ঢাকা বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫

আশুলিয়ায় ব্যাপকহারে বেড়েছে মাইকিং প্রচারণা


সফি সুমন, আশুলিয়া photo সফি সুমন, আশুলিয়া
প্রকাশিত: ২০-৭-২০২৫ দুপুর ৩:২১

ঢাকার উপকণ্ঠ আশুলিয়া এলাকায় সম্প্রতি মাইকিং প্রচারণার ব্যাপক ব্যবহার স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক প্রচার, স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, হাটবাজারের ডাক, হাসপাতাল ও ডাক্তার বসার প্রচারণা, ভর্তি চলছে বিজ্ঞাপন, গরু-মহিষ জবাইয়ের প্রচার, সব মিলিয়ে মাইকিং যেন পরিণত হয়েছে দৈনন্দিন এক অতিষ্ঠ শব্দসন্ত্রাসে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাইকিংয়ের কারণে বয়স্ক, অসুস্থ এবং পরীক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির মুখে পড়েছে। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত পড়ালেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না। বেসরকারি বিভিন্ন কোচিং সেন্টার, গানের অনুষ্ঠান, মাহফিল, অথবা রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের নামে প্রায়ই শব্দের মাত্রা সহ্যসীমার বাইরে চলে যায়।
আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন আইটি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আমাদের স্কুলের পাশের রাস্তায় প্রতিদিন কোনো না কোনো মাইক বাজে। ক্লাস নেয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা মনোযোগ ধরে রাখতে পারে না। এ ধরনের মাইকিং প্রচারণা বন্ধ করা উচিৎ। এটা এক প্রকার শব্দ দূষণও।”
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, অনুমতি ছাড়া মাইক ব্যবহার করা অবৈধ এবং নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনুমতি ছাড়াই অনেকেই মাইক ব্যবহার করে চলেছে। আইন প্রয়োগে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায় না।
বাংলাদেশে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে 'নিয়ন্ত্রণ (শব্দদূষণ) বিধিমালা, ২০০৬ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আবাসিক এলাকায় দিনের বেলা সর্বোচ্চ ৫৫ ডেসিবেল এবং রাতের বেলা ৪৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দ করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবে এসব মানদণ্ড কার্যত উপেক্ষিত।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অ্যাডভোকেট মোঃ আকতারুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬’ অনুযায়ী, আবাসিক এলাকা, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিস এলাকা সংলগ্ন স্থানে অনুমতি ছাড়া মাইক বা লাউডস্পিকার ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব আইন অমান্য করলে জরিমানা বা শাস্তির বিধান রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদিও আইন আছে, কিন্তু তা প্রয়োগে গাফিলতির কারণে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। পাশাপাশি জনগণের মধ্যেও সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।”

এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ, মাইক ব্যবহারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং নির্ধারিত সময়ের বাইরে মাইকিং বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ দাবি করেছেন। পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানোর পরামর্শও দিয়েছেন অনেকে।

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু বক্কর সরকার জানান, “অতিরিক্ত শব্দদূষণ রোধে আমরা কাজ করছি। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অতিরিক্ত মাইকিং শুধু শব্দদূষণই নয়, মানুষের মানসিক শান্তির জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময় এসেছে নিয়মশৃঙ্খলার মাধ্যমে এ অনিয়ন্ত্রিত প্রচারপদ্ধতিকে রুদ্ধ করার।

এমএসএম / এমএসএম

গোপালগঞ্জে দিনব্যাপী পালিত কর্মসূচিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস

শ্রীমঙ্গলে গণঅভ্যুত্থান দিবসের বিজয় র‍্যালিতে মানুষের ঢল

গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বারহাট্টায় বিএনপির বিজয় মিছিল

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়

ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র জনতার বিজয়ের বর্ষপতি উপলক্ষে নাগরপুরে বিএনপি’র বিজয় র‍্যালি

নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন

জুলাই গণঅভ্যুত্থান উপলক্ষে খোকসা'তে বিজয় মিছিল ও আলোচনা সভা

সিংগাইরে বিএনপির দুই গ্রুপের বিজয় র‍্যালি

শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে রাজনীতি সম্ভব নয় -বিজয় র‍্যালিতে এম.এ. মতিন

পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

গণঅভ্যুত্থান দিবসে সাটুরিয়ায় বিজয় র‍্যালী ও আলোচনা সভা

পাটগ্রামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ১ জনের কারাদণ্ড

লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস পালন