জাতীয় স্মৃতিসৌধের ওভার ব্রিজ যেন ‘মরণ ফাঁদ’
জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনের প্রধান সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো দর্শনার্থী ও স্থানীয় মানুষ পার হন। নিরাপদ পারাপারের জন্য বহু আগেই নির্মিত হয়েছিল কয়েকটি ওভার ব্রিজ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, সওজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবহেলায় এখন সেই ব্রিজই যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। মহাসড়ক পারাপারের জন্য নির্মিত ওভার ব্রিজগুলোই এখন পথচারীদের আরেক আতঙ্কের নাম।
প্রত্যক্ষ দেখা গেছে, নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধের উত্তর গেট বরাবর (যা সওজের মানিকগঞ্জ উপ বিভাগের আওতায়) ব্রিজটির পাটাতন (ডেক) ও লোহার পাত মরিচায় ভেঙে পড়েছে একাধিক স্থানে বড় বড় ফুটো হয়েছে। পাটাতন ও লোহার পাত ভাঙা দিয়ে সরাসরি নিচের ব্যস্ত রাস্তা ও আন্তঃজেলায় চলাচলকারী সকল গাড়ি স্পষ্ট দেখা যায়। অসচেতনতায় যখন তখন যে কেউ নিচে পড়ে যেতে পারে এবং ঘটতে পারে ভয়ংকর ঘটনা। অযত্ন অবহেলায় এর কাঠামো নড়বড়ে হয়ে গেছে, প্রতিটি পদক্ষেপে কাঁপে ব্রিজটি। এমনকি শিশুসহ যাতায়াতকারী বৃদ্ধ পথচারীরা আতঙ্ক নিয়ে পার হন এ ওভার ব্রিজ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ঘুরতে আসা বাংলাদেশের প্রথম সারির ফ্রিল্যান্সার হাজী শরীফ মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “স্মৃতিসৌধে বারবার আসি দেশের ইতিহাসকে অনুভব করতে। কিন্তু এখানে আসার রাস্তায় এত ভয় পাইনি কখনো। ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় মনে হচ্ছিল নিচে পড়ে যাব! একটা জাতীয় স্মৃতিচিহ্নের সামনে থাকা অবকাঠামো এমন অবহেলা সত্যিই হতাশার ও লজ্জার।”
স্থানীয় এক পথচারী জানান, “এই ব্রিজ পার হওয়ার সময় মনে হয় জীবনটা হাতে ধরেই চলেছি। নিচে তাকালেই গা শিউরে ওঠে। প্রতিদিন কাজে যাওয়া-আসার সময় এই ব্রিজ ব্যবহার করি। কিন্তু এখন তো হাঁটতেই ভয় লাগে। নিচে ফাঁকা দেখা যায়, মনে হয় কখন পা পিছলে পড়ে যাব।”
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ব্রিজটি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় ভাঙা অংশ চোখে পড়ে না, বাড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
স্থানীয় দোকানদার আমিরুল ইসলাম বলেন, “বছরের পর বছর ধরে এই ব্রিজে কোনো মেরামত হয়নি। অথচ স্মৃতিসৌধের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন বেহাল অবস্থা খুবই দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে জানতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের আশুলিয়া থানা অংশের নয়ারহাটের উপ বিভাগ মানিকগঞ্জ অঞ্চলের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (এডিই) দেবাশীষ সাহা’র সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, স্মৃতিসৌধের মতো জাতীয় গুরুত্বের স্থানে এমন অবহেলা কেন? ব্রিজ সংস্কারে আর কতটা অবহেলা চলবে? না কি বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটার অপেক্ষাতেই রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর? মরণ ফাঁদে পরিণত এই ওভার ব্রিজটি সংস্কারে কোনো প্রাণহানি না হওয়া পর্যন্ত কি তাঁরা নড়েচড়ে বসবে না?
এমএসএম / এমএসএম
জামায়াত যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিল না, ছিল ভারতের বিরুদ্ধে : আমির হামজা
বিজয় দিবসে কসবা কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ
যথাযথ মর্যাদায় বোদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন
পাবিপ্রবিতে ক্লিন ক্যাম্পাস কর্মসূচি, নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা
যথাযথ মর্যাদায় পাবিপ্রবিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
আত্রাইয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা
রৌমারীতে ১৬ ডিসেম্বর ৫৫তম মহান বিজয় দিবস পালিত
বিজয় দিবসে শহিদদের প্রতি জেলা পুলিশের শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমরা চাই একটি বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা - তাসভীর উল ইসলাম
শেরপুরের গারো পাহাড়ে ভিডিও করতে গিয়ে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু
রাজস্থলী তে যথামর্যাদায় নানা আয়োজনের মহান বিজয় দিবস পালিত
নাঙ্গলকোট রায়কোট উত্তরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া