যায় গত ৪মে ২০২৫ইং তারিখ রোজ রবিবার দুপুরে প্রায় ২০/২৫জন প্রিন্ট ও  ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গনমাধ্যম কর্মিদের উপস্থিতিতে শতাধিক লোকজনের একটি সংঘবদ্ধ দল বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার কারেন্টের বাজার পয়েন্টে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যাহার চেয়ে বেনার ফেস্টুনের মাধ্যমে ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ঐ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এবং মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসে যাওয়ার পথে বিশ্বম্ভরপুর থানা সংলগ্ন যাওয়া মাত্রই ৩০/৪০জনের একটি সংঘবদ্ধ জনতা দেশি ও অস্ত্র লাঠি ,কাঠের রোইল, লোহার রড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে হামলা চালায় এসময় দু'গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।এতে প্রায় ১০/১২ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তারা। শুধু তাই নয় ঐ সমস্ত ঘটনা ভিডিও ধারণ করার সময় সাংবাদিকদের হাতের মোবাইল ও কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।  জানা যায়  বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা 
মফিজুর রহামানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে রোববার সকালে উপজেলার কারেন্টের বাজার এলাকায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে ঐ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রজনতা। এসময় লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালায় তারা।
এই ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ হামলাকারীরা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।
তারা ইউএনও‘র পক্ষ নিয়ে মানববন্ধন বানচাল ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।  সংবাদ সংগ্রহকালে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে অশুভন আচরন করেন হামলাকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানান,ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু মহাল, সীমান্তে চোরকারবারীদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়ে আসছেন। এমন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাবাসী সোচ্চার হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচী চলাকালে ইউএনও তাঁর সিন্ডিকেটের লোকদের দিয়ে হামলা করেছেন। হামলাকারীদের বিচার ও ইউএনও মফিজুর রহমানের অপসারণে আগামী ৪৮ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেন আন্দোলনকারীরা।
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে হামলা শিকার মো. শফিকুল ইসলাম নামের এক আন্দোলনকারীদের কাছ থেকে জানা যায়, ইউএনও  মফিজুর বিরুদ্ধে  দুদকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে উপজেলায়  যাওয়ার পথে পরিকল্পিতভাবে ইউএনও‘র লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। এতে  অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ইউএনও মফিজুর রহমানকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে  অপসারণ না করলেও তীব্র আন্দোলনের ডাক দিবেন আন্দোলন কারীরা। জানা যায় দেশী অস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়া সোহাগ তালুকদার নিজেকে উপজেলা যুবদলের সাবকে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তিনি বলেছেন মানববন্ধন ঠেকাতে এসেছিলেন তিনি। তিনি আরোও বলেন ইউএনও‘র বিরুদ্ধে উপজেলায় এসে মানববন্ধন করবে তা আমরা মেনে নিতে পারবো না। আন্দোলনকারীরা আওয়ামীলীগের দোসর বলে জানান তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন , কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে। এলাকাবাসী তা মানতে পারছে না।  তাই সচেতন এলাকাবাসী তাদের মানববন্ধন প্রতিহত করেছে। তারা চায় আমি যেনো এখানে থাকি।
অপরদিকে মানববন্ধনে হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি  জানিয়ে রবিবার বিকালে শহরে এক সংবাদ সম্মলেন করেছে ছাত্রজনতা। তারা  দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। এসময় বক্তব্য রাখেন  অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমন দোজা, জেলা যুব অধিকার নেতা তিমন চৌধুরীসহ আরও অনেকে।
এই ঘটনার পর দিন গত ৫মে সোমবার 
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি স্বার্থন্বেষী মহল কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সোমবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে  
নির্বাহী অফিসারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে আলমগীর হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কতিপয় ব্যাক্তি তাদের ব্যাক্তিগত সুবিধা হাসিল করতে না পারায় বিম্ভম্ভরপুর ইউএনও’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছিল। এ সময় ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা সরকারি ভবন ভাংচুর ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করে। এতে সচেতন মহল তাদের বাঁধা প্রদান করেন। আমরা এই মিথ্যা ও বানোয়াট কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই।  সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম, গোলাপ মিয়া, আবুল কালাম প্রমুখ।
এভাবেই চলছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং পাল্টা পাল্টি  সংবাদ প্রকাশ। এ সমস্ত কার্যকলাপের ফলে উপজেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে ভয়ে আতংক বিরাজ করছে।
দু'গ্রুপের মধ্যে যে কোন সময় মারামারি হানাহানিসহ বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন সাধারণ মানুষেরা। তাদের দাবি এইসমস্ত কার্যকলাপের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোন শত্রুতা এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি না হয় সেই দিক বিবেচনায় রেখে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দ্রুত সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমানকে তদন্ত সাপেক্ষে অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি হানাহানি বন্ধ করবেন এমনটাই প্রত্যাশা শান্তি প্রিয় উপজেলা বাসীর ।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ইলিয়াস মিয়ার কাছে সরকারি মুঠো ফোনে এই পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করে সড়িয়ে নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন বদলি করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই যার হাতে ক্ষমতা আছে তিনি বুঝবেন? তিনি আরও বলেন যারা পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন করছে তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে যদি ইউএনও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় আমি প্রতিবেদন পাঠাবো।

এমএসএম / এমএসএম

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র‍্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র‍্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র‍্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র‍্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র‍্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড

লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন

জুড়ীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন