দুমকিতে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাহেরচর এলাকায় সর্বগ্রাসী পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে শত শত পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারাচ্ছে। চলতি মৌসুমে শতাধিক পরিবার তাদের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ফলে নিঃস্ব হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম আঙ্গারিয়া বাহেরচর এলাকার প্রায় ২ কিলোমিটার জুড়ে পায়রা নদীর ভাঙন চলছে। ভাঙন কবলিত এলাকার লোকজন সরকারি রাস্তার পাশে, বিভিন্ন এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের গোয়ালঘর বা রান্নাঘরে কোনো রকমে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আবার কিছু পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে ইতিমধ্যে প্রায় আড়াই কিলোমিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির ও রাস্তাও নদীতে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত সুধান চন্দ্র মিস্ত্রী (৫০) এবং সুধারঞ্জন চন্দ্র মিস্ত্রী (৮০) বলেন, "আমাদের বাড়ি এখান থেকে ২ থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তরে ছিল। পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে বাবার আমলে ২ বার এবং আমাদের আমলে ৩ বার বসতবাড়ি স্থানান্তর করতে হয়েছে। বর্তমানেও ঝুঁকিতে আছি। আমাদের মতো অনেকেই এখন বসতঘর সহ সবকিছু ভেঙে সরকারি রাস্তার পাশে সরিয়ে নিচ্ছি।"
আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভাঙন কবলিত ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহীন গাজী বলেন, "কিছু দিন আগে খেয়াঘাট এলাকায় বেশ কিছু জায়গা জুড়ে বিশাল ফাটল ধরে হঠাৎ নদীগর্ভে দেবে যায়। এতে ৩ জনকে ট্রলার যোগে উদ্ধার করা হয়, যার মধ্যে একজন মহিলা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন। এ যাবৎ এই এলাকার প্রায় দুইশ একর জমিসহ, তিন শতাধিক ঘরবাড়ি, ৩টি মসজিদ, ৪টি মন্দির, একটি সরকারি অফিস সহ রাস্তাঘাট পায়রা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন এলাকার লোকজন অপরের বাড়ির গোয়ালঘর, রান্নাঘর, সরকারি রাস্তার পাশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কিছু লোকজন অন্যান্য এলাকাতেও চলে গেছে।"
আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান সোহরাব সরেজমিনে এসে জানান, "বাহের চর মৌজায় দীর্ঘ দিন যাবৎ পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এলাকাবাসী আতঙ্কিত। শত শত পরিবার নদী ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে এখান থেকে চলে গেছে।" তিনি ভাঙন কবলিত অসহায়দের পুনর্বাসন এবং স্থায়ীভাবে পাইলিং ও ব্লক ফেলে নদী ভাঙন রোধে যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দুমকি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুজর মোঃ ইজাজুল হক বলেন, "এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে, দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"
পানি উন্নয়ন বোর্ড পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব জানান, "বাহেরচরের নদী ভাঙন রোধে এর আগেও আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে আবার জিওব্যাগ স্থাপন করা হবে। এছাড়াও স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।"
এমএসএম / এমএসএম
অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দেখলেই ব্রাশফায়ারের নির্দেশ দিলেন সিএমপি কমিশনার
চাঁদপুরে অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ৫ সদস্য আটক
বগুড়ার শাজাহানপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন
পত্রিকা পরিবেশক শফির পিতার সুস্থ্যতা কামনা
জুয়া খেলায় হেরে পার্টনারকে হত্যা, আসামীর যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় টাস্কফোর্সের অভিযানে প্রায় ৩ কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
নবীনগরে ডাকাতি হওয়া সারের জাহাজ উদ্ধার
পূর্বধলায় গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নড়াইলে অ্যারাইজ আইএনএইচ জাত ধানের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
কেরানীগঞ্জে ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে শেষ হলো সাদ পন্থীদের তাবলীগের জোড়
সর্বোচ্চ প্রসিকিউশন দাখিল করায় সম্মাননা পেলেন হাটিকুমরুল হাইওয়ে অফিসার ইনচার্জ
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের আটপাড়া উপজেলা পরিদর্শন