কক্সবাজারের সাবেক ডিসি ও জেলা জজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন

কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ মামলার নথি জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমিন এবং সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ ১ জুলাই (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল আদালতে দুদকের পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অভিযোগ গঠিত বাকি তিন আসামি হলেন: কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল, এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাহ হাবিবুর রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ গঠনের সময় বিচারক উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, "বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একমাত্র মহামান্য রাষ্ট্রপতি ব্যতীত সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনয়ন করা যায়। এই মামলায় দেখা যায় জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাদীর অগোচরে তার আরজি পরিবর্তন করে পারস্পরিক সহযোগিতায় ঐ সময় দায়িত্বরত জেলা জজ তাকে মামলার দায় হতে মুক্তি দিয়েছেন, এটি নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এদের বিচার হওয়া উচিত।" আদালত প্রত্যেক আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। আজ ১ জুলাই সকল আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র আরও জানায়, মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ভূমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন। কিন্তু তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার মামলার ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে নথিপত্র পাঠান দুদকের প্রধান কার্যালয়ে।
দুদকের আইনজীবীরা জানান, জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নাম বাদ দেওয়ার ঘটনা জানতে পেরে কয়েক দিন পরে একই আদালতে বাদী কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন গত বছরের ১ জুলাই আদালতে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্তে নথি জালিয়াতির ঘটনায় সহযোগিতা করায় সাবেক জেলা প্রশাসক ও জেলা জজ ছাড়াও আসামি করা হয়েছে বাদীপক্ষের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহমদকে।
দুদক ও আদালত সূত্র মতে, মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপভিত্তিক কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। এতে চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। চিংড়ি ক্ষতিপূরণের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বেনামে ২৫টি চিংড়িঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের ৪৬ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।
এমএসএম / এমএসএম

তানোর গোদাগাড়ীতে ধানের শীষের মনোনয়নের শীর্ষে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন

নেসকোর উপার ক্ষেপে গিয়ে রাজনৈতিক দেউলিয়াদের কলিজা ছিড়ে রাস্তায় ফেলতে চাইলেন সারজিস

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান
