ঢাকা রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

টাঙ্গাইলে মাদকবিরোধী অভিযানে অর্থ লুটের ঘটনায় ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত


রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল photo রাশেদ খান মেনন, টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ৮-৭-২০২৫ রাত ৯:২৬

টাঙ্গাইলে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে সাড়ে ৮ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) রাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসান মারুফ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এবং জিয়াউর রহমান।

গত রোববার (৬ জুলাই) ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অর্থ লুটের অভিযোগে তদন্ত কমিটি’ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, "ইতিপূর্বেও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। তাদের বারবার সতর্ক করা হলেও তারা সংশোধন হয়নি।" বরখাস্ত সংক্রান্ত অফিস আদেশে বলা হয়, টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদের প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্তপূর্বক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ধারা ১২ এর উপধারা ১ মোতাবেক সরকারি চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে তাদের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয় অফিস আদেশে।

জানা যায়, ভূঞাপুরের সাবেক কাউন্সিলর ছালেহা বেগম অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, "গত ১৮ জুন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনো মাদকদ্রব্য না পেয়ে তাদের গাড়ির তেল খরচের জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি তাদের ১০ হাজার টাকা দেই। পরবর্তীতে তারা আমাকে বাকি ১০ হাজার টাকা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলে চলে যান।"

তিনি আরও অভিযোগ করেন, "কিছুক্ষণ পরে তারা পুনরায় আমার ঘরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র এলোমেলো করতে থাকেন। পরে প্রায় ৩ ঘণ্টার অধিক সময় নাটকীয়ভাবে অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার দেখানো হয়। এক পর্যায়ে তারা ঘরের আলমারির তালা খুলে সেখানে থাকা নগদ ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা নেন। আমার ছেলের ঘরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে ও ঘরের আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। টাকা নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে আমাকে ও আমার ছেলের স্ত্রীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেন। পরে জবানবন্দি ভিডিও রেকর্ড করা হয়।"

এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, "অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এমএসএম / এমএসএম

ধানের শীষ যার হাতে তিনি তারেক রহমানের প্রার্থীঃ মহম্মদপুরে সেলিমা রহমান

সুবর্ণচরে শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

‎শাল্লায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এক ডিলারের বিরুদ্ধে সরকারী জায়গায় ঘর নির্মাণের অভিযোগ

ছয় লেন প্রকল্পে জীবিকা হারানোর শঙ্কা: দোকানদারদের মানববন্ধন

‘‘সহিংসতা এড়িয়ে সংবাদ সংগ্রহের কৌশল” কর্মশালায় নিরপেক্ষ থাকা ও প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐক্যের তাগিদ

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিবগর্কে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

রৌমারীতে খেলার মাঠ দখল করে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভবন নির্মাণের চেষ্টা

মাগুরা ২ আসনের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রবাসির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবি, হত্যাচেস্টা মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে

দু'পা হারিয়ে কর্মহীন রায়গঞ্জের রফিকুল, সংকটে শিশুপুত্রের পড়াশোনা

পঞ্চগড়ে অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

লাকসামে তারেক রহমানের নির্দেশে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা

মোরেলগঞ্জে বিশ্ব ডায়াবেটিসে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প