কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে
আর মাত্র কয়েক দিন পর (২০ সেপ্টেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। প্রতিদিন দুপুর ২টার পর থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থীদের গুণকীর্তনে চলছে প্রচারণা গান। উচ্চৈঃশব্দে চলছে এসব প্রচারণার মাইকিং। একই স্থানে একই সাথে কয়েকটি মাইক দীর্ঘক্ষণ বাজানোর কারণে শব্দদূষন হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বিভিন্ন রকমের আঞ্চলিক গানে কান ঝালাপালা হচ্ছে পাবলিকের। কিছু কিছু গানের কলি সমর্থকদের মুখে মুখে শোভা পাচ্ছে। প্রার্থীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন গণসংযোগ ও পথসভায়। আশার বাণী শোনাচ্ছেন পরিবর্তনের, উন্নয়নের।
এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক প্রার্থী। প্রচারণার দ্বিতীয় দিনে ঘোড়া মার্কার মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বড়ঘোপ ইউনিয়নে।
ঘরে ঘরে ভোট চাইতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য ছড়াছড়ির ঘটনাও ঘটছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ।
কুতুবদিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওমর হায়দার জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য কঠোর অবস্থানে থাকবে পুলিশ প্রশাসন।
জানা গেছে, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে বড়ঘোপ ইউনিয়নে তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট, কোস্ট গার্ডের তিনটি মোবাইল টিমসহ পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ জামশেদুল ইসলাম সিকদার জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ার ছয় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কুতুবদিয়ায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নিবার্চনে- চেয়ারম্যান পদে ৩৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বী , সাধারণ সদস্য পদে ২২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিবেন।
জামান / জামান