বিলুপ্তি পথে অতি পরিচিত ফল গোলাপজাম

গোলাপজাম আমাদের দেশের একটি অতি একটি পরিচিত ফল। একসময়ে গ্রামগঞ্জের বনজঙ্গলে এমনকি বাড়ির আঙ্গিনায় দেখা যেত দৃষ্টিনন্দন ও খেতে সুস্বাদু ফল গোলাপজাম। এখন আর এই ফল খুব একটা চোখে পড়ে না। শুধু বারহাট্টা উপজেলা থেকেই নয় সারাদেশ থেকেই বিলুপ্তপ্রায় ফল গোলাপজাম।
দেখতে সুন্দর অবয়ব, ফিকে হলুদ কিংবা হালকা গোলাপী রঙ, মিস্টি স্বাদযুক্ত, রসালো এবং গোলাপ ফুলের সুগন্ধযুক্ত ফল গোলাপজাম। এর পাতার রং গাঢ় সবুজ, দেখতে জামের পাতার মতো। গ্রীষ্মের ফল এই গোলাপজাম। দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ফলটি ভিন্ন ভিন্ন নামে (মালাইয়া আপেল, মালাবার পাম, জাম্বু, চম্পা, মেওয়া ইত্যাদি) পরিচিত। নির্বিচারে গাছ কাটা, জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন বসতির কারণে প্রকৃতি থেকে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে অতি পরিচিত এ গাছ।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমাদের অঞ্চলে গ্রাম্য ভাষায় ফলটি মেওয়া ফল নামেই পরিচিত। একসময়ে গ্রামাঞ্চলের জঙ্গলে অথবা বাড়ির আঙিনায় অযত্ন অবহেলায় বেড়ে উঠতো এই গাছটি। অথচ এখন এই ফল গাছের দেখা পাওয়াই দুষ্কর। বর্তমানে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের জঙ্গলে এখনও দেখা মেলে গাছটির।
উপজেলার বাইশধার, দেওপুর, নৈহাটি, বসুলপুরসহ কয়েকটি গ্রামের নার্সারি ঘুরে ও মালিকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, তাদের নার্সারিতে দেশি-বিদেশি অনেক ধরনের গাছের চারা থাকলেও গোলাপজামের কোনো চারা নেই। তাছাড়া মানুষ এখন কাঠের চারা ও অন্যান্য ফলের গাছ কিনতে আগ্রহী। ফলে গোলাপজামের চারা কেউ খোঁজে না। তাই, এ গাছের চারা তোলার প্রতি আগ্রহও নেই।
বারহাট্টা সরকারি ডিগ্রি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মজিবুল হক জানান, গোলাপজামের ইংরেজি নাম- Malabar plum, Rose apple, Gulab Jamun ইত্যাদি। বৈজ্ঞানিক নাম Syzygium jambos। এটি একটি উৎকৃষ্ট মানের ফল। এই ফলে প্রায় সব ধরণের পুষ্টি উপাদানই বিদ্যমান। মাঝারি আকারের এই ফলগাছ প্রায় ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত বাঁচে এবং ফল দান করে। গাছ লাগানোর ২-৩ বছর পর থেকেই ফল ধরে। গোলাপজাম গাছে মাঘ-ফাল্গুন মাসে ফুল আসে এবং বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসের মধ্যে ফল পাকে।
তিনি আরও জানান, গোলাপজাম কাঁচা অবস্থায় সবুজাভ এবং কিছুটা শক্ত হলেও পাকলে নরম ও সাদাটে হয়। ভেতরে দু'টি বীজ থাকে, যা থেকে বংশ বিস্তার হয়। টক মিষ্টি স্বাদের এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, ক্যারোটিন এবং ক্যালসিয়াম।
বারহাট্টা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কালেরকন্ঠ পত্রিকার সাংবাদিক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, গোলাপজাম ফল দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ফুলও খুবই দৃষ্টিনন্দন। ফলটি কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে। পাকতে শুরু করলে ধবধবে সাদা অথবা সাদাটে হলুদ হয় বা শুধুই হলুদ হয়। কাঁচা ফল খেতে টক হলেও পাকা ফল খুবই মিষ্টি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজারে দেশি ফলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ বিদেশি ফল আমদানি করা হয়। কিন্তু অনেকেই জানেন না উচ্চ মূল্যে কেনা বিদেশি ফল চেয়ে দেশী ফলেই পুষ্টি গুণ বেশি থাকে। গোলাপজাম তেমনি একটি পুষ্টিকর ফল হলেও এটি এখন বন বাদাড় থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। বাড়ির আঙ্গিনায়ও আর শখ করে এটি কেউ লাগান না। আবার নার্সারিতেও এ ফলের গাছের চারা মিলে খুব কম।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
